ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যদিকে বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরাও অনেক উচ্ছ্বসিত।
আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ী শিবগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ভাউলার হাট, ভেলাজান, রুহিয়া, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের খেত, বাড়ির আঙিনা এখন পাকা মরিচে উপচে পড়ছে। চলছে মরিচ শুকানোর ধুম।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার প্রতি বিঘা (৫০ শতক ) জমিতে গড়ে কাঁচা অবস্থায় ৮০ থেকে ৮৫ মণ করে মরিচের ফলন হয়েছে। শুকানোর পর বিঘাপ্রতি ফলন টিকছে ২০ থেকে ২২ মণ। খেত থেকে তুলেই প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি কৃষক পাচ্ছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে ২০ মণ শুকনা মরিচ বিক্রি করে পাচ্ছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অবশ্য এক বিঘা জমির মরিচ শুকাতে মজুরি বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। মজুরি খরচ বাদ দিয়ে কৃষকেরা বিঘাপ্রতি প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মতো লাভ করছেন।
সদর উপজেলার ভাউলার হাট এলাকার মরিচচাষি সাদেকুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর প্রতি মণ ৬ হাজারের বেশি টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকায়। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরাও আসছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো দাম পেলে লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি।
হরিপুর কাঁঠালডাঙ্গীর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন আগে মরিচের দাম কম ছিল। এখন মোটামুটি ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এক বিঘা জমিতে তিনি মরিচের আবাদ করেছেন। পাকা মরিচ তুলে এখন শুকাতে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক বিলপাড়া গ্রামের সায়েম সোবহান জানান, এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। চাহিদামতো দাম পেয়ে তিনিও সন্তুষ্ট।
একই উপজেলার আরও কয়েকজন কৃষক জানান, এবার খেত থেকে ওঠানো পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে গড়ে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। এক মণ মরিচ খেত থেকে তোলার জন্য শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। হাটে নিতে পরিবহন বাবদ আরেক দফা খরচ হচ্ছে। সেই হিসাবে খেত থেকেই যাঁরা পাকা মরিচ বিক্রি করছেন, তাঁদের খুব একটা লাভ হচ্ছে না। তবে যাঁরা শুকিয়ে বিক্রি করছেন, তাঁরা ভালো দাম পাচ্ছেন।
সদর উপজেলার রুহিয়া কুজিশহর এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি জানান, এ বছর শুকনা মরিচ ৮ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া জিরা মরিচ (চিকন) ৮ হাজারের ওপরে বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ ৭ হাজারের ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ বছর মরিচের অনেক ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর মরিচে রোগবালাই নেই বললেই চলে, তাই মরিচের ফলন ভালো হয়েছে।
এবার আমাদের হিসাব অনুযায়ী জেলায় ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারদরও ভালো থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যদিকে বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরাও অনেক উচ্ছ্বসিত।
আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ী শিবগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ভাউলার হাট, ভেলাজান, রুহিয়া, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের খেত, বাড়ির আঙিনা এখন পাকা মরিচে উপচে পড়ছে। চলছে মরিচ শুকানোর ধুম।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার প্রতি বিঘা (৫০ শতক ) জমিতে গড়ে কাঁচা অবস্থায় ৮০ থেকে ৮৫ মণ করে মরিচের ফলন হয়েছে। শুকানোর পর বিঘাপ্রতি ফলন টিকছে ২০ থেকে ২২ মণ। খেত থেকে তুলেই প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি কৃষক পাচ্ছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে ২০ মণ শুকনা মরিচ বিক্রি করে পাচ্ছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অবশ্য এক বিঘা জমির মরিচ শুকাতে মজুরি বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। মজুরি খরচ বাদ দিয়ে কৃষকেরা বিঘাপ্রতি প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মতো লাভ করছেন।
সদর উপজেলার ভাউলার হাট এলাকার মরিচচাষি সাদেকুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর প্রতি মণ ৬ হাজারের বেশি টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকায়। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরাও আসছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো দাম পেলে লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি।
হরিপুর কাঁঠালডাঙ্গীর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন আগে মরিচের দাম কম ছিল। এখন মোটামুটি ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এক বিঘা জমিতে তিনি মরিচের আবাদ করেছেন। পাকা মরিচ তুলে এখন শুকাতে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক বিলপাড়া গ্রামের সায়েম সোবহান জানান, এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। চাহিদামতো দাম পেয়ে তিনিও সন্তুষ্ট।
একই উপজেলার আরও কয়েকজন কৃষক জানান, এবার খেত থেকে ওঠানো পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে গড়ে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। এক মণ মরিচ খেত থেকে তোলার জন্য শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। হাটে নিতে পরিবহন বাবদ আরেক দফা খরচ হচ্ছে। সেই হিসাবে খেত থেকেই যাঁরা পাকা মরিচ বিক্রি করছেন, তাঁদের খুব একটা লাভ হচ্ছে না। তবে যাঁরা শুকিয়ে বিক্রি করছেন, তাঁরা ভালো দাম পাচ্ছেন।
সদর উপজেলার রুহিয়া কুজিশহর এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি জানান, এ বছর শুকনা মরিচ ৮ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া জিরা মরিচ (চিকন) ৮ হাজারের ওপরে বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ ৭ হাজারের ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ বছর মরিচের অনেক ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর মরিচে রোগবালাই নেই বললেই চলে, তাই মরিচের ফলন ভালো হয়েছে।
এবার আমাদের হিসাব অনুযায়ী জেলায় ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারদরও ভালো থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৩০ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৪০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে