আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
দক্ষিণ-পশ্চিমা বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ ধান আর ধান। ধান পাকার সময় যত ঘনিয়ে আসে কৃষকের চোখে মুখে হাসি চলে আসে। তবে এবার বোরো মৌসুমে ধান পাকলেও কৃষকের মুখে নেই হাসি। সোনালি স্বপ্ন হঠাৎ ভাঁজ পড়ছে গাইবান্ধার কৃষকদের কপালে। ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে দিশেহারা পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করেই এ রোগের আক্রমণে বিঘার পর বিঘা বোরো খেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের এ সংক্রামক রোগের কারণ এখনো জানতে না পারলেও ধানের ক্ষতির বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষকেরা বলছেন খেতের ধান নষ্ট হওয়ার পর এ পরামর্শ নিয়ে লাভ কী তাদের! সঠিক সময়ে পরামর্শ দিলে কিছুটা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত বলে জানান কৃষকেরা। এত কষ্টের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হতাশায় পড়েছেন তাঁরা।
জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতল গ্রামের কৃষক শাহিন মিয়া বলেন, ‘খেতে ধান পাকা শুরু করছে। দূর থেকে দেখা যায় পাকা ধান। খেতে গিয়ে ধানের শিষ হাতে নিলে শুধু চিটা। এবার খরচের অর্ধেক টাকাও আসবে না। এবার শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি কৃষকের!’
আরেক কৃষক হাজমত আলী বলেন, ‘সার, বীজ, তেলসহ মজুরি দাম বেশি দিয়ে ফসল করেছি। এবার ক্ষতি কী দিয়ে পূরণ করব বুঝে উঠতে পারছি না।’
কৃষক দুদু মিয়া বলেন, ‘মানুষ যদি এত কষ্ট করে আবাদ করে ঘরে তুলতে না পারে, তাহলে সে আবাদ করে লাভ কী? ধানে মাজরা, ব্লাস্টসহ নতুন নতুন আসতেছে। হামরা কৃষক মানুষ আবাদ সাবাদ করে জীবন চালাই। তার উপরত যদি এত বিপদ আপাদ আসে হামরা বাঁচমো ক্যামনে!’
জেলার সদর উপজেলার বাদিয়াখালী গ্রামের মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘জমিতে দূর থেকে দেখা যায় ধান পাকছে। কিন্তু সেগুলো হাতে নিলে বাস্তবে দেখা যায় চিটা। কৃষি কর্মকর্তারা প্রথম থেকে যদি আমাদের পরামর্শ দিত, তাহলে এত বড় ক্ষতির মুখে আমরা পড়তাম না। আর আমরা কোনো কৃষকই এই রোগ সম্পর্কে জানতাম না। যে মুহূর্তে কৃষি কর্মকর্তা মাঠে নামছেন তার অনেক আগেই আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।’
আরেক কৃষক মতলুবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে ইরি লাগাইছি। এরপর থেকে আমাদের কাছে ঠিকমতো কোনো কৃষি অফিসার মাঠে আসেনি। পঁচারী (ব্লাস্ট) রোগের কারণে আমাদের যে ক্ষয় ক্ষতিটা হয়েছে, ধান গাড়া থেকে কাটা পর্যন্ত ব্যাপক টাকার ক্ষতি হবে। অফিসার সঠিক সময়ে এসে আমাদের পরামর্শটা দিলে এত বড় ক্ষতির মুখে আমরা পরতাম না। ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর কৃষি অফিসাররা লিফলেট হাতে দিচ্ছে। প্রচার করছে এগুলো করে কৃষকের লাভ হবে না। ওনাদের লাভের জন্য করছেন। দুই ট্যাকার প্রচার করে দুই হাজার ট্যাকার বিল করার জন্য। এদিকে কৃষক মরে ভূত হোক।’
আরেক কৃষক মজিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ কিসের জন্য আমাদের জানা নেই! এ বিভাগের নাম কৃষি বিভাগ না দিয়ে কৃষি ডাকাত বা মারা বিভাগ দিলে ভালো হতো। যাক কৃষকের কাজে আসে না তাক থুয়ে লাভ কী! এই কৃষি অফিসাররা যে কোট, টাই, মোজা, জুটা পড়ে আসে। তারা জমিতে নামবে ক্যামনে! শুধু রাস্তা দিয়ে ঘোরে বেড়ায় মাঝে মধ্যে। শুকনা জমি দেখলে কৃষকদের ডেকে জমিতে নিয়ে গিয়ে গলা ধরে ছবি তুলে বারবার ফেসবুকোত ছাড়ে। এই হলো ওমার কাজ কাম। কৃষকের খবর নেওয়ার দরকার নাই। আবাদ সাবাদ করে লস হলে ক্যামনে হামরা চলমো।’
জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল বলেন, ‘কৃষকদের পরামর্শ দিতে বিভিন্ন হাট বাজারে বসানো হয়েছে পরামর্শ ডেস্ক। আর ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে জমিতে পানি ধরে রাখা, জমিতে বিকেলে স্প্রে করাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকের সঠিক সময়ে পরামর্শের জন্য কর্মকর্তাদের সব সময় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ধানের ব্লাস্ট রোগটি ব্যতিক্রম হয়েছে। আটাশ ধানটিতে এ রোগ বেশি ক্ষতি করছে। শুরু থেকে এ ধান লাগাতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও তারা এই ধানটি বেশি লাগিয়েছে। অনেক সময় কৃষকেরা ফসল লাগানোর সময় আমাদের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন না। এখানে আমাদের করার কিছু নেই। জেলায় এবার ১ লাখ ২৮ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চারা রোপণ করেছেন কৃষকেরা।’
দক্ষিণ-পশ্চিমা বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ ধান আর ধান। ধান পাকার সময় যত ঘনিয়ে আসে কৃষকের চোখে মুখে হাসি চলে আসে। তবে এবার বোরো মৌসুমে ধান পাকলেও কৃষকের মুখে নেই হাসি। সোনালি স্বপ্ন হঠাৎ ভাঁজ পড়ছে গাইবান্ধার কৃষকদের কপালে। ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে দিশেহারা পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করেই এ রোগের আক্রমণে বিঘার পর বিঘা বোরো খেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের এ সংক্রামক রোগের কারণ এখনো জানতে না পারলেও ধানের ক্ষতির বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষকেরা বলছেন খেতের ধান নষ্ট হওয়ার পর এ পরামর্শ নিয়ে লাভ কী তাদের! সঠিক সময়ে পরামর্শ দিলে কিছুটা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত বলে জানান কৃষকেরা। এত কষ্টের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হতাশায় পড়েছেন তাঁরা।
জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতল গ্রামের কৃষক শাহিন মিয়া বলেন, ‘খেতে ধান পাকা শুরু করছে। দূর থেকে দেখা যায় পাকা ধান। খেতে গিয়ে ধানের শিষ হাতে নিলে শুধু চিটা। এবার খরচের অর্ধেক টাকাও আসবে না। এবার শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি কৃষকের!’
আরেক কৃষক হাজমত আলী বলেন, ‘সার, বীজ, তেলসহ মজুরি দাম বেশি দিয়ে ফসল করেছি। এবার ক্ষতি কী দিয়ে পূরণ করব বুঝে উঠতে পারছি না।’
কৃষক দুদু মিয়া বলেন, ‘মানুষ যদি এত কষ্ট করে আবাদ করে ঘরে তুলতে না পারে, তাহলে সে আবাদ করে লাভ কী? ধানে মাজরা, ব্লাস্টসহ নতুন নতুন আসতেছে। হামরা কৃষক মানুষ আবাদ সাবাদ করে জীবন চালাই। তার উপরত যদি এত বিপদ আপাদ আসে হামরা বাঁচমো ক্যামনে!’
জেলার সদর উপজেলার বাদিয়াখালী গ্রামের মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘জমিতে দূর থেকে দেখা যায় ধান পাকছে। কিন্তু সেগুলো হাতে নিলে বাস্তবে দেখা যায় চিটা। কৃষি কর্মকর্তারা প্রথম থেকে যদি আমাদের পরামর্শ দিত, তাহলে এত বড় ক্ষতির মুখে আমরা পড়তাম না। আর আমরা কোনো কৃষকই এই রোগ সম্পর্কে জানতাম না। যে মুহূর্তে কৃষি কর্মকর্তা মাঠে নামছেন তার অনেক আগেই আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।’
আরেক কৃষক মতলুবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে ইরি লাগাইছি। এরপর থেকে আমাদের কাছে ঠিকমতো কোনো কৃষি অফিসার মাঠে আসেনি। পঁচারী (ব্লাস্ট) রোগের কারণে আমাদের যে ক্ষয় ক্ষতিটা হয়েছে, ধান গাড়া থেকে কাটা পর্যন্ত ব্যাপক টাকার ক্ষতি হবে। অফিসার সঠিক সময়ে এসে আমাদের পরামর্শটা দিলে এত বড় ক্ষতির মুখে আমরা পরতাম না। ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর কৃষি অফিসাররা লিফলেট হাতে দিচ্ছে। প্রচার করছে এগুলো করে কৃষকের লাভ হবে না। ওনাদের লাভের জন্য করছেন। দুই ট্যাকার প্রচার করে দুই হাজার ট্যাকার বিল করার জন্য। এদিকে কৃষক মরে ভূত হোক।’
আরেক কৃষক মজিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ কিসের জন্য আমাদের জানা নেই! এ বিভাগের নাম কৃষি বিভাগ না দিয়ে কৃষি ডাকাত বা মারা বিভাগ দিলে ভালো হতো। যাক কৃষকের কাজে আসে না তাক থুয়ে লাভ কী! এই কৃষি অফিসাররা যে কোট, টাই, মোজা, জুটা পড়ে আসে। তারা জমিতে নামবে ক্যামনে! শুধু রাস্তা দিয়ে ঘোরে বেড়ায় মাঝে মধ্যে। শুকনা জমি দেখলে কৃষকদের ডেকে জমিতে নিয়ে গিয়ে গলা ধরে ছবি তুলে বারবার ফেসবুকোত ছাড়ে। এই হলো ওমার কাজ কাম। কৃষকের খবর নেওয়ার দরকার নাই। আবাদ সাবাদ করে লস হলে ক্যামনে হামরা চলমো।’
জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল বলেন, ‘কৃষকদের পরামর্শ দিতে বিভিন্ন হাট বাজারে বসানো হয়েছে পরামর্শ ডেস্ক। আর ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে জমিতে পানি ধরে রাখা, জমিতে বিকেলে স্প্রে করাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকের সঠিক সময়ে পরামর্শের জন্য কর্মকর্তাদের সব সময় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ধানের ব্লাস্ট রোগটি ব্যতিক্রম হয়েছে। আটাশ ধানটিতে এ রোগ বেশি ক্ষতি করছে। শুরু থেকে এ ধান লাগাতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও তারা এই ধানটি বেশি লাগিয়েছে। অনেক সময় কৃষকেরা ফসল লাগানোর সময় আমাদের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন না। এখানে আমাদের করার কিছু নেই। জেলায় এবার ১ লাখ ২৮ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চারা রোপণ করেছেন কৃষকেরা।’
কারখানার ভেতরে আবর্জনায় ভরা। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। ছিটিয়ে রাখা হয়েছে তৈরি করা বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যখন খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতের কাজ চলছিল তখন পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
২২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহতে সন্ত্রাস দমন ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থাপন করা পুলিশ ফাঁড়ি সন্ত্রাসীদের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অতি শিগগিরই সেখানে ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
২৪ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গুলির ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। আজ সোমবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। তাঁকে গ্রেপ্তারের খ
২৮ মিনিট আগে