রংপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ বা ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখন আর জ্বালানো যাবে না।
রংপুরের মাহিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সংগঠনটির মুখপাত্র এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
৮ দফা দাবিগুলো হলো—
১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন।
২. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
৩. সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।
৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ট্রাস্ট ফাউন্ডেশন গঠন।
৫. দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় ও হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ।
৭. সংস্কৃত ও পালি শিক্ষাবোর্ড আধুনিকায়ন।
৮. দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটিসহ ধর্মীয় উৎসবের জন্য ছুটি বরাদ্দ।
সমাবেশে শ্রীপদ চিন্ময় বলেন, ‘আমাদেরকে ইন্ডিয়ার দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল এসব ট্যাগ দিয়ে বহু রাজনীতি করেছেন। বহুদিন জালিয়েছেন আর জ্বালানো যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্র বিনির্মাণে সহযোগী হতে চাই, ক্ষমতা নিয়ে নই। আমরা উপদেষ্টা হতে চাই না। রাজনীতি মানে হচ্ছে উত্তমনীতি, রাজনীতি আদর্শিক নীতি। যা প্রজার জনকল্যাণের জন্য নিহিত। এই রকম মানসিকতাসম্পন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতিকে আমরা সমর্থন করতে চাই। সেজন্য আমি আপনাদের বলব, দয়া করে আমাদেরকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। এই ৮ দফা অবশ্যই দ্রুততম সময়ে পরিপূরণ করুন।’
সনাতনীরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী উল্লেখ্য করে মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘আমরা কোনো সরকারের বিপক্ষে নই। আমরা কোনো সরকারের বা রাজনৈতিক দলের পক্ষেও নই, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, সাম্য আর সমতায় বিশ্বাসী। সাংবিধানিক অধিকার পাওয়ার জন্য প্রয়াসী। আমাদের এই মৌলিক দাবিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রচেষ্টা করবেন না।’
হিন্দুরা কোনো রাজনৈতিক দলের দালাল নয় উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা হচ্ছি বাংলাদেশিই। আমরা সংখ্যালঘু নই। যদি আমরা বাংলাদেশি হই, ১৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে, সেখানে কি করে ২০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ হতে পারে তিনটা ধর্মাবলম্বীর জন্য। সেখানে কি সমতা প্রদর্শিত হয়েছে?’
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে মুখপাত্র বলেন, ‘আপনি দেশে পরিবর্তন আনতে চেয়েছেন, আমরাও পরিবর্তনের সমর্থক। আমরা ব্যাক ডেটেট নই। আমরা হিন্দুরা কোনো রাজনৈতিক দলের দালাল নই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান করে দেখুন, হিন্দুরা প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়েছে। এই দুর্বলতা হিন্দুদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন। এই দুর্বলতা আজকে হিন্দুদেরকে দেশ ছাড়া ভিটাছাড়া করার জন্য বাধ্য করছে।’
সনাতনীদের ভোট নিয়ে মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘আমরা আজকে থেকে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। যেই দল আমাদের কথা শুনবে, যেই দল আমাদের দাবি পূরণ করবে আমরা শুধুমাত্র তাদেরকেই ভোট দেব।’
এর আগে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সমাবেশ করার কথা ছিল। জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলেও বৃহস্পতিবার রাতে সমাবেশের ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়। সেই পরিবর্তিত হিসেবে মাহিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ২টার দিকে সমাবেশ শুরু কথা থাকলেও বেলা ৩টায় সমাবেশ শুরু হয় এবং সন্ধ্যার আগেই শেষ হয়। তবে সকাল থেকে ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, অটোরিকশা করে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে সমাবেশের মাঠে আসেন সনাতনীরা।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ বা ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখন আর জ্বালানো যাবে না।
রংপুরের মাহিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সংগঠনটির মুখপাত্র এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
৮ দফা দাবিগুলো হলো—
১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন।
২. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
৩. সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।
৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ট্রাস্ট ফাউন্ডেশন গঠন।
৫. দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় ও হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ।
৭. সংস্কৃত ও পালি শিক্ষাবোর্ড আধুনিকায়ন।
৮. দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটিসহ ধর্মীয় উৎসবের জন্য ছুটি বরাদ্দ।
সমাবেশে শ্রীপদ চিন্ময় বলেন, ‘আমাদেরকে ইন্ডিয়ার দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল এসব ট্যাগ দিয়ে বহু রাজনীতি করেছেন। বহুদিন জালিয়েছেন আর জ্বালানো যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্র বিনির্মাণে সহযোগী হতে চাই, ক্ষমতা নিয়ে নই। আমরা উপদেষ্টা হতে চাই না। রাজনীতি মানে হচ্ছে উত্তমনীতি, রাজনীতি আদর্শিক নীতি। যা প্রজার জনকল্যাণের জন্য নিহিত। এই রকম মানসিকতাসম্পন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতিকে আমরা সমর্থন করতে চাই। সেজন্য আমি আপনাদের বলব, দয়া করে আমাদেরকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। এই ৮ দফা অবশ্যই দ্রুততম সময়ে পরিপূরণ করুন।’
সনাতনীরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী উল্লেখ্য করে মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘আমরা কোনো সরকারের বিপক্ষে নই। আমরা কোনো সরকারের বা রাজনৈতিক দলের পক্ষেও নই, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, সাম্য আর সমতায় বিশ্বাসী। সাংবিধানিক অধিকার পাওয়ার জন্য প্রয়াসী। আমাদের এই মৌলিক দাবিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রচেষ্টা করবেন না।’
হিন্দুরা কোনো রাজনৈতিক দলের দালাল নয় উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা হচ্ছি বাংলাদেশিই। আমরা সংখ্যালঘু নই। যদি আমরা বাংলাদেশি হই, ১৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে, সেখানে কি করে ২০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ হতে পারে তিনটা ধর্মাবলম্বীর জন্য। সেখানে কি সমতা প্রদর্শিত হয়েছে?’
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে মুখপাত্র বলেন, ‘আপনি দেশে পরিবর্তন আনতে চেয়েছেন, আমরাও পরিবর্তনের সমর্থক। আমরা ব্যাক ডেটেট নই। আমরা হিন্দুরা কোনো রাজনৈতিক দলের দালাল নই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান করে দেখুন, হিন্দুরা প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়েছে। এই দুর্বলতা হিন্দুদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন। এই দুর্বলতা আজকে হিন্দুদেরকে দেশ ছাড়া ভিটাছাড়া করার জন্য বাধ্য করছে।’
সনাতনীদের ভোট নিয়ে মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘আমরা আজকে থেকে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। যেই দল আমাদের কথা শুনবে, যেই দল আমাদের দাবি পূরণ করবে আমরা শুধুমাত্র তাদেরকেই ভোট দেব।’
এর আগে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সমাবেশ করার কথা ছিল। জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলেও বৃহস্পতিবার রাতে সমাবেশের ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়। সেই পরিবর্তিত হিসেবে মাহিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ২টার দিকে সমাবেশ শুরু কথা থাকলেও বেলা ৩টায় সমাবেশ শুরু হয় এবং সন্ধ্যার আগেই শেষ হয়। তবে সকাল থেকে ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, অটোরিকশা করে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে সমাবেশের মাঠে আসেন সনাতনীরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
২ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে