Ajker Patrika

নীলফামারীতে আগাম আমন কাটার ধুম, খেতেই বিক্রি

সিএসএম তপন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪: ০৫
নীলফামারীতে আগাম আমন কাটার ধুম, খেতেই বিক্রি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ৯টি ইউনিয়নে আবাদ করা স্বল্পমেয়াদি আমন কাটার ধুম পড়েছে। ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই নিয়ে দম ফেলার ফুরসত নেই কৃষকের। বাড়তি ও লাভজনক ফসল হিসেবে চাষাবাদ করেছেন স্বল্পমেয়াদি এই আগাম জাতের আমন ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এবার ফলনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ধানের পাশাপাশি গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় হাট-বাজারে চলছে কাঁচা খড়ের আঁটির রমরমা ব্যবসা। দামও পাচ্ছেন আশানুরূপ। মণপ্রতি কাঁচা ধান ৭৫০-৮০০, আর শুকনো ধান ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। 

অনেক কৃষক ধান কেটে জমিতেই মাড়াই ও বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা এসে খেত থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ধান কাটার পর ওই জমিতে আগাম আলুসহ শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্নের ফসল আগাম আলু রোপণে জোরেশোরে মাঠে কাজ করছেন আলুচাষিরা। উঁচু, বেলে ও দোআঁশ মাটি হওয়ায় এ এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ সারা বছরই সবুজে ভরা থাকে। জমিগুলোতে তিন থেকে চারটি ফসল হওয়ায় কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। আগাম ধান কাটা ও আলু রোপণ যেন শীতেরই আগমনী বার্তা বহন করে। শীতকালীন পিঠা-পায়েস তৈরি ও নবান্নের প্রস্তুতি চলছে গ্রামে গ্রামে। 

সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কৃষিশ্রমিকেরা ধান কাটছেন, কেউ জমিতে ধান মাড়াই করে বস্তায় ভরছেন। এ সময় পুঁটিমারী ইউনিয়নের কৃষক গজেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে চায়না আগাম জাতের ধান রোপণ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ ধান হয়েছে। দামও ভালো। এবার চার বিঘায় আগাম আলু গারিমো (রোপণ করব)।’ বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আনারুল বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে চায়না ধান চাষ করেছি। প্রতি মণ ধান বিক্রি করছি ৮০০ টাকার ওপরে।’ 

নিতাই ইউনিয়নের কাচারিপাড়ার কৃষক সামছুল হক বলেন, ‘ধানের ফলন ভালো। বাজারে আশানুরূপ দাম পাচ্ছি।’ উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জে এ বছর আগাম আমন ধান চাষ হয়েছে ১৪ হাজার ৯৩৫ হেক্টরে। এরই মধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কাটার পরপরই এসব জমিতে আগাম আলু রোপণ করা হবে। সে জন্য কৃষকেরা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এ ছাড়া এ বছর আগাম আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬০০ হেক্টর।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, কৃষকেরা আগাম আমন ধান কাটা যেমন শুরু করেছেন, তেমনি ওই জমিতে আগাম আলু রোপণেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও পাচ্ছেন বেশ ভালো। আগাম ফসল ঘরে ওঠায় কৃষকেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত