Ajker Patrika

সিলেটে শুধু কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ৩৯
সিলেটে শুধু কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর 

সিলেটে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত দুই দিন সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। 

আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেটের কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার শেওলাসহ চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। তবে আজ শুক্রবার পানি কিছুটা কমেছে। 

এদিকে, গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে বলে সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় জেলায় ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। 

প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানান, ভারী বৃষ্টি ও ঢলের কারণে সিলেটে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়েছিল। তবে তা আশঙ্কাজনক নয়। আজ বৃষ্টিপাত খুব বেশি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। 

পাউবো জানায়, সুরমা, কুশিয়ারা, লুভা, সারি, ডাউকি, সারি-গোয়াইন, ধলাইসহ জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমা থেকে শূন্য দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীটির শেওলা পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বেড়ে শূন্য দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদ–নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢল না এলে বন্যারও আশঙ্কা নাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত