প্রতারণার অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জে নারীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৮: ৩৮
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৯: ০০

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিভিন্ন রকমের প্রতারণার অভিযোগে নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ তথ্য জানিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঢাকার ধামরাইয়ের মুরারচর গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), গাইবান্ধা সদর থানার ডেভিড কোম্পানিপাড়ার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফাহিম মিয়া (২২), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের আয়ভাঙ্গি গ্রামের মুনফুর আলীর মেয়ে মেহনাজ আকতার সাথী (২৮), ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বামনকুড়ি গ্রামের জহুরুল আকন্দের ছেলে জুয়েল আকন্দ (২৬) এবং গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের তরফমনু গ্রামের ময়নুল শেখের ছেলে রুবেল শেখ (২৫)। 

এসপি কামাল হোসেন বলেন, ১৫ দিন আগে সাঘাটা উপজেলার আপেল মাহমুদ নামের এক যুবকের সঙ্গে আসামি রুবেল শেখ ও জুয়েল আকন্দের ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় রুবেল ও জুয়েল পরিকল্পিতভাবে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আপেল মাহমুদকে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে নেন। 

এরপর তিনজনই বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানা মোড়ের নুরজাহান আবাসিক হোটেলে একটি কক্ষে আপেল মাহমুদকে আটকে রাখে আসামিরা। সেখানে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী আপেল মাহমুদের লগ্ন ছবি ও অশ্লীল ভিডিও তৈরির হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দাবি করা টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগীকে মারধর করে তাঁর কাছে থাকা নগদ ১৮ হাজার টাকা ও স্মার্ট ফোন কেড়ে নেন তাঁরা। পরে ভুক্তভোগী আপেল মাহমুদের পরিবার থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ তাঁদের অবস্থান শনাক্ত আপেল মাহমুদকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। 

অপর দিকে, ১০ দিন আগে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলামের সঙ্গে অপর অভিযুক্ত মেহনাজ আকতার সাথীর ইমোতে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে মেহনাজ আকতার সাথী জহুরুল ইসলামকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জে ডেকে নেন। দুজনে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি শেষে মেহনাজ আকতার সাথী জহুরুল ইসলামকে তাঁর ভাড়াবাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেহনাজ আকতার সাথী তাঁর স্বামী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও তাঁর সহযোগী ফাহিমকে সঙ্গে নিয়ে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলামকে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাঁকে মারধর করেন। সেই সঙ্গে জহুরুল ইসলামের কাছে থাকা দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। 

পরে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম পরিবারকে বিষয়টি জানালে তাঁর পরিবার পুলিশের শরণাপন্ন হয়। এরপর একইভাবে সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে জঙ্গলমারা গ্রামে ডায়াবেটিস হাসপাতালে পেছন থেকে অভিযুক্তের ভাড়া বাড়ি থেকে জহুরুল ইসলামকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত