পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘হরতাল-অবরোধের সরাসরি প্রভাব পড়ল দ্রব্যমূল্যে। জিনিসপত্রের দাম এমনি বেশি ছিল। এদের (বিএনপি ও সমমনা দল) এসব কর্মকাণ্ডের ফলে আরও দাম বাড়ে। গাড়ি চলাচল করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজারে আসতে পারে না। মালের ঘাটতি হয়; আরও দাম বাড়ে যা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।’ 

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকে। সুতরাং হরতাল-অবরোধ এসব অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর খারাপ। এই গুলো কোনো অর্থনীতির জন্য ভালো হতে পারে না।’ 

আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক অর্থ বিতরণের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রিয় এ দেশ। যে দেশ এখনো ধনী দেশ না। এখনো আমরা গরিব দেশের কাতারে প্রায়। সামান্য আমাদের আয় বাড়ছে। আমরা উপোস থাকি না। এখনো আমাদের অনেক সমস্যা আছে।’ 

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিছু লোক রাজনীতির নামে হরতাল আর অবরোধ দিয়ে, জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করছে। সরকারি সম্পদ ধ্বংস করছে। অবরোধ দিয়ে স্বাধীন দেশের মানুষকে ঘরে বন্দী করে রাখতে চায়। জোরে ক্ষমতায় বসতে চায়। যা আওয়ামী লীগ সরকার করতে দেবে না।’ 

জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাদাত মান্নান অভি, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব। 

আরও বক্তব্য দেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরুজ ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর শফিকুল হক, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুল হক, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মুকিত ও সাধারণ সম্পাদক তাহা আহমেদ। পরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৪৪৫ জনকে এক হাজার ৮৫ টাকা করে অর্থ বিতরণ করা হয়।