পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দী ২ হাজার পরিবার

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২২, ২০: ৫৫

উজানের ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার ১৫টি চরগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

এদিকে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক বিঘার আমনখেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার ঢলে চরখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির প্রায় ২০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে। আকস্মিক ঢলে ইউনিয়নের প্রায় ৭০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সদ্য রোপণকৃত আমনখেত তলিয়ে গেছে পানিতে। 

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেরশ্বর চরের প্রায় ৫০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।’

 ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, সোমবার বেলা ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে (৫২ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা ৩টায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ২৫ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। রাতে পানি প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত