আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজস্ব ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এনবিআরের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে। কমিটি এরই মধ্যে অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ শুরু করেছে এবং জমা পড়া মতামত পর্যালোচনা করে বাস্তবতার ভিত্তিতে খণ্ড খণ্ড সুপারিশ তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। লক্ষ্য হলো, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কিছু সংস্কার উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত করে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
কমিটিতে রয়েছেন এনবিআরের সাবেক দুই চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ ও ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ। বাকিরা এনবিআরের সাবেক সদস্য। তাঁরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন (কর), ফরিদ উদ্দিন (শুল্ক) ও আমিনুর রহমান (কর)। গত ৮ অক্টোবর এনবিআর সংস্কারে এই পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়।
সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের মূল ভরসা হলো রাজস্ব, যা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে এনবিআর। তবে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫০ বছর পরেও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছর রাজস্ব আহরণে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও তা লক্ষ্যপূরণে যথেষ্ট নয়।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও সেটি সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কম ছিল। তা সত্ত্বেও আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। বর্তমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এনবিআরের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ১১২ কোটি টাকা, কিন্তু বাস্তবে আদায় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। ফলে চার মাসেই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। যদিও এই সময়ে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা
রাজস্ব আহরণে এনবিআরের দীর্ঘদিনের সীমাবদ্ধতা হলো আইনি দুর্বলতা ও নীতিমালার অস্পষ্টতা, যা কর ফাঁকির সুযোগ তৈরি করে। কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতি করদাতাদের হতাশ করে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রভাবশালীরা অনৈতিক করছাড় পেয়ে থাকেন। জটিল ও সময়সাপেক্ষ কর আদায় প্রক্রিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও ডেটাবেইস ব্যবহারের ঘাটতি কার্যক্রমকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে।
এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়গুলো বাজেট ছাড়াও আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে আইন সংশোধনই যথেষ্ট। – আশরাফ আহমেদ, সভাপতি, ঢাকা চেম্বার
উত্তরণে যা করণীয়
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসেবার মান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় রাজস্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে এনবিআরকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কর প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও আধুনিক করতে হবে। আইন সংস্কার, প্রযুক্তির ব্যবহার, কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কর সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ জানিয়েছেন, তাঁদের মূল কাজ হলো প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার ও কৌশলগত পথনির্দেশনা প্রদান। আরেক সদস্য ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাঁরা করনীতি, প্রশাসন, এনবিআরের দক্ষতা বৃদ্ধির উপায় এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন। যদিও রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল নিয়ে কাজ শুরু হলেও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো পরিকল্পনা হয়নি।
খণ্ড খণ্ড প্রতিবেদনে মনোযোগ
রাজস্ব খাতের পরিধি অত্যন্ত বিস্তৃত এবং এতে নানা অসংগতি, আইনি জটিলতা ও সমস্যা বিদ্যমান। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে সম্ভাব্য সমাধান সুপারিশ করতে সময় লাগবে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার অন্তর্ভুক্ত করতে রাজস্ব খাতের সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য হলো, প্রাথমিকভাবে কিছু সুপারিশ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে ধাপে ধাপে উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া।
ড. আবদুল মজিদ জানিয়েছেন, সময়সাপেক্ষ হওয়ায় তাঁরা খণ্ড খণ্ড প্রতিবেদন দেবেন, যা থেকে সরকার কিছু সুপারিশ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত এবং বাকিগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে পারে।
ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক বাজেটে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তবে তাঁরা সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় বসে থাকলে অগ্রগতি আসবে না। এ কারণেই ইস্যু ধরে ধরে জোর দেওয়া হচ্ছে, যার প্রতিফলন বাজেটে ঘটে।
কমিটিকে নীতিগত, আইনগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কার্যক্রম পরিচালনাগত সংগতিগুলো চিহ্নিত করে সুপারিশ আনতে হবে। – ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক, সিপিডি
যা বলছেন অংশীজনেরা
অংশীজনেরা মনে করেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা, দায়িত্ব নির্ধারণ এবং সময়মাপ নির্ধারণ করলে সংস্কার কার্যক্রম কার্যকর ও টেকসই হবে। এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়গুলো বাজেট ছাড়াও আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে আইন সংশোধনই যথেষ্ট, যা বাজেটের ওপর নির্ভরশীল নয়।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কমিটিকে নীতিগত, আইনগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কার্যক্রম পরিচালনাগত অসংগতিগুলো চিহ্নিত করে সুপারিশ আনতে হবে। এগুলোর মধ্যে অর্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা, আইনি বিষয়গুলো আলাদাভাবে আইন সংস্কারের মাধ্যমে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়গুলো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি কার্যক্রমের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির ওপর জোর দেন, যেখানে স্পষ্ট হবে কোন কাজ কখন এবং কাদের দায়িত্বে সম্পন্ন হবে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজস্ব ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এনবিআরের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে। কমিটি এরই মধ্যে অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ শুরু করেছে এবং জমা পড়া মতামত পর্যালোচনা করে বাস্তবতার ভিত্তিতে খণ্ড খণ্ড সুপারিশ তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। লক্ষ্য হলো, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কিছু সংস্কার উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত করে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
কমিটিতে রয়েছেন এনবিআরের সাবেক দুই চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ ও ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ। বাকিরা এনবিআরের সাবেক সদস্য। তাঁরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন (কর), ফরিদ উদ্দিন (শুল্ক) ও আমিনুর রহমান (কর)। গত ৮ অক্টোবর এনবিআর সংস্কারে এই পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়।
সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের মূল ভরসা হলো রাজস্ব, যা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে এনবিআর। তবে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫০ বছর পরেও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছর রাজস্ব আহরণে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও তা লক্ষ্যপূরণে যথেষ্ট নয়।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও সেটি সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কম ছিল। তা সত্ত্বেও আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। বর্তমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এনবিআরের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ১১২ কোটি টাকা, কিন্তু বাস্তবে আদায় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। ফলে চার মাসেই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। যদিও এই সময়ে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা
রাজস্ব আহরণে এনবিআরের দীর্ঘদিনের সীমাবদ্ধতা হলো আইনি দুর্বলতা ও নীতিমালার অস্পষ্টতা, যা কর ফাঁকির সুযোগ তৈরি করে। কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতি করদাতাদের হতাশ করে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রভাবশালীরা অনৈতিক করছাড় পেয়ে থাকেন। জটিল ও সময়সাপেক্ষ কর আদায় প্রক্রিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও ডেটাবেইস ব্যবহারের ঘাটতি কার্যক্রমকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে।
এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়গুলো বাজেট ছাড়াও আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে আইন সংশোধনই যথেষ্ট। – আশরাফ আহমেদ, সভাপতি, ঢাকা চেম্বার
উত্তরণে যা করণীয়
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসেবার মান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় রাজস্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে এনবিআরকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কর প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও আধুনিক করতে হবে। আইন সংস্কার, প্রযুক্তির ব্যবহার, কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কর সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ জানিয়েছেন, তাঁদের মূল কাজ হলো প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার ও কৌশলগত পথনির্দেশনা প্রদান। আরেক সদস্য ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাঁরা করনীতি, প্রশাসন, এনবিআরের দক্ষতা বৃদ্ধির উপায় এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন। যদিও রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল নিয়ে কাজ শুরু হলেও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো পরিকল্পনা হয়নি।
খণ্ড খণ্ড প্রতিবেদনে মনোযোগ
রাজস্ব খাতের পরিধি অত্যন্ত বিস্তৃত এবং এতে নানা অসংগতি, আইনি জটিলতা ও সমস্যা বিদ্যমান। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে সম্ভাব্য সমাধান সুপারিশ করতে সময় লাগবে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার অন্তর্ভুক্ত করতে রাজস্ব খাতের সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য হলো, প্রাথমিকভাবে কিছু সুপারিশ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে ধাপে ধাপে উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া।
ড. আবদুল মজিদ জানিয়েছেন, সময়সাপেক্ষ হওয়ায় তাঁরা খণ্ড খণ্ড প্রতিবেদন দেবেন, যা থেকে সরকার কিছু সুপারিশ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত এবং বাকিগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে পারে।
ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক বাজেটে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তবে তাঁরা সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় বসে থাকলে অগ্রগতি আসবে না। এ কারণেই ইস্যু ধরে ধরে জোর দেওয়া হচ্ছে, যার প্রতিফলন বাজেটে ঘটে।
কমিটিকে নীতিগত, আইনগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কার্যক্রম পরিচালনাগত সংগতিগুলো চিহ্নিত করে সুপারিশ আনতে হবে। – ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক, সিপিডি
যা বলছেন অংশীজনেরা
অংশীজনেরা মনে করেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা, দায়িত্ব নির্ধারণ এবং সময়মাপ নির্ধারণ করলে সংস্কার কার্যক্রম কার্যকর ও টেকসই হবে। এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়গুলো বাজেট ছাড়াও আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে আইন সংশোধনই যথেষ্ট, যা বাজেটের ওপর নির্ভরশীল নয়।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কমিটিকে নীতিগত, আইনগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কার্যক্রম পরিচালনাগত অসংগতিগুলো চিহ্নিত করে সুপারিশ আনতে হবে। এগুলোর মধ্যে অর্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা, আইনি বিষয়গুলো আলাদাভাবে আইন সংস্কারের মাধ্যমে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়গুলো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি কার্যক্রমের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির ওপর জোর দেন, যেখানে স্পষ্ট হবে কোন কাজ কখন এবং কাদের দায়িত্বে সম্পন্ন হবে।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রয়োজনে মেক্সিকো ও চীনের ওপর শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি বলেছিলেন, শুল্ক ও অন্যান্য বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ (মোস্ট–ফেভারড নেশন) চীন। চীনের এই বিশেষ সুবিধা তিনি রাখবেন না।
২ ঘণ্টা আগেআদানির ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকাল সোমবার আইনপ্রণেতারা আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবি তুললে হট্টগোল শুরু হয়, পরে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেদেশে ডলার-সংকট কাটাতে পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলায় (এলসি) কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করা হয়। এতে অন্যান্য পণ্যের মতো প্রসাধনসামগ্রী আমদানিতেও মারাত্মক ভাটা পড়ে। গত অর্থবছরে নির্ধারিত এইচএস
২ ঘণ্টা আগেজিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী, ব্যাংকঋণের সুদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ কম, বলা যায় বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ স্থবির বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগে