প্রতিনিধি, জৈন্তাপুর (সিলেট)
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী, উজানীনগর এলাকায় পাহাড় ও টিলা রয়েছে। সেগুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড় ও টিলাশ্রেণির ভূমিগুলোয় প্রচুর কাঁঠাল, তেজপাতা ও নানা প্রজাতির লেবু উৎপাদিত হয়। প্রভাবশালীরা সরকারি পাহাড় ও টিলার পরিবর্তন ঘটিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণসহ পাহাড়শ্রেণির ভূমি ক্রয়–বিক্রয় করছে।
সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। জৈন্তাপুরের পাহাড় ও টিলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে না এলে মারাত্মক আকারের পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এসব এলাকা পরিদর্শন করে পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এমনকি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড় কেটে দিনদুপুরে পাথর পরিবহন করা হচ্ছে।
জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার পাহাড় কেটে দিনরাত সমানভাবে পরিবহনযোগে পাথর বিক্রি করে আসছে একটি চক্রটি। এ ছাড়া অনেকেই এসব পাহাড় ও টিলাশ্রেণির ভূমি কেটে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসতবাড়ি নির্মাণ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাহাড় কাটা এক শ্রমিক জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা ও কয়েকজন নেতা এ এলাকার সব পাহাড় ও টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন।
এ ছাড়া গোয়াবাড়ী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে মুজিব শতবর্ষের গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য মুজিবনগর। এ কারণে প্রতিনিয়ত এলাকা পরিদর্শন করছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পাথর উত্তোলন হলেও বিষয়টি কর্ণপাত হচ্ছে না। ফলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিলে নির্মাণাধীন এসব ঘরে পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ছাড়পত্র ছাড়া সিলেট বিভাগের সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১১ সালের ১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিটের রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন যৌথ বেঞ্চ রায় দেন। ২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর এসব এলাকায় পাহাড় কাটা কেন এখতিয়ারবহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত দুস্থদের পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
রিটে পরিবেশ, ভূমি ও গৃহায়ণসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিলেট সিটি করপোরেশন, সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, সিলেট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সিলেট সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। আদালতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব উদ্দিন, রহিম মিয়া, আলোক মিয়া, রইছ উদ্দিন, হুমায়ুন আহমদ, কালা মিয়া, জুবায়ের আহমদসহ পুলিশ প্রশাসন, ভূমি অফিসের কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় পাথরখেকো চক্রটি এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, সহকারী কমিশনার ভূমি এবং জৈন্তাপুর মডেল থানা-পুলিশে খবর দিলে কোনো কাজ হয় না; বরং নির্বিচারে পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন চলছে। এসব পাথর ট্রাকযোগে উপজেলার বিভিন্ন ক্রাশার মিলে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখছি এবং তদন্তপূর্বক পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী, উজানীনগর এলাকায় পাহাড় ও টিলা রয়েছে। সেগুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড় ও টিলাশ্রেণির ভূমিগুলোয় প্রচুর কাঁঠাল, তেজপাতা ও নানা প্রজাতির লেবু উৎপাদিত হয়। প্রভাবশালীরা সরকারি পাহাড় ও টিলার পরিবর্তন ঘটিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণসহ পাহাড়শ্রেণির ভূমি ক্রয়–বিক্রয় করছে।
সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। জৈন্তাপুরের পাহাড় ও টিলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে না এলে মারাত্মক আকারের পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এসব এলাকা পরিদর্শন করে পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এমনকি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড় কেটে দিনদুপুরে পাথর পরিবহন করা হচ্ছে।
জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার পাহাড় কেটে দিনরাত সমানভাবে পরিবহনযোগে পাথর বিক্রি করে আসছে একটি চক্রটি। এ ছাড়া অনেকেই এসব পাহাড় ও টিলাশ্রেণির ভূমি কেটে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসতবাড়ি নির্মাণ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাহাড় কাটা এক শ্রমিক জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা ও কয়েকজন নেতা এ এলাকার সব পাহাড় ও টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন।
এ ছাড়া গোয়াবাড়ী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে মুজিব শতবর্ষের গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য মুজিবনগর। এ কারণে প্রতিনিয়ত এলাকা পরিদর্শন করছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পাথর উত্তোলন হলেও বিষয়টি কর্ণপাত হচ্ছে না। ফলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিলে নির্মাণাধীন এসব ঘরে পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ছাড়পত্র ছাড়া সিলেট বিভাগের সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১১ সালের ১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিটের রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন যৌথ বেঞ্চ রায় দেন। ২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর এসব এলাকায় পাহাড় কাটা কেন এখতিয়ারবহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত দুস্থদের পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
রিটে পরিবেশ, ভূমি ও গৃহায়ণসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিলেট সিটি করপোরেশন, সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, সিলেট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সিলেট সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। আদালতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব উদ্দিন, রহিম মিয়া, আলোক মিয়া, রইছ উদ্দিন, হুমায়ুন আহমদ, কালা মিয়া, জুবায়ের আহমদসহ পুলিশ প্রশাসন, ভূমি অফিসের কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় পাথরখেকো চক্রটি এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, সহকারী কমিশনার ভূমি এবং জৈন্তাপুর মডেল থানা-পুলিশে খবর দিলে কোনো কাজ হয় না; বরং নির্বিচারে পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন চলছে। এসব পাথর ট্রাকযোগে উপজেলার বিভিন্ন ক্রাশার মিলে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখছি এবং তদন্তপূর্বক পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
কারখানার ভেতরে আবর্জনায় ভরা। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। ছিটিয়ে রাখা হয়েছে তৈরি করা বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যখন খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতের কাজ চলছিল তখন পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহতে সন্ত্রাস দমন ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থাপন করা পুলিশ ফাঁড়ি সন্ত্রাসীদের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অতি শিগগিরই সেখানে ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
২৩ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গুলির ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। আজ সোমবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। তাঁকে গ্রেপ্তারের খ
২৭ মিনিট আগে