নাজমুল হাসান সাগর ও শাকিলা ববি, সিলেট থেকে

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব পানিতে ময়লা-আবর্জনা পচে তীব্র দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এই গন্ধ এতটাই তীব্র যে নাকেমুখে কাপড় না দিয়ে কথা বলতে গেলেই যেন নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসতে চায়।
তীব্র গন্ধের মধ্যেই তেররতন সি-ব্লক এলাকায় কথা হয় রেখা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে। ডুবে যাওয়া ভাড়ার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানো এই নারী। ঠিকঠাক ত্রাণ পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেখা বললেন, ত্রাণ না পেলে খাওয়া বন্ধ। কিন্তু এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো শরীর আর পায়ের চুলকানি। সাত-আট দিন থেকে এমন পচা পানিতে হাঁটাচলা করে শরীরে চুলকানি হয়েছে। পায়ের নখের চিপায় চিপায় ঘা। এভাবে আর কয়েক দিন গেলে পচন ধরবে।
রেখার সঙ্গে কথা শেষ না হতেই এগিয়ে এলেন আলেয়া খাতুন। মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এই নারী গত দুই দিন পেটের অসুখে ভুগছেন। গত শনিবার সারা দিন পেটের ব্যথা থাকলেও গতকাল রোববার সকাল থেকে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে তাঁর ৷ আলেয়া জানালেন, ওষুধ আর স্যালাইন কিনে খাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থাও তাঁর নেই। অনেক সময় ত্রাণের সঙ্গে স্যালাইন দেয়। আজ এখন পর্যন্ত কেউ ত্রাণও দিতে আসেনি তাই স্যালাইন বা ওষুধও পাওয়া হয়নি তাঁর।
তিন দিন থেকে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত শিশু সুমাইয়া আক্তার। তার বাবা আনিস হোসেন বলেন, ‘মেয়েটা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত ৷ ওষুধ খাওয়ালাম তারপরেও ভালো হচ্ছে না।’ আনিসের কথা শেষ না হতেই সুমাইয়ার মা বলে উঠলেন, ‘দুইটা নাপা আর একটা গ্যাসের ট্যাবলেটে জ্বর যাবে কীভাবে?’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একই এলাকায় পাশাপাশি কয়েক পরিবারের অন্তত পাঁচজন শিশু সর্দিজ্বরে আক্রান্ত।
উপশহর এলাকার সব থেকে বড় ওষুধের দোকান হোসাইন ফার্মেসি। এই ফার্মেসির তত্ত্বাবধায়ক মো. আশরাফ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দিনে অন্তত তাঁর ফার্মেসি থেকে পাঁচজন ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার ওষুধ নিচ্ছে গত দুই দিন।
আশরাফের ভাষ্যমতে, এলাকার ৬০ ভাগ মানুষ এখন আর এখানে থাকে না। বাকি যারা আছে তাদের মধ্যে যদি দিনে অন্তত পাঁচজন এ ধরনের রোগের ওষুধ নিয়ে থাকে, ‘তাহলে বুঝুন, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে।’
বন্যার কারণে সিলেটে রাস্তাঘাট, শস্য ও মৎস্যসম্পদের সঙ্গে রোগব্যাধিও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত জেলায় ১১৬ জন ডায়রিয়ার রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বন্যা-পরবর্তী রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা না গেলেও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় রোগীর সংখ্যা এখন কম মনে হলেও কিছুদিন পরই ভয়াবহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ও ফুড পয়জনিংয়ের মতো অসুখগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে সিলেটে। যদি বন্যা আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা না করা যায়, এই রোগ প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকলে এটা মোকাবিলা করা মুশকিল হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
শুরু থেকেই বন্যার্তদের মাঝে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছেন মানবিক টিম সিলেটের প্রধান সমন্বয়ক নায়েক সফি আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই আমরা শুকনো খাবার, পানি, সাবান, স্যালাইন বিতরণ করছি দুর্গত এলাকায়। প্লাবিত এলাকাগুলোতে ঘরে ঘরে মানুষকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে দেখছি। ডায়রিয়া, চুলকানির পাশাপাশি অনেক মানুষ জ্বরসর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। অনেক ভয়াবহ অবস্থা বন্যাকবলিত এলাকার। গতকালও আমরা সদর উপজেলার খাসেরগাঁও, পুরান কালারুকা, দাবাদাগাঁওয়ের ১০০ পরিবারের মধ্যে ওষুধসামগ্রী বিতরণ করেছি।’
পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে এ ধরনের রোগী খুব কম এখনো। এটার আসল চিত্রটা পাওয়া যাবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ৷ তবে আরও কিছুদিন পরে বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বাড়বে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।’
বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহারিয়ার বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিলেট জেলায় ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। যার মধ্যে সিলেট শহরে আছে ৩টি। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তা, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ এলাকার অবস্থা খারাপ। পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিবিশুদ্ধকর ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ আমাদের মজুত আছে।’
পানি কমছে: সিলেটে ইতিমধ্যে প্লাবিত সব এলাকা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পানি নামতে শুরু করলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কুশিয়ারার পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলছেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আর খুব একটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে যাবে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। অমলসিদ ও শিউলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পাঁচটি পয়েন্টে লুবা, সারি, ধলা আর সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার নিচে।
কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়া পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট এই বন্যায় সিলেটের ১১টি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে ২ কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং ২ হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
মৎস্য খাত ও যোগাযোগব্যবস্থায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা: আগাম বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৫৩টি সড়কের ৬৫৭ কিলোমিটার ডুবে গেছে। দুই জেলার বেশ কিছু উপজেলার অভ্যন্তরীণ ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে রয়েছে দুই জেলার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত এসব সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন সিলেট সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুমন আহমেদ।
সিলেট জেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আপডেট কোনো তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় নাই। তাই সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাবটা নিরূপণ করা যায়নি ৷ আমি দ্রুত সভা ডেকে আপডেট ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা জানার চেষ্টা করব।’

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব পানিতে ময়লা-আবর্জনা পচে তীব্র দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এই গন্ধ এতটাই তীব্র যে নাকেমুখে কাপড় না দিয়ে কথা বলতে গেলেই যেন নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসতে চায়।
তীব্র গন্ধের মধ্যেই তেররতন সি-ব্লক এলাকায় কথা হয় রেখা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে। ডুবে যাওয়া ভাড়ার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানো এই নারী। ঠিকঠাক ত্রাণ পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেখা বললেন, ত্রাণ না পেলে খাওয়া বন্ধ। কিন্তু এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো শরীর আর পায়ের চুলকানি। সাত-আট দিন থেকে এমন পচা পানিতে হাঁটাচলা করে শরীরে চুলকানি হয়েছে। পায়ের নখের চিপায় চিপায় ঘা। এভাবে আর কয়েক দিন গেলে পচন ধরবে।
রেখার সঙ্গে কথা শেষ না হতেই এগিয়ে এলেন আলেয়া খাতুন। মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এই নারী গত দুই দিন পেটের অসুখে ভুগছেন। গত শনিবার সারা দিন পেটের ব্যথা থাকলেও গতকাল রোববার সকাল থেকে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে তাঁর ৷ আলেয়া জানালেন, ওষুধ আর স্যালাইন কিনে খাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থাও তাঁর নেই। অনেক সময় ত্রাণের সঙ্গে স্যালাইন দেয়। আজ এখন পর্যন্ত কেউ ত্রাণও দিতে আসেনি তাই স্যালাইন বা ওষুধও পাওয়া হয়নি তাঁর।
তিন দিন থেকে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত শিশু সুমাইয়া আক্তার। তার বাবা আনিস হোসেন বলেন, ‘মেয়েটা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত ৷ ওষুধ খাওয়ালাম তারপরেও ভালো হচ্ছে না।’ আনিসের কথা শেষ না হতেই সুমাইয়ার মা বলে উঠলেন, ‘দুইটা নাপা আর একটা গ্যাসের ট্যাবলেটে জ্বর যাবে কীভাবে?’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একই এলাকায় পাশাপাশি কয়েক পরিবারের অন্তত পাঁচজন শিশু সর্দিজ্বরে আক্রান্ত।
উপশহর এলাকার সব থেকে বড় ওষুধের দোকান হোসাইন ফার্মেসি। এই ফার্মেসির তত্ত্বাবধায়ক মো. আশরাফ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দিনে অন্তত তাঁর ফার্মেসি থেকে পাঁচজন ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার ওষুধ নিচ্ছে গত দুই দিন।
আশরাফের ভাষ্যমতে, এলাকার ৬০ ভাগ মানুষ এখন আর এখানে থাকে না। বাকি যারা আছে তাদের মধ্যে যদি দিনে অন্তত পাঁচজন এ ধরনের রোগের ওষুধ নিয়ে থাকে, ‘তাহলে বুঝুন, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে।’
বন্যার কারণে সিলেটে রাস্তাঘাট, শস্য ও মৎস্যসম্পদের সঙ্গে রোগব্যাধিও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত জেলায় ১১৬ জন ডায়রিয়ার রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বন্যা-পরবর্তী রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা না গেলেও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় রোগীর সংখ্যা এখন কম মনে হলেও কিছুদিন পরই ভয়াবহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ও ফুড পয়জনিংয়ের মতো অসুখগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে সিলেটে। যদি বন্যা আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা না করা যায়, এই রোগ প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকলে এটা মোকাবিলা করা মুশকিল হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
শুরু থেকেই বন্যার্তদের মাঝে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছেন মানবিক টিম সিলেটের প্রধান সমন্বয়ক নায়েক সফি আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই আমরা শুকনো খাবার, পানি, সাবান, স্যালাইন বিতরণ করছি দুর্গত এলাকায়। প্লাবিত এলাকাগুলোতে ঘরে ঘরে মানুষকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে দেখছি। ডায়রিয়া, চুলকানির পাশাপাশি অনেক মানুষ জ্বরসর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। অনেক ভয়াবহ অবস্থা বন্যাকবলিত এলাকার। গতকালও আমরা সদর উপজেলার খাসেরগাঁও, পুরান কালারুকা, দাবাদাগাঁওয়ের ১০০ পরিবারের মধ্যে ওষুধসামগ্রী বিতরণ করেছি।’
পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে এ ধরনের রোগী খুব কম এখনো। এটার আসল চিত্রটা পাওয়া যাবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ৷ তবে আরও কিছুদিন পরে বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বাড়বে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।’
বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহারিয়ার বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিলেট জেলায় ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। যার মধ্যে সিলেট শহরে আছে ৩টি। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তা, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ এলাকার অবস্থা খারাপ। পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিবিশুদ্ধকর ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ আমাদের মজুত আছে।’
পানি কমছে: সিলেটে ইতিমধ্যে প্লাবিত সব এলাকা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পানি নামতে শুরু করলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কুশিয়ারার পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলছেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আর খুব একটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে যাবে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। অমলসিদ ও শিউলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পাঁচটি পয়েন্টে লুবা, সারি, ধলা আর সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার নিচে।
কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়া পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট এই বন্যায় সিলেটের ১১টি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে ২ কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং ২ হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
মৎস্য খাত ও যোগাযোগব্যবস্থায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা: আগাম বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৫৩টি সড়কের ৬৫৭ কিলোমিটার ডুবে গেছে। দুই জেলার বেশ কিছু উপজেলার অভ্যন্তরীণ ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে রয়েছে দুই জেলার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত এসব সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন সিলেট সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুমন আহমেদ।
সিলেট জেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আপডেট কোনো তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় নাই। তাই সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাবটা নিরূপণ করা যায়নি ৷ আমি দ্রুত সভা ডেকে আপডেট ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা জানার চেষ্টা করব।’
নাজমুল হাসান সাগর ও শাকিলা ববি, সিলেট থেকে

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব পানিতে ময়লা-আবর্জনা পচে তীব্র দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এই গন্ধ এতটাই তীব্র যে নাকেমুখে কাপড় না দিয়ে কথা বলতে গেলেই যেন নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসতে চায়।
তীব্র গন্ধের মধ্যেই তেররতন সি-ব্লক এলাকায় কথা হয় রেখা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে। ডুবে যাওয়া ভাড়ার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানো এই নারী। ঠিকঠাক ত্রাণ পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেখা বললেন, ত্রাণ না পেলে খাওয়া বন্ধ। কিন্তু এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো শরীর আর পায়ের চুলকানি। সাত-আট দিন থেকে এমন পচা পানিতে হাঁটাচলা করে শরীরে চুলকানি হয়েছে। পায়ের নখের চিপায় চিপায় ঘা। এভাবে আর কয়েক দিন গেলে পচন ধরবে।
রেখার সঙ্গে কথা শেষ না হতেই এগিয়ে এলেন আলেয়া খাতুন। মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এই নারী গত দুই দিন পেটের অসুখে ভুগছেন। গত শনিবার সারা দিন পেটের ব্যথা থাকলেও গতকাল রোববার সকাল থেকে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে তাঁর ৷ আলেয়া জানালেন, ওষুধ আর স্যালাইন কিনে খাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থাও তাঁর নেই। অনেক সময় ত্রাণের সঙ্গে স্যালাইন দেয়। আজ এখন পর্যন্ত কেউ ত্রাণও দিতে আসেনি তাই স্যালাইন বা ওষুধও পাওয়া হয়নি তাঁর।
তিন দিন থেকে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত শিশু সুমাইয়া আক্তার। তার বাবা আনিস হোসেন বলেন, ‘মেয়েটা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত ৷ ওষুধ খাওয়ালাম তারপরেও ভালো হচ্ছে না।’ আনিসের কথা শেষ না হতেই সুমাইয়ার মা বলে উঠলেন, ‘দুইটা নাপা আর একটা গ্যাসের ট্যাবলেটে জ্বর যাবে কীভাবে?’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একই এলাকায় পাশাপাশি কয়েক পরিবারের অন্তত পাঁচজন শিশু সর্দিজ্বরে আক্রান্ত।
উপশহর এলাকার সব থেকে বড় ওষুধের দোকান হোসাইন ফার্মেসি। এই ফার্মেসির তত্ত্বাবধায়ক মো. আশরাফ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দিনে অন্তত তাঁর ফার্মেসি থেকে পাঁচজন ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার ওষুধ নিচ্ছে গত দুই দিন।
আশরাফের ভাষ্যমতে, এলাকার ৬০ ভাগ মানুষ এখন আর এখানে থাকে না। বাকি যারা আছে তাদের মধ্যে যদি দিনে অন্তত পাঁচজন এ ধরনের রোগের ওষুধ নিয়ে থাকে, ‘তাহলে বুঝুন, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে।’
বন্যার কারণে সিলেটে রাস্তাঘাট, শস্য ও মৎস্যসম্পদের সঙ্গে রোগব্যাধিও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত জেলায় ১১৬ জন ডায়রিয়ার রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বন্যা-পরবর্তী রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা না গেলেও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় রোগীর সংখ্যা এখন কম মনে হলেও কিছুদিন পরই ভয়াবহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ও ফুড পয়জনিংয়ের মতো অসুখগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে সিলেটে। যদি বন্যা আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা না করা যায়, এই রোগ প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকলে এটা মোকাবিলা করা মুশকিল হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
শুরু থেকেই বন্যার্তদের মাঝে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছেন মানবিক টিম সিলেটের প্রধান সমন্বয়ক নায়েক সফি আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই আমরা শুকনো খাবার, পানি, সাবান, স্যালাইন বিতরণ করছি দুর্গত এলাকায়। প্লাবিত এলাকাগুলোতে ঘরে ঘরে মানুষকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে দেখছি। ডায়রিয়া, চুলকানির পাশাপাশি অনেক মানুষ জ্বরসর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। অনেক ভয়াবহ অবস্থা বন্যাকবলিত এলাকার। গতকালও আমরা সদর উপজেলার খাসেরগাঁও, পুরান কালারুকা, দাবাদাগাঁওয়ের ১০০ পরিবারের মধ্যে ওষুধসামগ্রী বিতরণ করেছি।’
পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে এ ধরনের রোগী খুব কম এখনো। এটার আসল চিত্রটা পাওয়া যাবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ৷ তবে আরও কিছুদিন পরে বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বাড়বে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।’
বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহারিয়ার বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিলেট জেলায় ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। যার মধ্যে সিলেট শহরে আছে ৩টি। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তা, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ এলাকার অবস্থা খারাপ। পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিবিশুদ্ধকর ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ আমাদের মজুত আছে।’
পানি কমছে: সিলেটে ইতিমধ্যে প্লাবিত সব এলাকা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পানি নামতে শুরু করলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কুশিয়ারার পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলছেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আর খুব একটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে যাবে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। অমলসিদ ও শিউলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পাঁচটি পয়েন্টে লুবা, সারি, ধলা আর সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার নিচে।
কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়া পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট এই বন্যায় সিলেটের ১১টি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে ২ কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং ২ হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
মৎস্য খাত ও যোগাযোগব্যবস্থায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা: আগাম বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৫৩টি সড়কের ৬৫৭ কিলোমিটার ডুবে গেছে। দুই জেলার বেশ কিছু উপজেলার অভ্যন্তরীণ ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে রয়েছে দুই জেলার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত এসব সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন সিলেট সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুমন আহমেদ।
সিলেট জেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আপডেট কোনো তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় নাই। তাই সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাবটা নিরূপণ করা যায়নি ৷ আমি দ্রুত সভা ডেকে আপডেট ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা জানার চেষ্টা করব।’

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব পানিতে ময়লা-আবর্জনা পচে তীব্র দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এই গন্ধ এতটাই তীব্র যে নাকেমুখে কাপড় না দিয়ে কথা বলতে গেলেই যেন নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসতে চায়।
তীব্র গন্ধের মধ্যেই তেররতন সি-ব্লক এলাকায় কথা হয় রেখা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে। ডুবে যাওয়া ভাড়ার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানো এই নারী। ঠিকঠাক ত্রাণ পাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেখা বললেন, ত্রাণ না পেলে খাওয়া বন্ধ। কিন্তু এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো শরীর আর পায়ের চুলকানি। সাত-আট দিন থেকে এমন পচা পানিতে হাঁটাচলা করে শরীরে চুলকানি হয়েছে। পায়ের নখের চিপায় চিপায় ঘা। এভাবে আর কয়েক দিন গেলে পচন ধরবে।
রেখার সঙ্গে কথা শেষ না হতেই এগিয়ে এলেন আলেয়া খাতুন। মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এই নারী গত দুই দিন পেটের অসুখে ভুগছেন। গত শনিবার সারা দিন পেটের ব্যথা থাকলেও গতকাল রোববার সকাল থেকে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে তাঁর ৷ আলেয়া জানালেন, ওষুধ আর স্যালাইন কিনে খাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থাও তাঁর নেই। অনেক সময় ত্রাণের সঙ্গে স্যালাইন দেয়। আজ এখন পর্যন্ত কেউ ত্রাণও দিতে আসেনি তাই স্যালাইন বা ওষুধও পাওয়া হয়নি তাঁর।
তিন দিন থেকে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত শিশু সুমাইয়া আক্তার। তার বাবা আনিস হোসেন বলেন, ‘মেয়েটা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত ৷ ওষুধ খাওয়ালাম তারপরেও ভালো হচ্ছে না।’ আনিসের কথা শেষ না হতেই সুমাইয়ার মা বলে উঠলেন, ‘দুইটা নাপা আর একটা গ্যাসের ট্যাবলেটে জ্বর যাবে কীভাবে?’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একই এলাকায় পাশাপাশি কয়েক পরিবারের অন্তত পাঁচজন শিশু সর্দিজ্বরে আক্রান্ত।
উপশহর এলাকার সব থেকে বড় ওষুধের দোকান হোসাইন ফার্মেসি। এই ফার্মেসির তত্ত্বাবধায়ক মো. আশরাফ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দিনে অন্তত তাঁর ফার্মেসি থেকে পাঁচজন ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার ওষুধ নিচ্ছে গত দুই দিন।
আশরাফের ভাষ্যমতে, এলাকার ৬০ ভাগ মানুষ এখন আর এখানে থাকে না। বাকি যারা আছে তাদের মধ্যে যদি দিনে অন্তত পাঁচজন এ ধরনের রোগের ওষুধ নিয়ে থাকে, ‘তাহলে বুঝুন, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে।’
বন্যার কারণে সিলেটে রাস্তাঘাট, শস্য ও মৎস্যসম্পদের সঙ্গে রোগব্যাধিও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত জেলায় ১১৬ জন ডায়রিয়ার রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বন্যা-পরবর্তী রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা না গেলেও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় রোগীর সংখ্যা এখন কম মনে হলেও কিছুদিন পরই ভয়াবহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ও ফুড পয়জনিংয়ের মতো অসুখগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে সিলেটে। যদি বন্যা আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা না করা যায়, এই রোগ প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকলে এটা মোকাবিলা করা মুশকিল হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
শুরু থেকেই বন্যার্তদের মাঝে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছেন মানবিক টিম সিলেটের প্রধান সমন্বয়ক নায়েক সফি আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই আমরা শুকনো খাবার, পানি, সাবান, স্যালাইন বিতরণ করছি দুর্গত এলাকায়। প্লাবিত এলাকাগুলোতে ঘরে ঘরে মানুষকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে দেখছি। ডায়রিয়া, চুলকানির পাশাপাশি অনেক মানুষ জ্বরসর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। অনেক ভয়াবহ অবস্থা বন্যাকবলিত এলাকার। গতকালও আমরা সদর উপজেলার খাসেরগাঁও, পুরান কালারুকা, দাবাদাগাঁওয়ের ১০০ পরিবারের মধ্যে ওষুধসামগ্রী বিতরণ করেছি।’
পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে এ ধরনের রোগী খুব কম এখনো। এটার আসল চিত্রটা পাওয়া যাবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ৷ তবে আরও কিছুদিন পরে বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বাড়বে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।’
বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহারিয়ার বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিলেট জেলায় ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। যার মধ্যে সিলেট শহরে আছে ৩টি। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তা, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ এলাকার অবস্থা খারাপ। পানিবাহিত রোগ ও রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিবিশুদ্ধকর ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ আমাদের মজুত আছে।’
পানি কমছে: সিলেটে ইতিমধ্যে প্লাবিত সব এলাকা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পানি নামতে শুরু করলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কুশিয়ারার পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলছেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আর খুব একটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে যাবে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। অমলসিদ ও শিউলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পাঁচটি পয়েন্টে লুবা, সারি, ধলা আর সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার নিচে।
কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়া পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট এই বন্যায় সিলেটের ১১টি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে ২ কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং ২ হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
মৎস্য খাত ও যোগাযোগব্যবস্থায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা: আগাম বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৫৩টি সড়কের ৬৫৭ কিলোমিটার ডুবে গেছে। দুই জেলার বেশ কিছু উপজেলার অভ্যন্তরীণ ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে রয়েছে দুই জেলার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত এসব সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন সিলেট সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুমন আহমেদ।
সিলেট জেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আপডেট কোনো তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় নাই। তাই সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাবটা নিরূপণ করা যায়নি ৷ আমি দ্রুত সভা ডেকে আপডেট ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা জানার চেষ্টা করব।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১১ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব
২৩ মে ২০২২
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেমিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব
২৩ মে ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব
২৩ মে ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১১ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবেই পরিচিত উপশহর। তারই একটা অংশ পশ্চিম তেররতন। অন্য এলাকার পানি কোমর থেকে নেমে হাঁটুতে এলেও এই এলাকায় এখনো পানি হাঁটুর ওপরেই আছে। এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা এসব
২৩ মে ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১১ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে