শিপুল ইসলাম, রংপুর
একসময় গাভির দুধ বিক্রির টাকায় সংসারের খরচ মিটিয়ে সঞ্চয় করতেন শাহিবার হোসেন। এক বছর আগেও তাঁর খামারে পাঁচটি দুধেল গাভি ছিল। আজ খামার শূন্য। কারণ, সংসার খরচ তো দূরের কথা, এখন দুধ বিক্রির টাকায় গাভির খাবার জোগান দেওয়াও কষ্টসাধ্য। এমন অবস্থার জন্য শাহিবার হোসেনের দাবি, বছর বছর গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়াই এর কারণ।
শাহিবার হোসেনের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ছুট মেনানগর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাভির খামার করে আসছিলেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়ায় খামার টিকে রাখতে পারেননি। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে খামারে পাঁচটি গাভি বিক্রি করে অন্য পেশায় ঝুঁকেছেন তিনি। শাহিবার হোসেন বলেন, ‘বছর ঘুরলে গরুর খাদ্যের দাম বাড়ে, দুধের দাম বাড়ে না। এখন মাস শেষে গরু পুষি লোকসান হওছে। ওই জন্যে খামারের গরু সউগ বেঁচে দিছু। খামার এ্যালা খালি পড়ে আছে।’
শুধু শাহিবার নন, তাঁর মতো রংপুরের অন্তত ১০ জন পশুপালনকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি গমের ভুসিতে ৬ টাকা, বুটের খোসায় ১০ টাকা, চালের খুদে ৬ টাকা ও দানাদার ফিডে ৭ টাকা বেড়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটটি উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে নিবন্ধিত গরুর খামারের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮ এবং অনিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১ হাজার ৮২১।
বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগেও ভুসি প্রতি বস্তা (৩৭ কেজি) বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং বুটের খোসা প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) ১ হাজার ৩০০ টাকা, দানাদার ফিড প্রতি বস্তা (২৫) ১ হাজার ২২৫ টাকা, খুদ প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ১ হাজার ৪৫০ টাকা। সে হিসাবে প্রতি কেজি গমের ভুসি ৪৬ টাকা, বুটের খোসা ৫২ টাকা, চালের খুদ ২৯, দানাদার ফিড ৪৯ টাকা।
বর্তমানে প্রতি বস্তা ভুসি ১ হাজার ৯৫০ টাকা, বুটের খোসা ১ হাজার ৫৫০, চালের খুদ ১ হাজার ৯০০, দানাদার ফিড ১ হাজার ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজি গমের ভুসি ৫২ টাকা, বুটের খোসা ৬২ টাকা, চালের খুদ ৩৮, দানাদার ফিড ৫৫ টাকা। এসব গোখাদ্যের দাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত দুই মাসে প্রতি কেজি গমের ভুসিতে ৬ টাকা, বুটের খোসায় ১০ টাকা, চালের খুদে ৬ টাকা, দানাদার ফিডে ৭ টাকা বেড়েছে।
তারাগঞ্জের ইকরচালী বাজারের গো-খাদ্য ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে গো-খাদ্যের দাম কোম্পানিগুলো কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। ২০২০ সালে যে ভুসি ৩২ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, তা এখন ৫২ টাকা, ৩৮ টাকার বুটের খোসা ৬২, ১৬ টাকার চালের খুদ ৩৮, ৩২ টাকার দানাদার ফিড ৫৫ টাকায় উঠেছে। অনেকে খামার বন্ধও করে দিয়েছে। তাদের থেকে বকেয়া ওঠানো কঠিন হয়ে গেছে।’
বকসিপাড়া গ্রামের খামারি আইয়ুব আলী বলেন, ‘আগোত দুধে ভাতে দিন গেছল। এ্যালা সেই দিন শ্যাষ হয়া গেইছে। সংসার খরচ, গরুর খাবারে খরচ সউগ বাড়ছে। কিন্তু কৃষানি আর গরুর দুধের দাম বাড়ে নাই। বাজারোত মাংসের দাম ঠিকই আছে, গরু বেচার গেইলে দাম নাই।’
রংপুর ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন বলেন, বর্তমানে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় খামারিদের নাজুক অবস্থা। খামারিদের বাঁচাতে হলে দুধের দাম বাড়ানো, গোখাদ্যে ভর্তুকি প্রদান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক খামারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধি, নিম্নমানের গুঁড়া দুধ আমদানি বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, গোখাদ্যের দাম বাড়ায় ছোট ও মাঝারি খামারিরা একটু বিপাকে রয়েছেন। তাঁদের আমরা দানাদার খাবারের বিকল্প গড়ে তুলতে পরামর্শ দিচ্ছি। গাভিকে খড়ের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস বেশি খাওয়াতে হবে। সমবায় ভিত্তিতে খামার করলে খরচ কমবে, লাভবান হবেন তাঁরা।
একসময় গাভির দুধ বিক্রির টাকায় সংসারের খরচ মিটিয়ে সঞ্চয় করতেন শাহিবার হোসেন। এক বছর আগেও তাঁর খামারে পাঁচটি দুধেল গাভি ছিল। আজ খামার শূন্য। কারণ, সংসার খরচ তো দূরের কথা, এখন দুধ বিক্রির টাকায় গাভির খাবার জোগান দেওয়াও কষ্টসাধ্য। এমন অবস্থার জন্য শাহিবার হোসেনের দাবি, বছর বছর গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়াই এর কারণ।
শাহিবার হোসেনের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ছুট মেনানগর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাভির খামার করে আসছিলেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়ায় খামার টিকে রাখতে পারেননি। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে খামারে পাঁচটি গাভি বিক্রি করে অন্য পেশায় ঝুঁকেছেন তিনি। শাহিবার হোসেন বলেন, ‘বছর ঘুরলে গরুর খাদ্যের দাম বাড়ে, দুধের দাম বাড়ে না। এখন মাস শেষে গরু পুষি লোকসান হওছে। ওই জন্যে খামারের গরু সউগ বেঁচে দিছু। খামার এ্যালা খালি পড়ে আছে।’
শুধু শাহিবার নন, তাঁর মতো রংপুরের অন্তত ১০ জন পশুপালনকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি গমের ভুসিতে ৬ টাকা, বুটের খোসায় ১০ টাকা, চালের খুদে ৬ টাকা ও দানাদার ফিডে ৭ টাকা বেড়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটটি উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে নিবন্ধিত গরুর খামারের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮ এবং অনিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১ হাজার ৮২১।
বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগেও ভুসি প্রতি বস্তা (৩৭ কেজি) বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং বুটের খোসা প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) ১ হাজার ৩০০ টাকা, দানাদার ফিড প্রতি বস্তা (২৫) ১ হাজার ২২৫ টাকা, খুদ প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ১ হাজার ৪৫০ টাকা। সে হিসাবে প্রতি কেজি গমের ভুসি ৪৬ টাকা, বুটের খোসা ৫২ টাকা, চালের খুদ ২৯, দানাদার ফিড ৪৯ টাকা।
বর্তমানে প্রতি বস্তা ভুসি ১ হাজার ৯৫০ টাকা, বুটের খোসা ১ হাজার ৫৫০, চালের খুদ ১ হাজার ৯০০, দানাদার ফিড ১ হাজার ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজি গমের ভুসি ৫২ টাকা, বুটের খোসা ৬২ টাকা, চালের খুদ ৩৮, দানাদার ফিড ৫৫ টাকা। এসব গোখাদ্যের দাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত দুই মাসে প্রতি কেজি গমের ভুসিতে ৬ টাকা, বুটের খোসায় ১০ টাকা, চালের খুদে ৬ টাকা, দানাদার ফিডে ৭ টাকা বেড়েছে।
তারাগঞ্জের ইকরচালী বাজারের গো-খাদ্য ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে গো-খাদ্যের দাম কোম্পানিগুলো কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। ২০২০ সালে যে ভুসি ৩২ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, তা এখন ৫২ টাকা, ৩৮ টাকার বুটের খোসা ৬২, ১৬ টাকার চালের খুদ ৩৮, ৩২ টাকার দানাদার ফিড ৫৫ টাকায় উঠেছে। অনেকে খামার বন্ধও করে দিয়েছে। তাদের থেকে বকেয়া ওঠানো কঠিন হয়ে গেছে।’
বকসিপাড়া গ্রামের খামারি আইয়ুব আলী বলেন, ‘আগোত দুধে ভাতে দিন গেছল। এ্যালা সেই দিন শ্যাষ হয়া গেইছে। সংসার খরচ, গরুর খাবারে খরচ সউগ বাড়ছে। কিন্তু কৃষানি আর গরুর দুধের দাম বাড়ে নাই। বাজারোত মাংসের দাম ঠিকই আছে, গরু বেচার গেইলে দাম নাই।’
রংপুর ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন বলেন, বর্তমানে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় খামারিদের নাজুক অবস্থা। খামারিদের বাঁচাতে হলে দুধের দাম বাড়ানো, গোখাদ্যে ভর্তুকি প্রদান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক খামারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধি, নিম্নমানের গুঁড়া দুধ আমদানি বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, গোখাদ্যের দাম বাড়ায় ছোট ও মাঝারি খামারিরা একটু বিপাকে রয়েছেন। তাঁদের আমরা দানাদার খাবারের বিকল্প গড়ে তুলতে পরামর্শ দিচ্ছি। গাভিকে খড়ের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস বেশি খাওয়াতে হবে। সমবায় ভিত্তিতে খামার করলে খরচ কমবে, লাভবান হবেন তাঁরা।
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
৩ ঘণ্টা আগে