শ্বশুর-দেবরকে প্রশিক্ষণ, সেই পাট কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৬: ২২
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৬: ৫৭

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতারের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে এসে সাক্ষীদের গোপনে ও প্রকাশ্যে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেন।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফছানা কাওছারা। তিনি জানান, প্রশিক্ষণে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৯ জুন উপজেলা প্রশাসনের পাঠানো লিখিত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করা হয়। দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন বস্ত্র ও পাট অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব দীপক কুমার সরকার। তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল ঢাকা থেকে এসে তদন্ত করে গেছেন।

এ ঘটনায় গত ২৯ জুন আজকের পত্রিকায় ‘শ্বশুর-দেবরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন পাট কর্মকর্তা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—বস্ত্র ও পাট অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও উপসচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ও পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. ওসমান আলী শেখ। এ ছাড়া তদন্তের সময় ইউএনও আফছানা কাওছার, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মালাকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল সঙ্গে ছিলেন।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও উপসচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ জানান, তদন্তে সাক্ষীদের দেওয়া সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতারের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা প্রদান সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে অধিদপ্তর।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা আরেক সদস্য প্রকল্পটির সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ ওসমান আলী শেখ বলেন, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পটি দেশের ৪৫টি জেলার ২৮০টি উপজেলায় চলমান রয়েছে। এ রকম অনিয়ম এটিই প্রথম। পাট কর্মকর্তা ঝরনা আক্তারও তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন।

তদন্তের দিন অভিযুক্ত উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পরিষদ হলরুমে অন্য উপজেলা থেকে আত্মীয়স্বজনদের প্রশিক্ষণার্থী বানিয়ে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতারের বিরুদ্ধে। সে সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত