১১ দফা দাবিতে সিলেটে চা-শ্রমিকদের সমাবেশ

সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ০৪
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ২৯

ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, চা-শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী গেজেট বাতিলসহ ১১ দফা দাবিতে সিলেটে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেট কোর্ট পয়েন্টে জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ সিলেট জেলার উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায় এতে সভাপতিত্ব করেন। গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব সুশান্ত সিনহা সুমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রবীণ শ্রমিকনেতা জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মনজুরুল আহসান খান, বাংলাদেশ শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, চা-শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। 

আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অপু দাস গুপ্ত, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ সিলেট জেলার সভাপতি সিরাজ আহমদ, চা-শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হৃদেশ মুদি, চা-শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সবুজ তাতী, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সভাপতি বিরেন সিং প্রমুখ। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, একদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে মালিকদের প্রহসন, আরেক দিকে চা-শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী গেজেট—প্রতিটা ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হচ্ছে। মালিক শ্রেণির ইন্ধনে নির্বিচারে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক হত্যা আজ আন্দোলন দমনের হাতিয়ার আকারে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মূল্যস্ফীতির এই বাজারে গার্মেন্টস শ্রমিকেরা তাঁদের ন্যায্য বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবি করেছিল, অথচ নতুন ঘোষিত মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে ‘প্রহসন’ করা হয়েছে। 

বক্তারা বলেন, সরকার ও মালিকপক্ষ বর্তমান নতুন গ্রেডিং নিয়মে যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করেছে তা দক্ষ শ্রমিকদের জন্য প্রহসনের শামিল। পূর্বের মজুরি অনুযায়ী, ইনক্রিমেন্টসহ জ্যেষ্ঠ অপারেট শ্রমিকের মজুরি ১১ হাজার টাকার বেশি ছিল অথচ নতুন মজুরি কাঠামোয় গ্রেড ৪ অনুযায়ী তাঁদের মজুরি ১৩ হাজার ২৫ টাকা। এই ‘প্রহসনের’ মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে বিজিবি-পুলিশ। 

এ ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি করেন নেতারা। অবিলম্বে গুলি, হত্যা, হামলা-মামলা বন্ধ করে শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অনুরূপভাবে চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরিও একধরনের প্রহসন মাত্র, যা চা-শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরি সেই ইঙ্গিত বহন করে। বিবৃতিতে অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার বিচার ও ২৫ হাজার টাকা বেতন, অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ বাতিল, চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা করাসহ জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত