টানা চার দিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলের জনজীবন

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪৫

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারীতে টানা চার দিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন জেলার মানুষ ও গবাদিপশু। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। চাহিদা বাড়ায় বাজারে বৈদ্যুতিক দেখা দিয়েছে রুম হিটারের সংকট। নিম্ন আয়ের মানুষেরা তাঁদের গৃহপালিত পশুগুলোকে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করছে। তবে সোমবার সকালে কুয়াশার পরিমাণ কমে রোদের দেখা পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। 

সোমবার সকালে নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি শীত মৌসুমে সারা দেশে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে চলতি শীত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় শুক্রবার। ওই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করলে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ তবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে বিবেচিত হয়। চলতি মাসের গোড়ার দিক থেকে উত্তরের জেলাগুলোতে একাধিকবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হলেও শুক্রবারে প্রথমবারের মতো নীলফামারীতে বয়ে গেছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তবে পরদিন শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে এখনো বইছে। 

নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটার বোরো চাষি একরামুল হক জানান, চার দিন ধরে হাড়কাঁপানো শীতে বোরো খেতে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঠান্ডা কাঁদা-পানিতে নেমে বোরো রোপণ করতে গেলে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। তবে সোমবার সকালে ঠান্ডা লাগলেও রোদ থাকায় কাজ করতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। 

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত শুক্রবার জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করে। কিন্তু পরদিন শনিবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে শৈত্যপ্রবাহটি মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বইছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় সকাল সকাল রোদের দেখা মিলেছে। এতে কিছুটা হলেও মানুষ স্বস্তি পাবে। দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়বে। 

তিনি জানান, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এই এলাকা থেকে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে। 

 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত