নাগেশ্বরীতে বন্যায় ভেসে গেছে ৬৩ লাখ টাকার মাছ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২২, ১৫: ১৩
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৪: ০৬

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নাগেশ্বরীর পুকুর ও জলাশয় ডুবে গেছে। এতে ভেসে গেছে প্রায় সাড়ে ৬৩ লাখ টাকার মাছ। ফলে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন উপজেলার মাছচাষিরা। 

উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী এবার বন্যায় ডুবেছে ৩২৫টি পুকুর ও ৩১ দশমিক ৩৩ হেক্টর জলাশয়। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ফলে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন উপজেলার ৩১৬ জন মাছচাষি। মাছচাষের আয়ে যাদের সংসার চলে, আকস্মিক বন্যায় মাছের সঙ্গে তাঁদের স্বপ্নও ভেসে গেছে। এতে ঋণের ফাঁদে আটকে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মাছচাষি পদ্ম কুমার দাস জানান, তিনি এবার একটি বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নুনখাওয়া ইউনিয়নের বোয়ালমারীতে দুই বিঘা জমির একটি পুকুর লিজ নিয়ে ৪০ হাজার টাকার পোনা মাছ ছেড়েছিলেন। কোনো বিপর্যয় না ঘটলে সব খরচ বাদে আয় হতো ৩০-৪০ হাজার টাকা। সেই আশা এবং স্বপ্ন ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যা। এখনো পানিতে তলিয়ে আছে সেই পুকুর। সব মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। ফলে এবার তাঁর ঋণের টাকা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। 

পদ্ম কুমারের মতো একই রকম কথা বলেন একই এলাকার মাছচাষি আউয়াল ও কালাম। 

কেদার ইউনিয়নের মাছচাষি অনুকূল বিশ্বাস জানান, ৬০ হাজার টাকা খরচ করে লিজ নেওয়া পুকুরে মাছ ছেড়েছিলেন। বন্যায় সব মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, ইতিমধ্যে বন্যায় করণীয় শীর্ষক লিফলেট চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিতে অবশিষ্ট মাছ রক্ষায় পুকুরে খৈল ও বিশেষ তেল মিশিয়ে দিতে বলা হচ্ছে, যাতে খাবারের লোভে বাইরে থেকেও মাছ প্রবেশ করে এবং পুকুরের মাছ পুকুরেই থেকে যায়। এ ছাড়া পুকুরে গাছের ডালপালা দিয়ে মাছের আশ্রয়স্থল তৈরি করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত