বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
কোটাবিরোধী আন্দোলনের রেশ এখন অর্থনীতিতে। ইন্টারনেট স্বাভাবিক হয়নি। বন্দরে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের দীর্ঘ লাইন। কারফিউর কারণে যানবাহন ও পণ্য পরিবহনে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরেনি। সংঘাতময়, অস্থিতিশীল ও আতঙ্কের খবর বিশ্বময়। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি পণ্যের বাজার আর বিনিয়োগ নিয়ে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আর ইমেজ সংকটের বিষয়টিও সামনে চলে আসছে।
পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্রয়াদেশ বাতিল না করতে অনুরোধ করলেও আশঙ্কা কাটছে না তাদের। রপ্তানি বাজার ও বিনিয়োগে আস্থা ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর জোর দিচ্ছে তারা।
সরকারের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ কাজ করছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এ জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সরকারের পাশে থাকার কথা বলেছেন।
ওই বৈঠকে ফরেন চেম্বারের পক্ষ থেকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন এফআইসিসিআইয়ের (ফিকি) প্রেসিডেন্ট ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার। ওই সময় তিনি বলেন, এফএমসিজির (ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস) সরবরাহব্যবস্থা এবং পরিচালন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ফলে ওই সময়ে ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি ডলারের বেশি।
আর্থিক প্রভাবের বাইরে দেশ যে ভাবমূর্তির সংকটের মুখে পড়েছে, তা পরিমাপ করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন জাভেদ আখতার। লিখিত বক্তব্যে ফিকির সভাপতি বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রাকে অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে এসব ক্ষতির অঙ্ক কষছেন পোশাক খাতসহ বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এর আগেই দিনে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতির কথা বলা হয়েছিল। এ ছাড়া অন্য খাতের ক্ষতির অঙ্কও ছোট নয়। তবে সব ক্ষতির হিসাব করে তারা শিগগির সরকারের কাছে একটি আনুমানিক হিসাব জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ক্ষতির হিসাব আসছে। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এরই মধ্যে তাদের ক্ষতির কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া অন্যদেরও কার কত ক্ষতি হয়েছে, এটা নিয়ে তারা সবাই কাজ করছে। ক্ষতির হিসাব করে শিগগির তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
এদিকে ইমেজ সংকটের রেশও ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পোশাকশিল্পের মালিকেরা এক দিন আগে বিজিএমইএ কার্যালয়ে সব বিদেশি ক্রেতাদের ডেকে পরিস্থিতি তুলে ধরে তাদের সহায়তা চেয়েছেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বড় ক্রেতা এইচঅ্যান্ডএম, মার্ক অ্যান্ড স্প্যান্সারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতারা ইন্টারনেট বন্ধ থাকা ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য জাহাজীকরণে বিলম্বের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক ক্রেতারা উদ্বেগে আছে। যদিও তারা বলছে, যেসব অর্ডার দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করবে না। তা কতটা রাখবে—এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, তারা মুখে বলে এক, করে আরেক। তারপরও যদি ধরে নিই, তারা পণ্যগুলো নেবে, তবে ঝুঁকি তৈরি হবে পরের অর্ডারে। পরিস্থিতি যদি দ্রুত স্বাভাবিক না হয়, তাহলে সামনের অর্ডার ক্রেতারা না-ও দিতে পারে।’
বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাজী ইফতেখার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি যখন খারাপ থাকে, তখন তো ক্রেতারা ইতিবাচক থাকে না। এটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে আমরাও উদ্বেগ–উৎকণ্ঠায় আছি। এখন উচিত হলো, দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা পুনরায় স্থাপন করা, মানুষকে বুঝতে দেওয়া, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’
কোটাবিরোধী আন্দোলনের রেশ এখন অর্থনীতিতে। ইন্টারনেট স্বাভাবিক হয়নি। বন্দরে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের দীর্ঘ লাইন। কারফিউর কারণে যানবাহন ও পণ্য পরিবহনে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরেনি। সংঘাতময়, অস্থিতিশীল ও আতঙ্কের খবর বিশ্বময়। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি পণ্যের বাজার আর বিনিয়োগ নিয়ে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আর ইমেজ সংকটের বিষয়টিও সামনে চলে আসছে।
পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্রয়াদেশ বাতিল না করতে অনুরোধ করলেও আশঙ্কা কাটছে না তাদের। রপ্তানি বাজার ও বিনিয়োগে আস্থা ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর জোর দিচ্ছে তারা।
সরকারের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ কাজ করছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এ জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সরকারের পাশে থাকার কথা বলেছেন।
ওই বৈঠকে ফরেন চেম্বারের পক্ষ থেকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন এফআইসিসিআইয়ের (ফিকি) প্রেসিডেন্ট ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার। ওই সময় তিনি বলেন, এফএমসিজির (ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস) সরবরাহব্যবস্থা এবং পরিচালন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ফলে ওই সময়ে ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি ডলারের বেশি।
আর্থিক প্রভাবের বাইরে দেশ যে ভাবমূর্তির সংকটের মুখে পড়েছে, তা পরিমাপ করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন জাভেদ আখতার। লিখিত বক্তব্যে ফিকির সভাপতি বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রাকে অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে এসব ক্ষতির অঙ্ক কষছেন পোশাক খাতসহ বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এর আগেই দিনে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতির কথা বলা হয়েছিল। এ ছাড়া অন্য খাতের ক্ষতির অঙ্কও ছোট নয়। তবে সব ক্ষতির হিসাব করে তারা শিগগির সরকারের কাছে একটি আনুমানিক হিসাব জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ক্ষতির হিসাব আসছে। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এরই মধ্যে তাদের ক্ষতির কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া অন্যদেরও কার কত ক্ষতি হয়েছে, এটা নিয়ে তারা সবাই কাজ করছে। ক্ষতির হিসাব করে শিগগির তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
এদিকে ইমেজ সংকটের রেশও ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পোশাকশিল্পের মালিকেরা এক দিন আগে বিজিএমইএ কার্যালয়ে সব বিদেশি ক্রেতাদের ডেকে পরিস্থিতি তুলে ধরে তাদের সহায়তা চেয়েছেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বড় ক্রেতা এইচঅ্যান্ডএম, মার্ক অ্যান্ড স্প্যান্সারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতারা ইন্টারনেট বন্ধ থাকা ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য জাহাজীকরণে বিলম্বের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক ক্রেতারা উদ্বেগে আছে। যদিও তারা বলছে, যেসব অর্ডার দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করবে না। তা কতটা রাখবে—এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, তারা মুখে বলে এক, করে আরেক। তারপরও যদি ধরে নিই, তারা পণ্যগুলো নেবে, তবে ঝুঁকি তৈরি হবে পরের অর্ডারে। পরিস্থিতি যদি দ্রুত স্বাভাবিক না হয়, তাহলে সামনের অর্ডার ক্রেতারা না-ও দিতে পারে।’
বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাজী ইফতেখার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি যখন খারাপ থাকে, তখন তো ক্রেতারা ইতিবাচক থাকে না। এটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে আমরাও উদ্বেগ–উৎকণ্ঠায় আছি। এখন উচিত হলো, দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা পুনরায় স্থাপন করা, মানুষকে বুঝতে দেওয়া, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গায়ানা, আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলোর নেতৃত্বে ওপেক বহির্ভূত দেশগুলোতে তেলের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইইএ–এর পূর্বাভাস অনুসারে, অ–ওপেক দেশগুলো সম্মিলিতভাবে প্রতিদিন ১৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির পথে রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরমজান মাসে দেশে ইফতার-সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ খেজুর। ধর্মীয় রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকাংশ রোজাদার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না; বরং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা সারা দিন সিয়াম শেষে খেলে শরীরে জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সাহ্রিতেও অনেকে দু-চারটি খেজুর খেয়ে দিনের প্রস্তুতি নেন।
২ ঘণ্টা আগেট্যালি এমএসএমই সম্মাননা পেয়েছেন ২৫ উদ্যোক্তা। বাংলাদেশে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) ইকোসিস্টেমে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেদরপতনের কারণে দেশের পুঁজিবাজার আরও বেশি বিনিয়োগযোগ্য বা উপযোগী হয়েছে উঠেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এ কারণে বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিইরেশিও) কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
৪ ঘণ্টা আগে