তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ডান-বাম নিয়ে বহুবার জোট গঠন করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কাছে পরাজিত হয়েছে। এবার পরিত্যক্ত রাজনৈতিক টোকাইদের নিয়ে ৩৪ দলীয় জোট গঠন করেছে। সেই জোট নিয়ে দিনের বেলা পদযাত্রা, পদভ্রমণ আর রাতে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে পদলেহন করছেন।’ 

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রংপুর মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ভালো করেই জানে, তারা ভবিষ্যতেও জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এ কারণে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি হলো বিষধর সাপ, সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে। বিএনপি দেশে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই অপচেষ্টাকে রুখে দিতে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।’ 

তথ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের সেই শান্তি সমাবেশে হামলা করছে। বিএনপিকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের একটি নীতি আছে, সেটি হলো কেউ খোঁচা দিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জেগে ওঠে। তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের খোঁচা দেবেন না, তাহলে খবর আছে।’ 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নয়, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে। তাই আবোল-তাবোল না বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।’ 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছিল তাদের সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে আওয়ামী লীগ পড়ে যাবে। তাদের পদত্যাগে আওয়ামী লীগের কাতুকুতু লেগেছে, তা ছাড়া কিছুই হয়নি। বরং উপনির্বাচন করে সবাই শপথও নিয়েছে। বিএনপির পদত্যাগ করা সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার পুনরায় নির্বাচন করে এখন সংসদ সদস্য। তাই বিএনপিকে বলব ভবিষ্যতে নির্বাচন বর্জন করার যদি পথ নেন, তাহলে শত শত উকিল আব্দুস সাত্তার রেডি হয়ে আছে নির্বাচনের জন্য। প্রস্তুত আছে নাজমুল হুদার দলও। তাই সাবধান হয়ে যান।’ 

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম। 

এ ছাড়া বক্তব্য দেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মণ্ডল প্রমুখ।