হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত চুরির প্রতিবাদে দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের প্রধান সড়ক টাউন হল রোড এলাকায় রাস্তায় বসে অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। 

এ সময় প্রায় ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাস্তার দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। 

এ সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আওয়াল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেম্বারের পরিচালক মশিউর রহমান শামীম, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর, কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আশিকুর রহমান আশিক, রাফিউর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবু হাসিব খান চৌধুরী পাবেল, প্রেসক্লাব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম চৌধুরী, হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল ছাড়াও কয়েকশ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। 

পরে ঘটনাস্থলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘পুলিশ সুপার ছুটিতে আছেন। দুদিনের মধ্যে তিনি আসবেন। তখন আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসব। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ 

ব্যবসায়ীরা জানান, ইদানীং শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘনঘন চুরি সংঘটিত হয়ে আসছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন পুলিশের যোগসাজশে এসব চুরি সংঘটিত হচ্ছে। 

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের টাউন হল রোড এলাকায় অবস্থিত গেজেট হবিগঞ্জ নামের মোবাইল ফোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে চুরি হয়। চোরেরা নগদ টাকা, মোবাইলসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। 

এর প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে টাউন হল রোড এলাকায় রাস্তায় বসে অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের কারণে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধে প্রায় ২ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। 

• হবিগঞ্জে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অব্যাহত চুরি, প্রতিবাদে ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

এর আগে গেজেট হবিগঞ্জ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আরাফাত চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমার দোকান এখন পর্যন্ত ৩ বার চুরি হয়েছে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যদি ৩ বার চুরি হয়, তাহলে আর কীভাবে ব্যবসা করা যায়।’