আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের মতোই বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বণিক বার্তা’ আয়োজিত ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক এক নীতিসংলাপে বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেখানে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বাজারের সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান আমদানি বাণিজ্যের একটি বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তদুপরি, নীতিগুলো মূলত ধনিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর হচ্ছে, সাধারণ ভোক্তার কল্যাণে নয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বক্তারা পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের অভাবকে চিহ্নিত করেন। তাঁরা বলেন, বাজারের সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য সরকারের হাতে না থাকায় কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই নীতিসংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতা কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দিতে চাই। বাজারে যাতে প্রতিযোগিতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। মন্ত্রণালয়ের সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ যেন না থাকে, সেদিকে আগাতে চাই।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের নীতিগুলো ধনিকশ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব নীতি গ্রহণ হয় না। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। যদি সেটি না হয় তাহলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? আমরা কার কাছ থেকে কর আদায় করব?’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, বাজার তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের বাজার বড় হচ্ছে। কারণ, মানুষের আয় বাড়ছে। এতে বাজার তদারকি দুর্বল হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, বর্তমান সরকারও একই উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে আমি মর্মাহত। আসলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি। এটা ভাঙতে হবে, অন্তত নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে।’
টিআইএন থাকার পরও যাঁরা দীর্ঘদিন রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁরা শিগগিরই নোটিশ পাবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁদের কোনো সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে না। তাই আমরা এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্টে যাচ্ছি। অনেক ব্যবসায়ীই ভ্যাট চালান দিতে চান না। আমাদের নাগরিকেরা বিদেশে গিয়ে আইন ভঙ্গ করছেন না। কিন্তু, দেশে আমরা আইন মানি না।’
বাজারে মুক্ত অর্থনীতির মূলনীতির কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বাস্তবে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলতে কিছু নেই, যা আছে তা অলিগোপলি। বেশির ভাগ বাজার ও পণ্য উৎপাদন কতিপয় গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।
আসন্ন রমজানে তেলের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা—এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, রমজানে তেলের দাম বাড়বে না। বর্তমানে যে দাম আছে, তা-ই বজায় থাকবে।’
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন এ এইচ এম আহসান বলেছেন, ‘বাজারের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে। প্রকৃত সমস্যা হচ্ছে, প্রতিযোগিতার অপব্যবহার হচ্ছে কি না। প্রতিযোগিতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করাই আমাদের কাজ। কেউ অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে বাজার প্রভাবিত করছে কি না, সেদিকে দৃষ্টি রাখাও আমাদের কাজ। তবে সমন্বয়ের অভাবে আমাদের হাতে তথ্য নেই। নতুনভাবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান। তিনি বলেন, ‘বাজারে বড় বড় খেলোয়াড়ের (ব্যবসায়ী) পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ী, যাঁরা ছোট ব্যবসা করেন তাঁদের যদি সুযোগ করে দিতে পারি, তাহলে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় করা যেতে পারে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।’

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের মতোই বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বণিক বার্তা’ আয়োজিত ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক এক নীতিসংলাপে বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেখানে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বাজারের সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান আমদানি বাণিজ্যের একটি বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তদুপরি, নীতিগুলো মূলত ধনিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর হচ্ছে, সাধারণ ভোক্তার কল্যাণে নয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বক্তারা পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের অভাবকে চিহ্নিত করেন। তাঁরা বলেন, বাজারের সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য সরকারের হাতে না থাকায় কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই নীতিসংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতা কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দিতে চাই। বাজারে যাতে প্রতিযোগিতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। মন্ত্রণালয়ের সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ যেন না থাকে, সেদিকে আগাতে চাই।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের নীতিগুলো ধনিকশ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব নীতি গ্রহণ হয় না। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। যদি সেটি না হয় তাহলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? আমরা কার কাছ থেকে কর আদায় করব?’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, বাজার তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের বাজার বড় হচ্ছে। কারণ, মানুষের আয় বাড়ছে। এতে বাজার তদারকি দুর্বল হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, বর্তমান সরকারও একই উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে আমি মর্মাহত। আসলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি। এটা ভাঙতে হবে, অন্তত নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে।’
টিআইএন থাকার পরও যাঁরা দীর্ঘদিন রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁরা শিগগিরই নোটিশ পাবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁদের কোনো সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে না। তাই আমরা এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্টে যাচ্ছি। অনেক ব্যবসায়ীই ভ্যাট চালান দিতে চান না। আমাদের নাগরিকেরা বিদেশে গিয়ে আইন ভঙ্গ করছেন না। কিন্তু, দেশে আমরা আইন মানি না।’
বাজারে মুক্ত অর্থনীতির মূলনীতির কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বাস্তবে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলতে কিছু নেই, যা আছে তা অলিগোপলি। বেশির ভাগ বাজার ও পণ্য উৎপাদন কতিপয় গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।
আসন্ন রমজানে তেলের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা—এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, রমজানে তেলের দাম বাড়বে না। বর্তমানে যে দাম আছে, তা-ই বজায় থাকবে।’
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন এ এইচ এম আহসান বলেছেন, ‘বাজারের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে। প্রকৃত সমস্যা হচ্ছে, প্রতিযোগিতার অপব্যবহার হচ্ছে কি না। প্রতিযোগিতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করাই আমাদের কাজ। কেউ অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে বাজার প্রভাবিত করছে কি না, সেদিকে দৃষ্টি রাখাও আমাদের কাজ। তবে সমন্বয়ের অভাবে আমাদের হাতে তথ্য নেই। নতুনভাবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান। তিনি বলেন, ‘বাজারে বড় বড় খেলোয়াড়ের (ব্যবসায়ী) পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ী, যাঁরা ছোট ব্যবসা করেন তাঁদের যদি সুযোগ করে দিতে পারি, তাহলে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় করা যেতে পারে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের মতোই বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বণিক বার্তা’ আয়োজিত ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক এক নীতিসংলাপে বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেখানে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বাজারের সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান আমদানি বাণিজ্যের একটি বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তদুপরি, নীতিগুলো মূলত ধনিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর হচ্ছে, সাধারণ ভোক্তার কল্যাণে নয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বক্তারা পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের অভাবকে চিহ্নিত করেন। তাঁরা বলেন, বাজারের সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য সরকারের হাতে না থাকায় কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই নীতিসংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতা কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দিতে চাই। বাজারে যাতে প্রতিযোগিতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। মন্ত্রণালয়ের সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ যেন না থাকে, সেদিকে আগাতে চাই।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের নীতিগুলো ধনিকশ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব নীতি গ্রহণ হয় না। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। যদি সেটি না হয় তাহলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? আমরা কার কাছ থেকে কর আদায় করব?’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, বাজার তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের বাজার বড় হচ্ছে। কারণ, মানুষের আয় বাড়ছে। এতে বাজার তদারকি দুর্বল হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, বর্তমান সরকারও একই উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে আমি মর্মাহত। আসলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি। এটা ভাঙতে হবে, অন্তত নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে।’
টিআইএন থাকার পরও যাঁরা দীর্ঘদিন রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁরা শিগগিরই নোটিশ পাবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁদের কোনো সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে না। তাই আমরা এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্টে যাচ্ছি। অনেক ব্যবসায়ীই ভ্যাট চালান দিতে চান না। আমাদের নাগরিকেরা বিদেশে গিয়ে আইন ভঙ্গ করছেন না। কিন্তু, দেশে আমরা আইন মানি না।’
বাজারে মুক্ত অর্থনীতির মূলনীতির কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বাস্তবে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলতে কিছু নেই, যা আছে তা অলিগোপলি। বেশির ভাগ বাজার ও পণ্য উৎপাদন কতিপয় গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।
আসন্ন রমজানে তেলের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা—এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, রমজানে তেলের দাম বাড়বে না। বর্তমানে যে দাম আছে, তা-ই বজায় থাকবে।’
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন এ এইচ এম আহসান বলেছেন, ‘বাজারের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে। প্রকৃত সমস্যা হচ্ছে, প্রতিযোগিতার অপব্যবহার হচ্ছে কি না। প্রতিযোগিতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করাই আমাদের কাজ। কেউ অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে বাজার প্রভাবিত করছে কি না, সেদিকে দৃষ্টি রাখাও আমাদের কাজ। তবে সমন্বয়ের অভাবে আমাদের হাতে তথ্য নেই। নতুনভাবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান। তিনি বলেন, ‘বাজারে বড় বড় খেলোয়াড়ের (ব্যবসায়ী) পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ী, যাঁরা ছোট ব্যবসা করেন তাঁদের যদি সুযোগ করে দিতে পারি, তাহলে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় করা যেতে পারে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।’

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের মতোই বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বণিক বার্তা’ আয়োজিত ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক এক নীতিসংলাপে বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেখানে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বাজারের সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান আমদানি বাণিজ্যের একটি বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তদুপরি, নীতিগুলো মূলত ধনিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর হচ্ছে, সাধারণ ভোক্তার কল্যাণে নয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বক্তারা পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের অভাবকে চিহ্নিত করেন। তাঁরা বলেন, বাজারের সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য সরকারের হাতে না থাকায় কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই নীতিসংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতা কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দিতে চাই। বাজারে যাতে প্রতিযোগিতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। মন্ত্রণালয়ের সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ যেন না থাকে, সেদিকে আগাতে চাই।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের নীতিগুলো ধনিকশ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব নীতি গ্রহণ হয় না। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। যদি সেটি না হয় তাহলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? আমরা কার কাছ থেকে কর আদায় করব?’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, বাজার তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের বাজার বড় হচ্ছে। কারণ, মানুষের আয় বাড়ছে। এতে বাজার তদারকি দুর্বল হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, বর্তমান সরকারও একই উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে আমি মর্মাহত। আসলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি। এটা ভাঙতে হবে, অন্তত নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে।’
টিআইএন থাকার পরও যাঁরা দীর্ঘদিন রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁরা শিগগিরই নোটিশ পাবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাঁদের কোনো সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে না। তাই আমরা এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্টে যাচ্ছি। অনেক ব্যবসায়ীই ভ্যাট চালান দিতে চান না। আমাদের নাগরিকেরা বিদেশে গিয়ে আইন ভঙ্গ করছেন না। কিন্তু, দেশে আমরা আইন মানি না।’
বাজারে মুক্ত অর্থনীতির মূলনীতির কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বাস্তবে মুক্তবাজার অর্থনীতি বলতে কিছু নেই, যা আছে তা অলিগোপলি। বেশির ভাগ বাজার ও পণ্য উৎপাদন কতিপয় গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।
আসন্ন রমজানে তেলের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা—এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, রমজানে তেলের দাম বাড়বে না। বর্তমানে যে দাম আছে, তা-ই বজায় থাকবে।’
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন এ এইচ এম আহসান বলেছেন, ‘বাজারের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে। প্রকৃত সমস্যা হচ্ছে, প্রতিযোগিতার অপব্যবহার হচ্ছে কি না। প্রতিযোগিতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করাই আমাদের কাজ। কেউ অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে বাজার প্রভাবিত করছে কি না, সেদিকে দৃষ্টি রাখাও আমাদের কাজ। তবে সমন্বয়ের অভাবে আমাদের হাতে তথ্য নেই। নতুনভাবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান। তিনি বলেন, ‘বাজারে বড় বড় খেলোয়াড়ের (ব্যবসায়ী) পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ী, যাঁরা ছোট ব্যবসা করেন তাঁদের যদি সুযোগ করে দিতে পারি, তাহলে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় করা যেতে পারে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি ইমপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।’

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বাজার তদারকিতে আগের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, বর্তমান সরকারও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে আমরা নীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি, এটা অবশ্যই ভাঙতে হবে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের সরবরাহব্যবস্থার ক্ষেত্রে। বাজার বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে প্রতিযোগিতার অভাব সুস্পষ্ট। আগের
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে