মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
চিকিৎসার জন্য তিন দিন আগে ঢাকা গিয়েছিলেন সহকারী শিক্ষিকা মোছা জাহানারা আক্তার (৪০)। স্বামী মো. সেলিম মিয়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসা শেষে ঢাকা-বরগুনাগামী লঞ্চ অভিযান-১০-এ করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সেদিন রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ রয়েছেন শিক্ষিকা জাহানারা আক্তার। আর সেলিম মিয়া বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিখোঁজ জাহানারা আক্তার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমত শ্রীনগর গ্রামের মুজাফফর হাওলাদারের মেয়ে এবং উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী সেলিম হাওলাদারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার রানীপুর গ্রামে।
জাহানারা আক্তারের বড় ভাই সত্তার হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছয় ভাইবোনের মধ্যে জাহানারা সবার ছোট। দুই বোন ও এক ভাই অনেক আগেই মারা গেছেন। বোনদের মধ্যে জাহানারা একাই জীবিত ছিলেন। সাত-আট বছর আগে বেতাগীর সেলিম হাওলাদারের সঙ্গে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পরই স্বামী (সেলিম হাওলাদার) সৌদি আরবে চলে যান। চার থেকে পাঁচ মাস আগে সেলিম সৌদি আরব থেকে বাড়িতে আসেন। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। গত ২০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য তাঁরা ঢাকায় যান। চিকিৎসা শেষে সেদিনই তাঁরা বাড়িতে ফিরছিলেন।
জাহানারার স্বামী সেলিম মিয়া বলেন, ‘দোতলায় লঞ্চের ডেকের একটি জায়গায় আমরা (স্বামী-স্ত্রী) বিছানা করে ছিলাম। দুর্ঘটনার সময় আমি টয়লেটে গিয়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে টয়লেট থেকে বের হয়ে দেখতে পাই শুধু আগুনের লেলিহান শিখা। আগুনের মধ্যেই লঞ্চের পেছন থেকে নদীতে ঝাঁপ দেই। ওই সময় স্ত্রী জাহানারা আক্তার বিছানায় ছিল। এখন সে (জাহানারা) কোথায় আছে কিছুই জানি না।’
উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা সাফিয়া আক্তার বলেন, জাহানারা একজন দক্ষ ও আদর্শবান শিক্ষিকা ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বরিশাল শেবাচিমের সার্জারি ইউনিট-৩-এর প্রধান চিকিৎসক মো. ফেরদৌস বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় সেলিম হাওলাদারসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মির্জাগঞ্জের কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
চিকিৎসার জন্য তিন দিন আগে ঢাকা গিয়েছিলেন সহকারী শিক্ষিকা মোছা জাহানারা আক্তার (৪০)। স্বামী মো. সেলিম মিয়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসা শেষে ঢাকা-বরগুনাগামী লঞ্চ অভিযান-১০-এ করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সেদিন রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ রয়েছেন শিক্ষিকা জাহানারা আক্তার। আর সেলিম মিয়া বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিখোঁজ জাহানারা আক্তার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমত শ্রীনগর গ্রামের মুজাফফর হাওলাদারের মেয়ে এবং উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী সেলিম হাওলাদারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার রানীপুর গ্রামে।
জাহানারা আক্তারের বড় ভাই সত্তার হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছয় ভাইবোনের মধ্যে জাহানারা সবার ছোট। দুই বোন ও এক ভাই অনেক আগেই মারা গেছেন। বোনদের মধ্যে জাহানারা একাই জীবিত ছিলেন। সাত-আট বছর আগে বেতাগীর সেলিম হাওলাদারের সঙ্গে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পরই স্বামী (সেলিম হাওলাদার) সৌদি আরবে চলে যান। চার থেকে পাঁচ মাস আগে সেলিম সৌদি আরব থেকে বাড়িতে আসেন। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। গত ২০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য তাঁরা ঢাকায় যান। চিকিৎসা শেষে সেদিনই তাঁরা বাড়িতে ফিরছিলেন।
জাহানারার স্বামী সেলিম মিয়া বলেন, ‘দোতলায় লঞ্চের ডেকের একটি জায়গায় আমরা (স্বামী-স্ত্রী) বিছানা করে ছিলাম। দুর্ঘটনার সময় আমি টয়লেটে গিয়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে টয়লেট থেকে বের হয়ে দেখতে পাই শুধু আগুনের লেলিহান শিখা। আগুনের মধ্যেই লঞ্চের পেছন থেকে নদীতে ঝাঁপ দেই। ওই সময় স্ত্রী জাহানারা আক্তার বিছানায় ছিল। এখন সে (জাহানারা) কোথায় আছে কিছুই জানি না।’
উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা সাফিয়া আক্তার বলেন, জাহানারা একজন দক্ষ ও আদর্শবান শিক্ষিকা ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বরিশাল শেবাচিমের সার্জারি ইউনিট-৩-এর প্রধান চিকিৎসক মো. ফেরদৌস বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় সেলিম হাওলাদারসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মির্জাগঞ্জের কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
আয়শা আক্তার আঁখি এ পর্যন্ত তিনি ৫ শতাধিক গয়না তৈরি করেছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে কানের দুল, গলার সেট, মালা, চুড়িসহ নানা ধরনের গয়না। মাটির গয়নায় নান্দনিক ডিজাইন ও কারুকাজ যুক্ত করে সেগুলি তৈরি করেন তিনি। শুরুতে তেমন সাড়া না পেলেও এখন তাঁর তৈরি গয়নাগুলো অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এবং ক্রেতারা নতুন অর্ডার...
১১ মিনিট আগেগতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসনালিসহ হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছ
৩৪ মিনিট আগেঅভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
৭ ঘণ্টা আগেছোট্ট দোকান। দোকানের সামনে কোনো সাইনবোর্ড নেই। দোকানটিতে পাওয়া যায় শুধু জিলাপি আর নিমকি। প্রতিবছর রোজার দিনে দুপুরের পর থেকে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ের এই দোকানে জিলাপি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগে