বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
বাহুবলে বন্যা পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতি হওয়ায় দিশেহারা বানভাসি মানুষ। উপজেলার স্নানঘাট, সাতকাপন ও লামাতাশি ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামই এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। এসব ইউনিয়নের অমৃতা, খাগাউড়া, কালাপুর, মুদাহরপুর, বাগদাইর, নিধনপুর, লালপুর, হোসেনপুর, শ্যামপুর, গোয়ালবাধা, ফতেহপুর, চকহায়দর, স্নানঘাট, স্বস্তিপুর, বক্তারপুর, সারংপুর, সোয়াইয়া, তারাপাশা, হাজীপুর, চানপুর, ধনিয়াখালী, লামা নোয়াগাঁও, কাজীহাটা গ্রামগুলো বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহুবল সদর ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে করাঙ্গী নদীর পানি প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে উপজেলার শতাধিক গ্রামই এখন কমবেশি বন্যার পানিতে ভাসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি স্নানঘাট ইউনিয়নে। সেখানে কয়েক শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে কয়েক শ পুকুর ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে কয়েক শ হেক্টর ফসলি জমি ও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। এই ইউনিয়নের সিংহভাগ গ্রামের ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশু, ধানচাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক পরিবার স্নানঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা চালানো হলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ছাড়া বন্যায় উপজেলার ভাটি অঞ্চলের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পানি ঢুকে পড়েছে। স্নানঘাট ইউনিয়নের ফতেহপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, সাতকাপন ইউনিয়নের রাসুলপুর সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও সদর ইউনিয়নের দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি হাইস্কুলে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তা ছাড়া খাড়াউড়া, অমৃতা, মুদাহরপুর, স্নানঘাট, স্বস্তিপুর, হোসেনপুর, চকহায়দর, বক্তারপুর, মানিকপুর, জগৎপুর, অলুয়া, পনারব্দা, হাবিজপুর, হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
হাবিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা নূরুল আমীন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয় তথা নিম্নাঞ্চলের সব কয়টি বিদ্যালয়ে হাঁটু পানি প্রবেশ করেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে কোমরপানি। স্কুল বন্ধের সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় এখনো পানিতে ভিজেই বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।’
স্বস্তিপুর গ্রামের নূর উদ্দিন বলেন, ‘বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করায় জরুরি মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কতটা পারব সেটা জানি না। হাওরে গত কয়েক দিনে পানি বৃদ্ধির ফলে সব ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় যতটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম, এখন ঘরে পানি প্রবেশ করায় পুরোপুরি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি গবাদিপশু নিয়ে। গবাদিপশু রাখা ও তাদের খাবারের জোগান দেওয়া মারাত্মক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, উপজেলার নিম্নাঞ্চলে হঠাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৮৫০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এ পানি আগামী তিন-চার দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকলে ফসলি জমিগুলো শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফজল জানান, উপজেলার দুই শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, ‘উপজেলার হাওরাঞ্চলের বেশির ভাগ গ্রাম বন্যায় কবলিত। গত কয়েক দিন ধরে স্নানঘাট ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে দুই শতাধিক প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছি। এ ছাড়া স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদে দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
বাহুবলে বন্যা পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতি হওয়ায় দিশেহারা বানভাসি মানুষ। উপজেলার স্নানঘাট, সাতকাপন ও লামাতাশি ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামই এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। এসব ইউনিয়নের অমৃতা, খাগাউড়া, কালাপুর, মুদাহরপুর, বাগদাইর, নিধনপুর, লালপুর, হোসেনপুর, শ্যামপুর, গোয়ালবাধা, ফতেহপুর, চকহায়দর, স্নানঘাট, স্বস্তিপুর, বক্তারপুর, সারংপুর, সোয়াইয়া, তারাপাশা, হাজীপুর, চানপুর, ধনিয়াখালী, লামা নোয়াগাঁও, কাজীহাটা গ্রামগুলো বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহুবল সদর ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে করাঙ্গী নদীর পানি প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে উপজেলার শতাধিক গ্রামই এখন কমবেশি বন্যার পানিতে ভাসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি স্নানঘাট ইউনিয়নে। সেখানে কয়েক শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে কয়েক শ পুকুর ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে কয়েক শ হেক্টর ফসলি জমি ও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। এই ইউনিয়নের সিংহভাগ গ্রামের ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশু, ধানচাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক পরিবার স্নানঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা চালানো হলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ছাড়া বন্যায় উপজেলার ভাটি অঞ্চলের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পানি ঢুকে পড়েছে। স্নানঘাট ইউনিয়নের ফতেহপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, সাতকাপন ইউনিয়নের রাসুলপুর সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও সদর ইউনিয়নের দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি হাইস্কুলে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তা ছাড়া খাড়াউড়া, অমৃতা, মুদাহরপুর, স্নানঘাট, স্বস্তিপুর, হোসেনপুর, চকহায়দর, বক্তারপুর, মানিকপুর, জগৎপুর, অলুয়া, পনারব্দা, হাবিজপুর, হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
হাবিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা নূরুল আমীন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয় তথা নিম্নাঞ্চলের সব কয়টি বিদ্যালয়ে হাঁটু পানি প্রবেশ করেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে কোমরপানি। স্কুল বন্ধের সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় এখনো পানিতে ভিজেই বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।’
স্বস্তিপুর গ্রামের নূর উদ্দিন বলেন, ‘বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করায় জরুরি মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কতটা পারব সেটা জানি না। হাওরে গত কয়েক দিনে পানি বৃদ্ধির ফলে সব ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় যতটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম, এখন ঘরে পানি প্রবেশ করায় পুরোপুরি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি গবাদিপশু নিয়ে। গবাদিপশু রাখা ও তাদের খাবারের জোগান দেওয়া মারাত্মক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, উপজেলার নিম্নাঞ্চলে হঠাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৮৫০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এ পানি আগামী তিন-চার দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকলে ফসলি জমিগুলো শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফজল জানান, উপজেলার দুই শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, ‘উপজেলার হাওরাঞ্চলের বেশির ভাগ গ্রাম বন্যায় কবলিত। গত কয়েক দিন ধরে স্নানঘাট ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে দুই শতাধিক প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছি। এ ছাড়া স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদে দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৩ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৭ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগে