নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যয়ের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে উপকারভোগীর সংখ্যাও। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূর্বের অঙ্কেই আটকে থাকছে ভাতার হার।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫ কোটি মানুষকে বছরব্যাপী নগদ ভাতা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত রাখা এবং সুলভমূল্যে খাদ্য সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। এ খাতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের ১৩০টি কর্মসূচির আওতায় বাজেটে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।
সেই হিসাবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ ব্যয় ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। এরও আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
আগামী অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের মধ্যে বয়স্ক ভাতাভোগীর আওতা বাড়িয়ে নতুন যুক্ত করা হচ্ছে আরও ২ লাখ বয়স্ক ও বিধবাদের। সব মিলে আগামী অর্থবছর এই কর্মসূচির আওতায় ৬০ লাখ মানুষকে ভাতা সুবিধা দেওয়া হবে। তাঁদের ভাতা আগের মতো ৬০০ টাকা বহাল থাকছে। এ ছাড়া বাড়ছে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ক্ষেত্রে ভাতাভোগীর সংখ্যা। প্রস্তাবিত বাজেটে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়ছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ জন। এই হিসাবে আগামী অর্থবছর এ কর্মসূচিতে মোট সুবিধা পাবেন ২৭ লাখ ৭৫ হাজার জন। তবে তাঁদের পরিমান অপরিবর্তিত থাকছে।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ আগের মতোই মাসিক ৮০০ টাকা রেখে নতুন করে উপকারভোগী বাড়ানো হচ্ছে আরও ২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ জন। বর্তমানে ১৩ লাখ ৪ জন এ সুবিধা পাচ্ছেন। এর ফলে আগামী বাজেটের মাধ্যমে এ কর্মসূচিতে সরাসরি ভাতা সহায়তা পাবেন ১৫ লাখ ৬৪ হাজার মা ও শিশু।
এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীও বাড়ছে। আগামী বাজেটে এ সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার জন বাড়িয়ে মোট ৩২ লাখ ৩৪ হাজার জনে উন্নীত করা হচ্ছে।
হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আওতায় ১২ হাজার ২২৯ জনকে আগামী বাজেটের মাধ্যমে ভাতা সুবিধা দেওয়া হবে।
এছাড়া আগামী অর্থবছরে সমাজের অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ৯০ হাজার ৮৩২ জনকে ভাতার আওতায় আনা হবে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এখন স্মার্ট সামাজিক সুরক্ষা। এর আওতায় উপকারভোগীরা ইলেকট্রনিক উপায়ে ভাতা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, উপকারভোগীদের ইলেকট্রনিক উপায়ে গভর্নমেন্ট টু পার্সন (জিটুপি) ব্যবস্থায় ভাতা বিতরণ কার্যক্রম ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৭ জনকে জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া দেশব্যাপী প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। শনাক্তকৃত প্রায় ৩৩ দশমিক ৩৪ লাখ প্রতিবন্ধীর তথ্য সংবলিত ডিজঅ্যাবিলিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামক নতুন সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারে উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে ডেটাবেইস সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। সর্বমোট ১১৫টি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের ৩৪টি ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে ১৯টি কর্মসূচির অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ৯৩ শতাংশের অধিক ক্যাশভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে এবং আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচিসমূহকেও এ পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যয়ের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে উপকারভোগীর সংখ্যাও। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূর্বের অঙ্কেই আটকে থাকছে ভাতার হার।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫ কোটি মানুষকে বছরব্যাপী নগদ ভাতা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত রাখা এবং সুলভমূল্যে খাদ্য সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। এ খাতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের ১৩০টি কর্মসূচির আওতায় বাজেটে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।
সেই হিসাবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ ব্যয় ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। এরও আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
আগামী অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের মধ্যে বয়স্ক ভাতাভোগীর আওতা বাড়িয়ে নতুন যুক্ত করা হচ্ছে আরও ২ লাখ বয়স্ক ও বিধবাদের। সব মিলে আগামী অর্থবছর এই কর্মসূচির আওতায় ৬০ লাখ মানুষকে ভাতা সুবিধা দেওয়া হবে। তাঁদের ভাতা আগের মতো ৬০০ টাকা বহাল থাকছে। এ ছাড়া বাড়ছে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ক্ষেত্রে ভাতাভোগীর সংখ্যা। প্রস্তাবিত বাজেটে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়ছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ জন। এই হিসাবে আগামী অর্থবছর এ কর্মসূচিতে মোট সুবিধা পাবেন ২৭ লাখ ৭৫ হাজার জন। তবে তাঁদের পরিমান অপরিবর্তিত থাকছে।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ আগের মতোই মাসিক ৮০০ টাকা রেখে নতুন করে উপকারভোগী বাড়ানো হচ্ছে আরও ২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ জন। বর্তমানে ১৩ লাখ ৪ জন এ সুবিধা পাচ্ছেন। এর ফলে আগামী বাজেটের মাধ্যমে এ কর্মসূচিতে সরাসরি ভাতা সহায়তা পাবেন ১৫ লাখ ৬৪ হাজার মা ও শিশু।
এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীও বাড়ছে। আগামী বাজেটে এ সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার জন বাড়িয়ে মোট ৩২ লাখ ৩৪ হাজার জনে উন্নীত করা হচ্ছে।
হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আওতায় ১২ হাজার ২২৯ জনকে আগামী বাজেটের মাধ্যমে ভাতা সুবিধা দেওয়া হবে।
এছাড়া আগামী অর্থবছরে সমাজের অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ৯০ হাজার ৮৩২ জনকে ভাতার আওতায় আনা হবে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এখন স্মার্ট সামাজিক সুরক্ষা। এর আওতায় উপকারভোগীরা ইলেকট্রনিক উপায়ে ভাতা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, উপকারভোগীদের ইলেকট্রনিক উপায়ে গভর্নমেন্ট টু পার্সন (জিটুপি) ব্যবস্থায় ভাতা বিতরণ কার্যক্রম ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৭ জনকে জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া দেশব্যাপী প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। শনাক্তকৃত প্রায় ৩৩ দশমিক ৩৪ লাখ প্রতিবন্ধীর তথ্য সংবলিত ডিজঅ্যাবিলিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামক নতুন সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারে উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে ডেটাবেইস সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। সর্বমোট ১১৫টি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের ৩৪টি ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে ১৯টি কর্মসূচির অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ৯৩ শতাংশের অধিক ক্যাশভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে এবং আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচিসমূহকেও এ পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ ডিম। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিমের এ চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করান আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন।
১৫ মিনিট আগেপুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ বুধবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার চায় পাকিস্তান। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ গতকাল বুধবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) গুলশান কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। এ জন্য যৌথ বিজন
৩ ঘণ্টা আগে