সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
৩২ দশমিক ৪৩ বর্গমাইল আয়তনের গ্রামটিতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোক বসবাস করে। এর বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রামবাসী মনে করেন, বিশাল গ্রামটিতে এখনো পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়নি।
ঐতিহাসিক কমলা রানীর সাগরদীঘি, লক্ষ্মীবাউরের জলাবন, রাজবাড়ী, বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি, মোগল আমলের প্রাচীন মসজিদসহ এখানে রয়েছে অনেক পুরাকীর্তি। তাই একে চমৎকার একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সাগরদীঘিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দেন। দিনাজপুরের রামসাগরের আদলে সাগরদীঘির পারেও পর্যটন পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে নানা কারণে সেই পর্যটন পার্ক এখনো গড়ে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পাল্টে যেত গ্রামটির অর্থনৈতিক চিত্র। সরকারেরও কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো।
বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মেজর জেনারেল (অব.) এম আবদুর রব বীর উত্তম, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠক জাকারিয়া খান চৌধুরী, মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা দুই সহোদর হেমসেন, সুশীল সেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহযোদ্ধা মৌলভি আব্দুল্লাহর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই গ্রামে জন্ম নিলেও গ্রামটিতে শিক্ষার দিক থেকেও বেশি এগোয়নি। শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৫৮ শতাংশ।
সাধারণত কয়েকটি পাড়া বা মহলা নিয়ে গঠিত হয় গ্রাম। কিন্তু এই সংজ্ঞাকে অচল করে দিয়ে ১২৮টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই বিশাল গ্রামটি। গ্রামে হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও দেখার মতো। ৮০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশি রেমিট্যান্স আর্থসামাজিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখছে।
অনেকের মতে, শুধু এশিয়ার নয় গোটা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। ড. শেখ ফজলে এলাহীর ‘বানিয়াচং বৃত্তান্ত’ বইতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একে। সুলতানি আমলে করদ রাজ্য ও মোগল আমলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে স্থানান্তরিত লাউর রাজ্যের রাজধানী ছিল বানিয়াচং।
যত দূর জানা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে গ্রামটিতে কমলারানীর দীঘি খনন করেন রাজা পদ্মনাভ। ৬৬ একর আয়তনের কমলারানীর দিঘি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘিগুলোর একটি। সাগরের মতো বিশাল হওয়ায় অনেকে সাগরদীঘিও নামেও ডাকেন একে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচং পরিদর্শনে এলে সাগরদীঘির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে একটি কবিতা লিখেছেন। এ ছাড়া গ্রামটিতে মজলিশ খাঁর দীঘি, ঠাকুররানীর দীঘি, দেওয়ান দীঘি ও জামাল খাঁর দীঘি নামে চারটি দীঘি রয়েছে। পুরানবাগ মসজিদ, বিবির দরগা, কালিকাপাড়া, রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ, শ্যাম বাউলের আখড়া প্রাচীন স্থাপত্যের নির্দেশন হিসেবে এখনো টিকে আছে। তবে এসব প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, এই গ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করতে হলে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে ওই সকল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে পারলে দেশ ও এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশেলে অনন্য এক গ্রাম বানিয়াচং। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। অনেকে একে এশিয়ার, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেন। গ্রামটিতে জন্ম নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার বিশ্বজয়ও করেছেন।
৩২ দশমিক ৪৩ বর্গমাইল আয়তনের গ্রামটিতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোক বসবাস করে। এর বেশির ভাগ লোকই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রামবাসী মনে করেন, বিশাল গ্রামটিতে এখনো পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়নি।
ঐতিহাসিক কমলা রানীর সাগরদীঘি, লক্ষ্মীবাউরের জলাবন, রাজবাড়ী, বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি, মোগল আমলের প্রাচীন মসজিদসহ এখানে রয়েছে অনেক পুরাকীর্তি। তাই একে চমৎকার একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সাগরদীঘিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দেন। দিনাজপুরের রামসাগরের আদলে সাগরদীঘির পারেও পর্যটন পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে নানা কারণে সেই পর্যটন পার্ক এখনো গড়ে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পাল্টে যেত গ্রামটির অর্থনৈতিক চিত্র। সরকারেরও কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো।
বাইসাইকেলে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণকারী ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মেজর জেনারেল (অব.) এম আবদুর রব বীর উত্তম, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠক জাকারিয়া খান চৌধুরী, মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা দুই সহোদর হেমসেন, সুশীল সেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহযোদ্ধা মৌলভি আব্দুল্লাহর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই গ্রামে জন্ম নিলেও গ্রামটিতে শিক্ষার দিক থেকেও বেশি এগোয়নি। শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৫৮ শতাংশ।
সাধারণত কয়েকটি পাড়া বা মহলা নিয়ে গঠিত হয় গ্রাম। কিন্তু এই সংজ্ঞাকে অচল করে দিয়ে ১২৮টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই বিশাল গ্রামটি। গ্রামে হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিও দেখার মতো। ৮০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশি রেমিট্যান্স আর্থসামাজিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখছে।
অনেকের মতে, শুধু এশিয়ার নয় গোটা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। ড. শেখ ফজলে এলাহীর ‘বানিয়াচং বৃত্তান্ত’ বইতে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একে। সুলতানি আমলে করদ রাজ্য ও মোগল আমলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে স্থানান্তরিত লাউর রাজ্যের রাজধানী ছিল বানিয়াচং।
যত দূর জানা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে গ্রামটিতে কমলারানীর দীঘি খনন করেন রাজা পদ্মনাভ। ৬৬ একর আয়তনের কমলারানীর দিঘি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘিগুলোর একটি। সাগরের মতো বিশাল হওয়ায় অনেকে সাগরদীঘিও নামেও ডাকেন একে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচং পরিদর্শনে এলে সাগরদীঘির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে একটি কবিতা লিখেছেন। এ ছাড়া গ্রামটিতে মজলিশ খাঁর দীঘি, ঠাকুররানীর দীঘি, দেওয়ান দীঘি ও জামাল খাঁর দীঘি নামে চারটি দীঘি রয়েছে। পুরানবাগ মসজিদ, বিবির দরগা, কালিকাপাড়া, রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ, শ্যাম বাউলের আখড়া প্রাচীন স্থাপত্যের নির্দেশন হিসেবে এখনো টিকে আছে। তবে এসব প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, এই গ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করতে হলে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে ওই সকল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে পারলে দেশ ও এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৪ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৫ ঘণ্টা আগে