ট্রেনে নাশকতার আতঙ্ক, সৈয়দপুরে অবিক্রীত থাকছে অর্ধেক টিকিট

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৪১
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ২৭

সম্প্রতি নাশকতা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের জন্য ট্রেনযাত্রা ‘ভয়ংকর’ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ট্রেনে চলাচল করছে না অনেক সাধারণ যাত্রী। ফলে যাত্রীশূন্য হয়ে পড়েছে এখান থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সারা বছর ধরেই থাকে। এই উপজেলা ছাড়াও পাশের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের যাত্রীরা এই রুটে যাতায়াত করে। এখান থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী রুটে পাঁচটি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে প্রায় ১ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু সম্প্রতি ট্রেনে নাশকতার জেরে এখানকার টিকিট বিক্রি কমে গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সৈয়দপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের নেই কোনো ভিড়। চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেনের ভেতরের আসনগুলোর বেশির ভাগই খালি। অনলাইন টিকিটেও অনেক আসন অবিক্রীত দেখা যায়।

ওই ট্রেনের ফরিদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘যখন-তখন ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। যাতায়াত করতে ভয় লাগে। তার পরও জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যেতে হচ্ছে। কী আর করার!’

একই ট্রেনের মিথিলা পারভীন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘গত শনিবার বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে যেভাবে আগুন জ্বলেছে, তাতে ভয় লাগাটা স্বাভাবিক। তার পরও জরুরি প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে।’

শহরের ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘আমি নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করি। কিন্তু ট্রেনে যেভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে, ভয়ে আর ট্রেনে যাতায়াত করছি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই স্টেশনের জন্য প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ সিট বরাদ্দ থাকে। এখানে প্রতিটি ট্রেনে সারা বছর যাত্রী চাহিদা ব্যাপক থাকে। কিন্তু সম্প্রতি বরাদ্দের অর্ধেক টিকিটই অবিক্রীত থাকছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত