Ajker Patrika

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ

ডিসির নির্দেশ উপেক্ষা করে বসছে পশুর হাট

  • গত ৭ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক এক বিজ্ঞপ্তিতে জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণের নির্দেশ দেন।
  • ১, ৮, ১৫ এবং ২২ ফেব্রুয়ারি এ হাট বসিয়ে রসিদের মাধ্যমে হাসিল তোলা হয়েছে।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুরে গত শনিবারও জনতার বাজার পশুর হাট বসানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুরে গত শনিবারও জনতার বাজার পশুর হাট বসানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশ অমান্য করে প্রতি সপ্তাহেই বসছে নবীগঞ্জের অবৈধ জনতার বাজার পশুর হাট। গত শনিবারও উপজেলার গজনাইপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষে বসেছে এই হাট। ডিসির নির্দেশ অমান্য করে এর আগেও তিনবার এ হাট বসানো হয়।

অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে এ হাট বসিয়ে রসিদ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বাজার পরিচালনা কমিটি। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিএনপির ওপর ভর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ফলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার পরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।

সিলেট বিভাগের সর্ববৃহৎ এ পশুর হাট বসে প্রতি শনিবার। এ হাট বসার ফলে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। বাজারের হাসিল আদায় নিয়ে বিতর্ক, বাজারের অব্যবস্থাপনা সবশেষ মহাসড়কের যানজটের ভোগান্তির ফলে জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণে জেলা প্রশাসক নির্দেশনা জারি করেন। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে চতুর্থবারের মতো গত শনিবার অবৈধভাবে পশুর হাট বসায় জনতার বাজার পরিচালনা কমিটি।

গত ৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. ফরিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর জনতার বাজার অপসারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড টানানো হয়। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো হাট পরিচালনা করলে বা অবৈধভাবে হাট পরিচালনায় সহযোগিতা করলে অথবা মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে হাট-বাজার আইন ২০২৩ ও মহাসড়ক আইন ২০২১ অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ হবে। আইন অমান্যকারীকে সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড প্রদান করা হবে।

প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে ১, ৮, ১৫ এবং ২২ ফেব্রুয়ারি জনতার বাজার পশুর হাট বসিয়ে রসিদের মাধ্যমে পশু বিক্রির হাসিল তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জনতার বাজারে আসা বানিয়াচংয়ের আব্দুর রহিম বলেন, ‘একটি গরু ক্রয় করেছি, রসিদের জন্য ১৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহমেদের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নবীগঞ্জের ইউএনও মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে খাস কালেকশন করা হচ্ছে না। এরপরও জনতার বাজার বসিয়ে রসিদের মাধ্যমে টাকা আদায়ের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান বলেন, নির্দেশনার পরও কারা, কীভাবে জনতার বাজার পশুর হাট বসাচ্ছে, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত