শিপুল ইসলাম, রংপুর
রংপুরের একটি হোটেলে হরিজন সম্প্রদায়ের এক কিশোরকে বসে খেতে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের’ লেখা এক টুকরো কাগজ!
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার নগরীর কাচারিবাজারে মৌবন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। এর প্রতিবাদে আজ সোমবার মানববন্ধন করেছে হরিজন অধিকার সংগঠন। দুপুর ২টার দিকে নগরীর কাচারিবাজারে মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য দেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি রাজা বাসফোর, সহসভাপতি রাজু বাসফোর, সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোর, উপদেষ্টা শবরন বাসফোর, লিটন বাসফোরসহ অন্যরা। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সদস্য কামরুন্নাহার খানম শিখা, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু।
উল্লেখ্য, স্থানীয়ভাবে সুইপার নামে পরিচিত হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের প্রধান পেশা পরিচ্ছন্নতার কাজ। তাঁরা সাধারণত পয়োনিষ্কাশন নালা ও ল্যাট্রিন পরিষ্কারের কাজ করেন।
ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (১ অক্টোবর) নগরীর কাচারিবাজারে মৌবন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে খেতে যায় হরিজন সম্প্রদায়ের স্কুলছাত্র জীবন বাসফোর (১৬)। তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন হোটেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ‘এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের’—এমন কথা লিখে তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন হরিজন সম্প্রদায়ের নেতারা।
এ নিয়ে কথা হয় কাচারিবাজার এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নবম শ্রেণির ছাত্র জীবন বাসফোরের সঙ্গে। সে বলে, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাচারিবাজারের মৌবন হোটেলে নাশতা খেতে যাই। এ সময় মৌবন হোটেলের ম্যানেজারসহ কয়েকজন কর্মচারী আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এরপর হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের ওই হোটেলে খাবার খেতে নিষেধ আছে বলে তাঁরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। হোটেলের প্যাডে “এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের” লিখে স্বাক্ষর দিয়ে আমার হাতে ধরিয়ে দেন।’
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় মৌবন হোটেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব হোসেন বলেন, ‘কাস্টমারেরা যদি হরিজন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসে খায়, তাহলে আমাদের সমস্যা নাই। বিক্রি বাড়লেই আমাদের লাভ। আমার জানামতে, রংপুর শহরে কোনো হোটেলেই হরিজন সম্প্রদায়ের লোক বসে খাবার খায় না। হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশন যদি তাদের হোটেলে বসে খাওয়ার অনুমতি দেয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আর শনিবারের ঘটনাটি আমাদের সঙ্গে না। ওই হরিজন ছাত্রকে অন্য কাস্টমাররা হোটেলের প্যাডে “হরিজনদের খাওয়া নিষেধ” লিখে হাতে ধরিয়ে দেয়।’
এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের জিজ্ঞেস করা হয়, হোটেলে হরিজন সম্প্রদায়ের কোনো লোকের সঙ্গে বসে খেতে তাঁদের আপত্তি আছে কি না। এ প্রশ্নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলেছেন, তাঁদের আপত্তি নেই। তবে হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচিত কোনো সদস্য হোটেলে বসে খেতে দেখলে ওই টেবিলে আর কেউ বসতে চান না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেছেন, হরিজনেরাও যদি পরিচ্ছন্ন পরিপাটি হয়ে হোটেলে আসেন তাহলে একসঙ্গে খেতে তাঁদের সমস্যা নেই। তবে পরিপাটি থাকলেও পরিচিত হরিজনের সঙ্গে বসে খেতে আপত্তি জানিয়েছেন কয়েকজন। এখানে কোনো হরিজন সাধারণত হোটেলে বসে খায় না। তারা খাবার প্যাকেট করে নিয়ে যায়।
আজ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সংবিধানে সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু এই সমাজ হরিজনদের নীচু শ্রেণির বলে বৈষম্য করছে, তদের অধিকার হরণ করছে। তাদের পিছিয়ে রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কোনো মানুষ পিছিয়ে থাকবে না। সবাইকে সমাজের মূল স্রোতোধারায় আনা হবে। কিন্তু এই যুগেও একজন হরিজন সম্প্রদায়ের ছাত্রকে হোটেলে বসে খেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। তারা হোটেলে খেতে পারবে না—এমনটি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে লিখিত আকারে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন এর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন হরিজন নেতারা।
আজ রাতে ৯টা ১০ মিনিটে মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হোটেল মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দুই পক্ষ বসে বিষয়টি মিটমাট করতে চেয়েছে।’
এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে রংপুর হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল হক মুন্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হোটেল মালিক ও সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর এ বিষয়ে আপনাকে জানাতে পারব।’
রংপুরের একটি হোটেলে হরিজন সম্প্রদায়ের এক কিশোরকে বসে খেতে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের’ লেখা এক টুকরো কাগজ!
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার নগরীর কাচারিবাজারে মৌবন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। এর প্রতিবাদে আজ সোমবার মানববন্ধন করেছে হরিজন অধিকার সংগঠন। দুপুর ২টার দিকে নগরীর কাচারিবাজারে মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য দেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি রাজা বাসফোর, সহসভাপতি রাজু বাসফোর, সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোর, উপদেষ্টা শবরন বাসফোর, লিটন বাসফোরসহ অন্যরা। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সদস্য কামরুন্নাহার খানম শিখা, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু।
উল্লেখ্য, স্থানীয়ভাবে সুইপার নামে পরিচিত হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের প্রধান পেশা পরিচ্ছন্নতার কাজ। তাঁরা সাধারণত পয়োনিষ্কাশন নালা ও ল্যাট্রিন পরিষ্কারের কাজ করেন।
ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (১ অক্টোবর) নগরীর কাচারিবাজারে মৌবন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে খেতে যায় হরিজন সম্প্রদায়ের স্কুলছাত্র জীবন বাসফোর (১৬)। তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন হোটেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ‘এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের’—এমন কথা লিখে তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন হরিজন সম্প্রদায়ের নেতারা।
এ নিয়ে কথা হয় কাচারিবাজার এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নবম শ্রেণির ছাত্র জীবন বাসফোরের সঙ্গে। সে বলে, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাচারিবাজারের মৌবন হোটেলে নাশতা খেতে যাই। এ সময় মৌবন হোটেলের ম্যানেজারসহ কয়েকজন কর্মচারী আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এরপর হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের ওই হোটেলে খাবার খেতে নিষেধ আছে বলে তাঁরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। হোটেলের প্যাডে “এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের” লিখে স্বাক্ষর দিয়ে আমার হাতে ধরিয়ে দেন।’
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় মৌবন হোটেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব হোসেন বলেন, ‘কাস্টমারেরা যদি হরিজন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসে খায়, তাহলে আমাদের সমস্যা নাই। বিক্রি বাড়লেই আমাদের লাভ। আমার জানামতে, রংপুর শহরে কোনো হোটেলেই হরিজন সম্প্রদায়ের লোক বসে খাবার খায় না। হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশন যদি তাদের হোটেলে বসে খাওয়ার অনুমতি দেয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আর শনিবারের ঘটনাটি আমাদের সঙ্গে না। ওই হরিজন ছাত্রকে অন্য কাস্টমাররা হোটেলের প্যাডে “হরিজনদের খাওয়া নিষেধ” লিখে হাতে ধরিয়ে দেয়।’
এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের জিজ্ঞেস করা হয়, হোটেলে হরিজন সম্প্রদায়ের কোনো লোকের সঙ্গে বসে খেতে তাঁদের আপত্তি আছে কি না। এ প্রশ্নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলেছেন, তাঁদের আপত্তি নেই। তবে হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচিত কোনো সদস্য হোটেলে বসে খেতে দেখলে ওই টেবিলে আর কেউ বসতে চান না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেছেন, হরিজনেরাও যদি পরিচ্ছন্ন পরিপাটি হয়ে হোটেলে আসেন তাহলে একসঙ্গে খেতে তাঁদের সমস্যা নেই। তবে পরিপাটি থাকলেও পরিচিত হরিজনের সঙ্গে বসে খেতে আপত্তি জানিয়েছেন কয়েকজন। এখানে কোনো হরিজন সাধারণত হোটেলে বসে খায় না। তারা খাবার প্যাকেট করে নিয়ে যায়।
আজ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সংবিধানে সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু এই সমাজ হরিজনদের নীচু শ্রেণির বলে বৈষম্য করছে, তদের অধিকার হরণ করছে। তাদের পিছিয়ে রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কোনো মানুষ পিছিয়ে থাকবে না। সবাইকে সমাজের মূল স্রোতোধারায় আনা হবে। কিন্তু এই যুগেও একজন হরিজন সম্প্রদায়ের ছাত্রকে হোটেলে বসে খেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। তারা হোটেলে খেতে পারবে না—এমনটি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে লিখিত আকারে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন এর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন হরিজন নেতারা।
আজ রাতে ৯টা ১০ মিনিটে মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হোটেল মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দুই পক্ষ বসে বিষয়টি মিটমাট করতে চেয়েছে।’
এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে রংপুর হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল হক মুন্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হোটেল মালিক ও সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর এ বিষয়ে আপনাকে জানাতে পারব।’
পানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
২ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
১১ মিনিট আগেনুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৩৬ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগে