Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

নির্বাচিত সরকার ছাড়া ব্যবসার পরিবেশ ফিরবে না

আজকের পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আবদুল আউয়াল মিন্টু

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী মাল্টিমোড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিন্টু বর্তমানে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক রোকন উদ্দীন

রোকন উদ্দীন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: বর্তমানে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি আপনার দৃষ্টিতে কেমন?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।

দ্বিতীয়ত, আর্থিক খাতের যে সমস্যা, তাকে আমি ঠিক বিশৃঙ্খলা বলব না। তবে আর্থিক খাতের এখনকার পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য ভালো নয়।

তৃতীয়ত, আমি বলব বিনিয়োগের সমস্যার কথা। যে হারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে, সে হারে মজুরি বাড়ছে না। এতে সঞ্চয় কমে যাচ্ছে। সঞ্চয় যদি কমে যায়, তবে বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে? এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের কিছু ভুলনীতি। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এতে বিনিয়োগ বা কাঁচামাল কেনার জন্য যে এলসি খোলা দরকার, তা-ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এগুলোকে একত্র করে দেখলে বলা যায়, দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ হচ্ছে না; অতএব কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, অর্থনীতি যে দিকে যাওয়া দরকার, সে দিকে যাচ্ছে না।

আজকের পত্রিকা: এই অবস্থার জন্য দায়ী কে এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই প্রশ্ন আরও পরে করতে হবে। কারণ সমস্যা আরও আছে। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, ঠিক রাজনীতি না থাকে কিংবা ধরুন যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা অনিশ্চয়তা থাকে, তবে অর্থনীতির এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সহজ কোনো রাস্তা নেই।

আগে যাঁরা দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা কী করেছেন তা তো সবাই জানেন। কিন্তু বর্তমানে যাঁরা দেশ চালাচ্ছেন, তাঁরা তো রাজনীতিক না। অতএব রাজনীতিকরা যেভাবে মানুষের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন, তাঁরা সেভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন না। কিংবা চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সেভাবে বুঝবেন না।

অতএব উত্তরণের একটাই উপায়; সেটা হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটা সম্ভব হবে, দেশে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। পালিয়ে যাওয়া সরকারের মতো নয়।

আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাসের সিদ্ধান্তগুলো ব্যবসার জন্য কতটা সহায়ক বা ক্ষতিকর?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমি দেখিনি। আবার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে, সেগুলোও যে ইচ্ছাকৃত ক্ষতি করার জন্য নিয়েছে, সেটাও নয়। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার বলেছিল টাকা ছাপাবে না। কিন্তু সবাই তো বলে, তারা টাকা ছাপিয়েছে। আমার প্রশ্ন, দেশের জিডিপির আকার অনুসারে ঠিক কতটুকু মুদ্রা দরকার, তা কি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে কেউ? মুদ্রানীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দেন যে আমাদের কত মুদ্রার সরবরাহ দরকার। মুদ্রা অনেক সময় দেশের বাইরেও চলে যায়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ছাপানো মুদ্রার ২০-২২ শতাংশ অভ্যন্তরে থাকে। বাকিটা বাইরে চলে যায়। আমাদের তো এত যাবে না।

সংকুচিত মুদ্রানীতির জন্য আমাদের সুদের হার বেড়েছে, যা ব্যবসার জন্য বড় বাধা। যে দেশে পাট, চামড়া ও লবণ ছাড়া বাকি শিল্পের কাঁচামাল এবং সব খাদ্যপণ্য আমদানি করে চলতে হয়, সে দেশে শুধু সংকুচিত মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইলে হিতে বিপরীত হবে। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি খরচ বেড়েছে। আবার বাড়তি খরচের ওপর বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। অতএব সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।

আজকের পত্রিকা: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বা অস্থিরতা কমার কোনো আভাস বা উদ্যোগ দেখছেন কি না?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা আলাদা করে দেখলে আমি বলব দুটোই পুরোপুরি বিদ্যমান। গত কয়েক দিনে দেখেছেন রাতভর ছেলেরা মারামারি করেছে। তার আগে ছিল বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের গণ্ডগোল। এখনো বহু কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। ছাত্রদের অসন্তোষ রয়েছে। আর সাধারণ মানুষের অসন্তোষ হলো তারা যে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য; সেটা এখনো পাওয়া যায়নি।

দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা দুটোই সমানভাবে রয়েছে। যেখানে সেখানে রাতে-দিনে চুরি ডাকাতি ছিনতাই হচ্ছে, খুন হচ্ছে।

আজকের পত্রিকা: ব্যবসায়িক নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বলবেন?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: দেশের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গত দশ-পনেরো বছরই দলীয় লেজুড়বৃত্তি চালিয়ে গেছে। ওই সময়টাতে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোনো কথা হয়নি। সে হিসেবে এখন কিছু কিছু হচ্ছে।

আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকার জোর দিয়ে সংস্কারের কথা বলছে। আপনি বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: সংস্কারের নানা ধরন আছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বুঝতে হবে, তারা কতটুকু সংস্কারের সামর্থ্য বা অধিকার রাখে। সবকিছু সংস্কার করতে হলে জনপ্রতিনিধি হয়ে আসতে হবে। আপনি সংবিধান সংস্কার করছেন, সবকিছু বাদ দিয়ে দেবেন, এই অধিকার আপনাকে কে দিল? এই ক্ষমতা কোত্থেকে এল? আর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করাই যায়। আপনি দুদক সংস্কার করেন, জুডিশিয়াল সংস্কার করেন, ছাত্ররাজনীতির সংস্কার করেন। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাচ্ছি সরকার আগে বলুক, ঠিক কী কী সংস্কার করবে। যেগুলো সম্ভব, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে ফেলুক; আর দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিক।

আজকের পত্রিকা: আপনিতো লাল তীর সিড কোম্পানির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতেও যুক্ত হয়েছেন। এই খাত নিয়ে কিছু বলুন—

আবদুল আউয়াল মিন্টু: কৃষির সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান দুটোই যুক্ত। দেশের জিডিপিতে অবদান ও কর্মসংস্থান কমছে কৃষি খাত থেকে। অথচ এ খাতে এই সরকারের কোনো সংস্কার দেখছি না। যে খাত থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সম্ভব, সে খাতে নজর দেওয়া দরকার।

আজকের পত্রিকা: আপনি অর্থনীতির যে সার্বিক চিত্রের কথা বললেন; তাতে ২০২৬ সালে আমাদের কি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ করা উচিত হবে?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: অচিরেই এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে সমস্যা তো অবশ্যই হবে। কারণ কম সুদহারে ঋণ নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, উচ্চ শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করতে হবে। আগের সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছে। উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত।

আজকের পত্রিকা: আপনার নিজের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

আবদুল আউয়াল মিন্টু: আমার বয়স ৭৫ পার হয়ে গেছে। এখন আর কী বিশেষ পরিকল্পনা থাকতে পারে! তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে কয়েকটি নতুন শাখার কাজে হাত দিয়েছি। একটা হলো গাভি ও ষাঁড়ের জাত উন্নয়ন। আর একটা হলো খাগড়াছড়িতে কফি উৎপাদন। ইতিমধ্যে ৩৫ একর জমিতে কফির চাষ করা হয়েছে। পাহাড়ের কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে এটা করছি। আর রাজনৈতিক অবস্থান আগে যা ছিল, এখনো তা-ই আছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকব। কোথাও নির্বাচন করার পরিকল্পনা আমার নেই। তারপরও বাকিটা আল্লাহ জানেন। দেখা যাক, পরিবেশ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তৈরি পোশাক রপ্তানি: ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সম্ভাবনা জাপানে

রোকন উদ্দীন, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৭
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।

এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।

তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’

জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।

কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’

এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এসএমই মেলায় ১৬ কোটি টাকার অর্ডার পেলেন উদ্যোক্তারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।

শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।

মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপেল, মাল্টা, কমলাসহ তাজা ফলের শুল্ক কমানোর সুপারিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।

অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে ভোটার ও রাজনীতিবিদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে: দেবপ্রিয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৯
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’

সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’

সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’

তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত