প্রতিনিধি
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): মফস্বল এলাকায় এমনিতেই মিল্কভিটা, প্রাণ বা ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠান দুধ কিনে না। ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামারিদের ভরসা স্থানীয় হোটেল, রেস্তোরাঁ আর ছোট ছোট চায়ের দোকান। ব্রয়লার মুরগির খামারিদেরও ভরসাস্থল এসব হোটেল রেস্তোরাঁ। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে ৫ এপ্রিল থেকে অব্যাহত লকডাউনে স্থানীয় খাবারের দোকানগুলো প্রায় বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দুগ্ধ ও ব্রয়লার খামারিরা।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বাজারে দুধের চাহিদা না থাকায় খামারিরা পানির দামে দুধ বিক্রি করছেন। যাদের রেফ্রিজারেটর রয়েছে তাদেরও এখন আর দুধ রাখার জায়গা নেই।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব জানান, পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ৮০টি গরুর খামার রয়েছে। এর পাশাপাশি ৬০-৭০হাজার গরু রয়েছে এর মধ্যে ২৫-৩০ হাজার দেশি সংকর দুগ্ধবতী গাভী।এছাড়া প্রায় ৪০ হাজার বিদেশি গাভী রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দুয়েকটি দুগ্ধবতী গাভী রয়েছে। অনেকের আয়ের একমাত্র উৎস এই দুধ। তারা পড়েছেন চরম বিপাকে।
অপরদিকে উপজেলায় লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির ছোট ও মাঝারি খামার রয়েছে ২৫০টি। এই খামারিরাও সমসায় পড়েছেন বলে জানান ডা. আহসান হাবীব।
ফুলবাড়ীর খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ১০০-১১০ টাকা কেজি। এখন বেচতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে।
খয়েরবাড়ী এলাকার খামারি শাহিনুর বলেন, মুরগির দাম কমলেও খাবারের দাম কিন্তু বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে খামার বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না। লোকসানে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। আবার মুরগি রেখে দিলে খাবার কিনতে হিশশিম খেতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পুঁজি হারোনোর শংকায় পড়েছেন।
মাঝারি দুগ্ধ খামারিদের বিপদ আরও বেশি। দৈনিক শতাধিক লিটার দুধ নিয়ে তারা কী করবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না। উপজেলার সাদিক ডেইরী ফার্মের মালিক শিবলী সাদিক বলেন, তার খামারে ১৪টি গাভি রয়েছে, প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ কেজি দুধ হয়। শহরের হোটেল রেস্তোরাঁয় এই দুধ বিক্রি করতেন। এখন তাকে প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সুজাপুর গ্রামের খামারি অরুণ ও হাজির মোড় এলাকার খামারি আলামিনও একই কথা বলেন। আলামিনের বাড়িতে একটি গাভি রয়েছে। প্রতিদিন ১০-১২ কেজি দুধ হয়। এটিই তার আয়ের উৎস। এখন কিছু দুধ ফ্রিজে রাখছেন, বাকিটা কম দামে বিক্রি করছেন।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): মফস্বল এলাকায় এমনিতেই মিল্কভিটা, প্রাণ বা ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠান দুধ কিনে না। ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামারিদের ভরসা স্থানীয় হোটেল, রেস্তোরাঁ আর ছোট ছোট চায়ের দোকান। ব্রয়লার মুরগির খামারিদেরও ভরসাস্থল এসব হোটেল রেস্তোরাঁ। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে ৫ এপ্রিল থেকে অব্যাহত লকডাউনে স্থানীয় খাবারের দোকানগুলো প্রায় বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দুগ্ধ ও ব্রয়লার খামারিরা।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বাজারে দুধের চাহিদা না থাকায় খামারিরা পানির দামে দুধ বিক্রি করছেন। যাদের রেফ্রিজারেটর রয়েছে তাদেরও এখন আর দুধ রাখার জায়গা নেই।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব জানান, পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ৮০টি গরুর খামার রয়েছে। এর পাশাপাশি ৬০-৭০হাজার গরু রয়েছে এর মধ্যে ২৫-৩০ হাজার দেশি সংকর দুগ্ধবতী গাভী।এছাড়া প্রায় ৪০ হাজার বিদেশি গাভী রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দুয়েকটি দুগ্ধবতী গাভী রয়েছে। অনেকের আয়ের একমাত্র উৎস এই দুধ। তারা পড়েছেন চরম বিপাকে।
অপরদিকে উপজেলায় লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির ছোট ও মাঝারি খামার রয়েছে ২৫০টি। এই খামারিরাও সমসায় পড়েছেন বলে জানান ডা. আহসান হাবীব।
ফুলবাড়ীর খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ১০০-১১০ টাকা কেজি। এখন বেচতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে।
খয়েরবাড়ী এলাকার খামারি শাহিনুর বলেন, মুরগির দাম কমলেও খাবারের দাম কিন্তু বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে খামার বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না। লোকসানে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। আবার মুরগি রেখে দিলে খাবার কিনতে হিশশিম খেতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পুঁজি হারোনোর শংকায় পড়েছেন।
মাঝারি দুগ্ধ খামারিদের বিপদ আরও বেশি। দৈনিক শতাধিক লিটার দুধ নিয়ে তারা কী করবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না। উপজেলার সাদিক ডেইরী ফার্মের মালিক শিবলী সাদিক বলেন, তার খামারে ১৪টি গাভি রয়েছে, প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ কেজি দুধ হয়। শহরের হোটেল রেস্তোরাঁয় এই দুধ বিক্রি করতেন। এখন তাকে প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সুজাপুর গ্রামের খামারি অরুণ ও হাজির মোড় এলাকার খামারি আলামিনও একই কথা বলেন। আলামিনের বাড়িতে একটি গাভি রয়েছে। প্রতিদিন ১০-১২ কেজি দুধ হয়। এটিই তার আয়ের উৎস। এখন কিছু দুধ ফ্রিজে রাখছেন, বাকিটা কম দামে বিক্রি করছেন।
কারখানার ভেতরে আবর্জনায় ভরা। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। ছিটিয়ে রাখা হয়েছে তৈরি করা বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যখন খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতের কাজ চলছিল তখন পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
৩৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহতে সন্ত্রাস দমন ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থাপন করা পুলিশ ফাঁড়ি সন্ত্রাসীদের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অতি শিগগিরই সেখানে ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
৩৭ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গুলির ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে