Ajker Patrika

অভাবের তাড়নায় সন্তান দত্তক, মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
অভাবের তাড়নায় সন্তান দত্তক, মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

ছিনা বেগম। দিনমজুর স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী। অভাবের সংসারে চায়ের দোকান দিয়ে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। এর মধ্যে কোলজুড়ে আসে একটি ছেলেসন্তান। অভাবের তাড়নায় এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এক মাস আগে শিশুটিকে দত্তক দেন তিনি। 

পরে সেই খবর পান গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন। তাঁর পদক্ষেপে শিশুটি ফিরেছে মায়ের কোলে। 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সাদুল্যাপুর থানা–পুলিশ দত্তক দেওয়া শিশুকে উদ্ধার করে ছিনা বেগমের কোলে তুলে দেয়। সেই সঙ্গে নগদ অর্থ সহযোগিতাও করা হয়। 

পুলিশ জানায়, ছিনা বেগমের বাড়ি সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মাছপাড়ায়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নতুন দুলাল গ্রামের লোকমান হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভাবের কারণে নিজে চায়ের দোকান দিয়ে সংসারে অর্থ জোগানের চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি ছিনা বেগম একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু অভাবের কারণে এই নবজাতককে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। একপর্যায়ে গাইবান্ধা সদরের পুলবন্দী এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে সুমন মিয়াকে শিশুটি দত্তক দেন ছিনা। নিঃসন্তান সুমন মিয়া ছিনা বেগমের মামাতো ভাই। 

ঘটনাটি গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনের নজরে আসে। তাঁর নির্দেশনায় সাদুল্যাপুর থানার উপ–পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) গোফফার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুলবন্দী থেকে ওই শিশুকে এনে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম রানা বলেন, ‘পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন স্যারের নির্দেশে ১ মাস ২ দিন বয়সী ওই শিশুকে উদ্ধার করে তাঁর মা ছিনা বেগমের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে মা–ছেলেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত