টাকা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮: ০৪
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ২০

প্রতিবছর বিজয় দিবসে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের দুপুরের খাবার ও সম্মাননা হিসেবে প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের টাকা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।  

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

কিন্তু অনুষ্ঠানের শুরু থেকে এ বছর সংবর্ধনা নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রসরাজ বৈদ্যের ছেলে রাজশেখর বৈদ্য। তিনি বলেন, এবারের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। 

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাব আলীর ছেলে বজলু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছর বিজয় দিবসে আমাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় দুপুরের খাবারের পাশাপাশি নগদ ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর শুধু জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নগদ টাকা দেওয়া হলেও প্রয়াত পরিবারের সদস্যদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। আমাদের নিয়ে এ কেমন তামাশা! বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় দেওয়া হলেও প্রয়াত পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয়নি।’ 

তবে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হলে পরবর্তী সময়ে সবাইকে সম্মাননার টাকা দেওয়া হয়। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননার বিষয়টি নতুন নাজির (ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারী) থাকায় এমন হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।’ 

এদিকে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের বক্তব্যে ‘জয় বাংলা’ না বলায় তাঁকে অনুষ্ঠান থেকে বয়কট করার দাবি জানান। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিল্পকলার মঞ্চে অভিনয় না করার অনুরোধ মহাপরিচালকের, ক্ষোভ জানালেন মামুনুর রশীদ

আদালতের নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী চান বিচারকেরা

ইস্টার্ন রিফাইনারি: ১৮ কোটি টাকার কুলিং টাওয়ারের সবই নকল

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত