লবীব আহমদ, সিলেট
‘ভোট কি হয়েছে? ভোট তো হয় নাই। ভোট তো পুলিশ আর অফিসাররা দিয়েছে। আমার জনগণ যখন ভোট দিবে, জনগণ যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তখন আমাকে হারানোর কোনো সুযোগ নাই। এই পপুলারিটি আমার আছে। কিন্তু এখন পুলিশ আর অফিসার গিয়ে যদি ভোট দিয়ে দেয়, সেখানে কার কি করার আছে।’
এমন কথা বলেছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। তিনি এবার সিলেট–২ (ওসমানীনগর–বিশ্বনাথ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরের জেলরোডস্থ গ্র্যান্ড ভিউ হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান।
মুহিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। আপিলেও বাতিল বহাল থাকলে তিনি হাইকোর্টে যান। উচ্চ আদালতে আপিলের শুনানি আগামী ২৭ ডিসেম্বর হওয়ার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুহিবুর রহমান বলেন, ‘দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা পদে থেকে সংসদ নির্বাচন করে এমপি হয়েছেন। এরপর কিন্তু নতুন করে কোনো আইন পাস হয়নি। তাই স্বপদে বহাল থেকে বাংলাদেশের অন্যরা যদি নির্বাচন করতে পারে, তাহলে আমারতো না করার কোনো কারণ নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মনোনয়নপত্র শতভাগ নির্ভুল ও বৈধ থাকার পরও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অবৈধ ঘোষণা করেছেন। আপিল করলে ১০ ডিসেম্বর শুনানি হয়। অন্য সব আপিলের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিলেও তিনিসহ কয়েকজনের রায় দিতে পাঁচ দিন বিলম্ব করা হয়। রায়ে মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে রায় দেওয়া হলে হাইকোর্টে যান ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর শুনানি হয়। কিন্তু হাইকোর্ট আংশিক শুনানি করে দুই দিন পর পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেন। ওই শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে খোদ অ্যাটর্নি জেনারেল অংশ নেন। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট আগামী ২৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মুহিবুর বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই যেখানে প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন, আমি সেখানে দীর্ঘসূত্রতায় ব্যস্ত রয়েছি। জানি না এর অবসান কখন ঘটবে। তবে আমি নৈরাশ্যবাদী নই, আশাবাদী। প্রতীক ছাড়াই আমার নির্বাচনী প্রচার অব্যাহত রেখেছি। আমি বিশ্বাস করি, বিজয়ীও হব ইনশা আল্লাহ।’
পূর্ববর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে মুহিবুর রহমান বলেন, ‘আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে চৌদ্দতে কীভাবে নির্বাচন হয়েছিল। যদিও আমি সরকারের সমর্থক। সরকারের সমর্থক হলেও কী হবে, আমি অন্ধ সমর্থক নই। আমি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। সেখানেও সিভিল সার্ভিসে চাকরি করেছি, আমি অফিসার ছিলাম। প্রকৃত রাজনীতি, প্রকৃত গণতন্ত্র আমার দেশে প্রতিষ্ঠিত হোক—এটা আমি চাই। এই মিথ্যা আর রোষানল থেকে আমরা উত্তরণ চাই। এই যে বিনাভোটে নির্বাচিত হয়ে গেলেন, বিনাভোটে যদি এমপি নির্বাচিত হওয়ার হতো, তাহলে ১৯৮৬–তে আমি এমপি হতে পারতাম, ৮৭–তে এমপি হতে পারতাম, ৯০–এ এমপি হতে পারতাম। চার–পাঁচবার এমপি হতে পারতাম। বিনা ভোটের এমপি আমি হতে চাই নাই। সে জন্য আমার নমিনেশন অন্যদের দিয়ে দিয়েছি। লামা সাব (মকসুদ ইবনে আজিজ লামা) হয়েছেন আমার নমিনেশনে। কেরানি সাব হয়েছেন আমার নমিনেশনে। আর কী বলব আপনাদের!’
বিশ্বনাথের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান এবং প্রথম পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, ‘তিনবার আমি নির্বাচিত হয়েছি স্বতন্ত্র। আমি কোনো তন্ত্র–মন্ত্রে নির্বাচিত হই নাই। আমি স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছি। আর তিনবারই আমার চেহারা দেখিয়ে হয়েছি। আর এই দুইবারের কথা আমি বলেছি যে,১৪–এর কথা বলেছি আর ১৮–এর কথা বলেছি। এটা এই দেশের বা বহির্বিশ্বের কারও অজানা কিছু নয়। এটা সকলেরই জানা।’
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মুহিবুর বলেন, ‘চৌদ্দ সালের নির্বাচনে যে নির্বাচিত হলো, সে আমাকে ফোন করেই বলল, এই ইয়াহ্ইয়া আমাকে ফোন করেই বলল, চাচা ভোট তো সব আপনার। পাস করব আমি। এটা আমি এর আগেও সাংবাদিকদের বলেছি দু–একবার। সে তো তখন পাস করল। সুরঞ্জিত দা (সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত) আমাকে ফোন করে বললেন, মুহিব চলে আসো তুমি সংসদে। সেখানে দেখা হবে। তখন আমি যদি নিশ্চিত না হতাম, সুরঞ্জিত দা–ও যদি নিশ্চিত না হতেন, তাহলে সে কথা বলতেন না। এরপর ইলেকশন যেদিন হলো, সেদিন দেখলাম ইয়াহ্ইয়া আমাকে ফোন করে যেটি বলেছিল সেটাই হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমি এত পেছনে যেতে চাই না। চৌদ্দ থেকেই আমরা বলছি, চৌদ্দ থেকেই আমরা ইতিহাস টানছি। আমি যা বলছি তা যদি আপনারা মনে করেন আমি সঠিক বলছি, সত্য বলছি তাহলে আপনারা আমার সাথে থাকবেন। আমাকে সাহস জোগাবেন। আমার পক্ষে আপনারা লেখনী দিয়ে সহযোগিতা করবেন। ইনশা আল্লাহ আমি এ দেশে সংগ্রাম চালিয়ে যাব। সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মিথ্যাভিত্তিক কেউ যাতে কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করে এমপি, চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান যেন বানানো না হয়।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে ৫ হাজার ২১১ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন মুহিবুর রহমান। ১৯৮৫ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি প্রথমবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরীকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৭৮ সালে বিশ্বনাথ থানা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং ১৯৮০ সালে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন মুহিব। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে সিলেট–২ আসনে মুহিব তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির মকসুদ ইবনে আজিজ লামার কাছে সামান্য ভোটে হেরে যান। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে লাঙল প্রতীক নিয়ে বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর (নিখোঁজ) কাছে পরাজিত হন মুহিবুর। ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন মুহিব। ২০০৮ সালেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু পাননি। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
‘ভোট কি হয়েছে? ভোট তো হয় নাই। ভোট তো পুলিশ আর অফিসাররা দিয়েছে। আমার জনগণ যখন ভোট দিবে, জনগণ যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তখন আমাকে হারানোর কোনো সুযোগ নাই। এই পপুলারিটি আমার আছে। কিন্তু এখন পুলিশ আর অফিসার গিয়ে যদি ভোট দিয়ে দেয়, সেখানে কার কি করার আছে।’
এমন কথা বলেছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। তিনি এবার সিলেট–২ (ওসমানীনগর–বিশ্বনাথ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরের জেলরোডস্থ গ্র্যান্ড ভিউ হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান।
মুহিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। আপিলেও বাতিল বহাল থাকলে তিনি হাইকোর্টে যান। উচ্চ আদালতে আপিলের শুনানি আগামী ২৭ ডিসেম্বর হওয়ার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুহিবুর রহমান বলেন, ‘দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা পদে থেকে সংসদ নির্বাচন করে এমপি হয়েছেন। এরপর কিন্তু নতুন করে কোনো আইন পাস হয়নি। তাই স্বপদে বহাল থেকে বাংলাদেশের অন্যরা যদি নির্বাচন করতে পারে, তাহলে আমারতো না করার কোনো কারণ নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মনোনয়নপত্র শতভাগ নির্ভুল ও বৈধ থাকার পরও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অবৈধ ঘোষণা করেছেন। আপিল করলে ১০ ডিসেম্বর শুনানি হয়। অন্য সব আপিলের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিলেও তিনিসহ কয়েকজনের রায় দিতে পাঁচ দিন বিলম্ব করা হয়। রায়ে মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে রায় দেওয়া হলে হাইকোর্টে যান ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর শুনানি হয়। কিন্তু হাইকোর্ট আংশিক শুনানি করে দুই দিন পর পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেন। ওই শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে খোদ অ্যাটর্নি জেনারেল অংশ নেন। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট আগামী ২৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মুহিবুর বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই যেখানে প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন, আমি সেখানে দীর্ঘসূত্রতায় ব্যস্ত রয়েছি। জানি না এর অবসান কখন ঘটবে। তবে আমি নৈরাশ্যবাদী নই, আশাবাদী। প্রতীক ছাড়াই আমার নির্বাচনী প্রচার অব্যাহত রেখেছি। আমি বিশ্বাস করি, বিজয়ীও হব ইনশা আল্লাহ।’
পূর্ববর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে মুহিবুর রহমান বলেন, ‘আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে চৌদ্দতে কীভাবে নির্বাচন হয়েছিল। যদিও আমি সরকারের সমর্থক। সরকারের সমর্থক হলেও কী হবে, আমি অন্ধ সমর্থক নই। আমি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। সেখানেও সিভিল সার্ভিসে চাকরি করেছি, আমি অফিসার ছিলাম। প্রকৃত রাজনীতি, প্রকৃত গণতন্ত্র আমার দেশে প্রতিষ্ঠিত হোক—এটা আমি চাই। এই মিথ্যা আর রোষানল থেকে আমরা উত্তরণ চাই। এই যে বিনাভোটে নির্বাচিত হয়ে গেলেন, বিনাভোটে যদি এমপি নির্বাচিত হওয়ার হতো, তাহলে ১৯৮৬–তে আমি এমপি হতে পারতাম, ৮৭–তে এমপি হতে পারতাম, ৯০–এ এমপি হতে পারতাম। চার–পাঁচবার এমপি হতে পারতাম। বিনা ভোটের এমপি আমি হতে চাই নাই। সে জন্য আমার নমিনেশন অন্যদের দিয়ে দিয়েছি। লামা সাব (মকসুদ ইবনে আজিজ লামা) হয়েছেন আমার নমিনেশনে। কেরানি সাব হয়েছেন আমার নমিনেশনে। আর কী বলব আপনাদের!’
বিশ্বনাথের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান এবং প্রথম পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, ‘তিনবার আমি নির্বাচিত হয়েছি স্বতন্ত্র। আমি কোনো তন্ত্র–মন্ত্রে নির্বাচিত হই নাই। আমি স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছি। আর তিনবারই আমার চেহারা দেখিয়ে হয়েছি। আর এই দুইবারের কথা আমি বলেছি যে,১৪–এর কথা বলেছি আর ১৮–এর কথা বলেছি। এটা এই দেশের বা বহির্বিশ্বের কারও অজানা কিছু নয়। এটা সকলেরই জানা।’
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মুহিবুর বলেন, ‘চৌদ্দ সালের নির্বাচনে যে নির্বাচিত হলো, সে আমাকে ফোন করেই বলল, এই ইয়াহ্ইয়া আমাকে ফোন করেই বলল, চাচা ভোট তো সব আপনার। পাস করব আমি। এটা আমি এর আগেও সাংবাদিকদের বলেছি দু–একবার। সে তো তখন পাস করল। সুরঞ্জিত দা (সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত) আমাকে ফোন করে বললেন, মুহিব চলে আসো তুমি সংসদে। সেখানে দেখা হবে। তখন আমি যদি নিশ্চিত না হতাম, সুরঞ্জিত দা–ও যদি নিশ্চিত না হতেন, তাহলে সে কথা বলতেন না। এরপর ইলেকশন যেদিন হলো, সেদিন দেখলাম ইয়াহ্ইয়া আমাকে ফোন করে যেটি বলেছিল সেটাই হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমি এত পেছনে যেতে চাই না। চৌদ্দ থেকেই আমরা বলছি, চৌদ্দ থেকেই আমরা ইতিহাস টানছি। আমি যা বলছি তা যদি আপনারা মনে করেন আমি সঠিক বলছি, সত্য বলছি তাহলে আপনারা আমার সাথে থাকবেন। আমাকে সাহস জোগাবেন। আমার পক্ষে আপনারা লেখনী দিয়ে সহযোগিতা করবেন। ইনশা আল্লাহ আমি এ দেশে সংগ্রাম চালিয়ে যাব। সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মিথ্যাভিত্তিক কেউ যাতে কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করে এমপি, চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান যেন বানানো না হয়।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে ৫ হাজার ২১১ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন মুহিবুর রহমান। ১৯৮৫ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি প্রথমবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরীকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৭৮ সালে বিশ্বনাথ থানা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং ১৯৮০ সালে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন মুহিব। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে সিলেট–২ আসনে মুহিব তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির মকসুদ ইবনে আজিজ লামার কাছে সামান্য ভোটে হেরে যান। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে লাঙল প্রতীক নিয়ে বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর (নিখোঁজ) কাছে পরাজিত হন মুহিবুর। ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন মুহিব। ২০০৮ সালেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু পাননি। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৮ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৩৩ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৪১ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৪৩ মিনিট আগে