হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তাঁকে প্রত্যাহার চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
গতকাল রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের বরাবর লিখিত অভিযোগে সই করেন হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউপির মধ্যে আটটির চেয়ারম্যান। ওই চিঠির অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, জেলা প্রশাসক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পিআইও মাইদুলকে প্রত্যাহার করা না হলে ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দেন উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন দুলু।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পিআইও মাইদুল ২০২১ সালে হাতীবান্ধা উপজেলায় যোগ দেওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও সরকারের বরাদ্দ করা ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করে আসছেন। তাঁর অনিয়মের কারণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি নিয়ে মারামারি ও মামলা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সরকারের বরাদ্দ করা ত্রাণ সামগ্রী না দিয়ে পিআইও নিজেই নাম মাত্র ত্রাণ বিতরণ দেখিয়ে বাকিসব আত্মসাৎ করে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত সব প্রকল্পে শতকরা ২০ ভাগ করে টাকা নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, গত বছর বন্যা কবলিত মানুষের জন্য যে ত্রাণ আসে এর অর্ধেক আত্মসাৎ করেছেন পিআইও। সরকারের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী তিনি নিজের ইচ্ছেমতো নামমাত্র বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ করছেন। উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ করা টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পের শতকরা ২০ ভাগ টাকা নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।
পিআইও মাইদুলের অনিয়মের অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানদের অ্যাসোসিয়েশন এক জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে তাঁকে দ্রুত প্রত্যাহার করাসহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে উপজেলার ১২টি ইউপির মধ্যে আটটির চেয়ারম্যান সই করেন।
এ ছাড়া পিআইও মাইদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাতীবান্ধা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিঙ্গিমারী ইউপির চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, ‘পিআইওর আমলে আমরা সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছি। সরকারি ত্রাণ, সাহায্য-সহযোগিতা, কম্বল, দুম্বার মাংস তিনি একক সিদ্ধান্তে পছন্দের লোকের মাধ্যমে নামমাত্র বিতরণ করেন। পিআইওর যে অনিয়ম চলছে সেটা বন্ধ না হলে আমি ডিসেম্বর মাসের পর পদত্যাগ করব বলে মাসিক সমন্বয় সভায় ঘোষণা দিয়েছি।’
পিআইও মাইদুল জামায়াত-বিএনপির লোকজনকে প্রাধান্য দেন বলে অভিযোগ তুলেছেন হাতীবান্ধা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। তিনি বলেন, ‘পিআইও জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত। তিনি টাকা ছাড়া কোনো ফাইল সই করেন না। নিজের ইচ্ছা খেয়ালমত ত্রাণ ও প্রকল্প বিতরণ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা পদত্যাগ করব।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প ও ত্রাণ বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহা বলেন, ‘আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে ইউপি চেয়ারম্যানেরা যেহেতু অভিযোগ করেছেন। তদন্তের পর কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, ‘আমাকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছে সেহেতু তারাই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো অনুলিপি পাইনি। আর বিষয়টি আমার জানা নেই।’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তাঁকে প্রত্যাহার চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
গতকাল রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের বরাবর লিখিত অভিযোগে সই করেন হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউপির মধ্যে আটটির চেয়ারম্যান। ওই চিঠির অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, জেলা প্রশাসক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পিআইও মাইদুলকে প্রত্যাহার করা না হলে ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দেন উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন দুলু।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পিআইও মাইদুল ২০২১ সালে হাতীবান্ধা উপজেলায় যোগ দেওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও সরকারের বরাদ্দ করা ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করে আসছেন। তাঁর অনিয়মের কারণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি নিয়ে মারামারি ও মামলা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সরকারের বরাদ্দ করা ত্রাণ সামগ্রী না দিয়ে পিআইও নিজেই নাম মাত্র ত্রাণ বিতরণ দেখিয়ে বাকিসব আত্মসাৎ করে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত সব প্রকল্পে শতকরা ২০ ভাগ করে টাকা নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, গত বছর বন্যা কবলিত মানুষের জন্য যে ত্রাণ আসে এর অর্ধেক আত্মসাৎ করেছেন পিআইও। সরকারের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী তিনি নিজের ইচ্ছেমতো নামমাত্র বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ করছেন। উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ করা টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পের শতকরা ২০ ভাগ টাকা নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।
পিআইও মাইদুলের অনিয়মের অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানদের অ্যাসোসিয়েশন এক জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে তাঁকে দ্রুত প্রত্যাহার করাসহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে উপজেলার ১২টি ইউপির মধ্যে আটটির চেয়ারম্যান সই করেন।
এ ছাড়া পিআইও মাইদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাতীবান্ধা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিঙ্গিমারী ইউপির চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, ‘পিআইওর আমলে আমরা সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছি। সরকারি ত্রাণ, সাহায্য-সহযোগিতা, কম্বল, দুম্বার মাংস তিনি একক সিদ্ধান্তে পছন্দের লোকের মাধ্যমে নামমাত্র বিতরণ করেন। পিআইওর যে অনিয়ম চলছে সেটা বন্ধ না হলে আমি ডিসেম্বর মাসের পর পদত্যাগ করব বলে মাসিক সমন্বয় সভায় ঘোষণা দিয়েছি।’
পিআইও মাইদুল জামায়াত-বিএনপির লোকজনকে প্রাধান্য দেন বলে অভিযোগ তুলেছেন হাতীবান্ধা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। তিনি বলেন, ‘পিআইও জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত। তিনি টাকা ছাড়া কোনো ফাইল সই করেন না। নিজের ইচ্ছা খেয়ালমত ত্রাণ ও প্রকল্প বিতরণ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা পদত্যাগ করব।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প ও ত্রাণ বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহা বলেন, ‘আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে ইউপি চেয়ারম্যানেরা যেহেতু অভিযোগ করেছেন। তদন্তের পর কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, ‘আমাকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছে সেহেতু তারাই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো অনুলিপি পাইনি। আর বিষয়টি আমার জানা নেই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৪ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৫ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে