আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর চালু হচ্ছে কুড়িগ্রামের বর্ডার হাট

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১২: ৩৭
Thumbnail image

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ রাখা হয় কুড়িগ্রামের রাজিরপুর উপজেলার বালিয়ামারী-কালাইয়েরচর সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট। দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে আবারও চালু হতে যাচ্ছে এই হাট। আগামী ৩০ নভেম্বর অথবা ১ ডিসেম্বর এই হাট আবার বসবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন। 

সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি আজ বুধবার নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সীমান্ত হাট এলাকায় বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় উভয় দেশের প্রতিনিধিরা শিগগিরই সীমান্ত হাট চালুর বিষয়ে একমত হন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম। ভারতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ-পশ্চিম গারোহিল আমপাতি জেলার ডেপুটি কমিশনার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জি-খারমাও ফ্লাং। এ ছাড়া দুই দেশের বর্ডার হাট ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

 ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় বর্ডার হাটের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এরপর বন্যার কারণে হাটের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছিল না। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় উভয় দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে হাট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বর্ডার হাটের বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ী ফরজ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলাম। বন্যায় হাটের কিছু স্থানে এবং যাতায়াতের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন হাট চালুর সিদ্ধান্তে আমরা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। কারণ এখানে ব্যবসা করে দুই টাকা হলেও আয় করতে পারি। তবে পণ্য এবং ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়ালে উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা লাভবান হবেন।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এবং বন্যায় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় হাটের কিছু অংশ সংস্কার করতে হচ্ছে। এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। উভয় দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব প্রস্তুতি শেষ করে আগামী ৩০ নভেম্বর অথবা ১ ডিসেম্বর হাটটি আবারও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘তাঁরা কিছু চাহিদার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যেসব পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত রয়েছে, আপাতত তাই চালু থাকবে। ব্যবসায়ীরা তাদের দাবির বিষয়গুলো জানালে আমরা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টকে তা জানিয়ে দেব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত