সিলেট প্রতিনিধি
চলমান বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বেড়েই চলেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি, যার ফলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। সিলেট জেলা শহরের সঙ্গে সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার সড়কযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সারা দেশের সঙ্গে প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বন্যাকবলিত উপজেলার বাসিন্দারা।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ নৌকা ও উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকায় জেলা প্রশাসক সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারসহ সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেটের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সিলেট জেলায় অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। অব্যাহতভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার সড়কযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি উপজেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষত গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও সিলেট সদর উপজেলার সব কটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ব্যাপক লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় নৌকা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে পানিবন্দী লোকদের উদ্ধার করা সম্ভব না হলে মানবিক বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্ধার তৎপরতা এবং অন্যান্য সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট জেলার দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২-এর ৩০ ধারা মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে পানিবন্দী লোকদের উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।’
অন্যদিকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও বেশি অবনতি হচ্ছে। উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে যারা বাড়িতে রয়ে গিয়েছিল, তারা পড়েছে বিপাকে। পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়েও যেতে পারছে না। এর মধ্যে রয়েছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। এসব এলাকার অনেক আশ্রয়কেন্দ্রও পানিতে নিমজ্জিত, যার ফলে চরম দুর্ভোগ ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার ঘরে এখন বুক সমান পানি, তাই নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে আছি। মানুষের আহাজারিতে, কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সব। যারা ঘর ও আসবাবপত্রের মায়ায় ঘর ছাড়েনি, তারা এখন বিপাকে পড়েছে। কারণ গতকাল দিনে যেখানে কোমরপানি ছিল, সেখানে রাতে গলাপানি হয়ে গেছে। এখন তারা সেখান থেকে আসতে চাইলেও আসতে পারছে না। কারণ পানি বেশি এবং নৌকাও নেই। অনেকে নিজের স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আহাজারি করছেন আপনজনদের সঙ্গে আনতে না পেরে। খুব দ্রুত উদ্ধার করা প্রয়োজন এসব মানুষকে। ভয়াবহ বন্যায় অসহায় অবস্থায় আছে উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানো হবে উদ্ধারকাজের জন্য। আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর জন্য। তাঁরা দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করবে।’
চলমান বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বেড়েই চলেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি, যার ফলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। সিলেট জেলা শহরের সঙ্গে সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার সড়কযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সারা দেশের সঙ্গে প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বন্যাকবলিত উপজেলার বাসিন্দারা।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ নৌকা ও উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকায় জেলা প্রশাসক সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারসহ সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেটের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সিলেট জেলায় অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। অব্যাহতভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার সড়কযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি উপজেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষত গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও সিলেট সদর উপজেলার সব কটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ব্যাপক লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় নৌকা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে পানিবন্দী লোকদের উদ্ধার করা সম্ভব না হলে মানবিক বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্ধার তৎপরতা এবং অন্যান্য সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট জেলার দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২-এর ৩০ ধারা মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে পানিবন্দী লোকদের উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।’
অন্যদিকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও বেশি অবনতি হচ্ছে। উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে যারা বাড়িতে রয়ে গিয়েছিল, তারা পড়েছে বিপাকে। পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়েও যেতে পারছে না। এর মধ্যে রয়েছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। এসব এলাকার অনেক আশ্রয়কেন্দ্রও পানিতে নিমজ্জিত, যার ফলে চরম দুর্ভোগ ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার ঘরে এখন বুক সমান পানি, তাই নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে আছি। মানুষের আহাজারিতে, কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সব। যারা ঘর ও আসবাবপত্রের মায়ায় ঘর ছাড়েনি, তারা এখন বিপাকে পড়েছে। কারণ গতকাল দিনে যেখানে কোমরপানি ছিল, সেখানে রাতে গলাপানি হয়ে গেছে। এখন তারা সেখান থেকে আসতে চাইলেও আসতে পারছে না। কারণ পানি বেশি এবং নৌকাও নেই। অনেকে নিজের স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আহাজারি করছেন আপনজনদের সঙ্গে আনতে না পেরে। খুব দ্রুত উদ্ধার করা প্রয়োজন এসব মানুষকে। ভয়াবহ বন্যায় অসহায় অবস্থায় আছে উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানো হবে উদ্ধারকাজের জন্য। আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর জন্য। তাঁরা দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করবে।’
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
৩৬ মিনিট আগেরিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
৪৩ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
১ ঘণ্টা আগে