নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংযমের মাস রমজান। এ মাসে যে যেখানে আছেন, সবাই সংযমী হবেন, সেটাই প্রত্যাশা। কিন্তু রোজা এলেই এ দেশে প্রতিবছর ছুটে যায় বাজারের সংযম। না কমে বরং উল্টো বেড়ে যায় জিনিসপত্রের দাম।
‘রোজা আসবে, আর বাজারে দরদাম বাড়বে না, এমন তো দেখিনি কখনো। এবারও এরই মধ্যে মসলা, মুরগি, সবজিসহ সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে।’ বলছিলেন রাজধানীর রামপুরা বাজারে আসা নারী নওশাবা আমিন। রোজা শুরু হতে বাকি আর দুই-তিন দিন। তাই রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় সদাই কিনতে গতকাল শুক্রবার বাজারে গিয়েছিলেন তিনি।
নওশাবা জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনই তাঁরা কর্মজীবী। তার পরও নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাঁরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। নওশাবা জানান, চাকরিতে বছরে তাঁদের দুজনের বেতন বাড়ে তিন-চার হাজার টাকা। অথচ বাজারদর, বাসাভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল মিলিয়ে খরচ বাড়ে ১০-১৫ হাজারের বেশি। সঞ্চয় তো পরের কথা, টিকে থাকাই মুশকিল।
রমজানের আগে বাজারে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে চড়েছে মাছ, মাংস, সবজি, মসলার দাম। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, অতি মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা ও পলাশী বাজারে গতকাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। আর ছোলার ডাল ১০০-১২০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫-১১৫ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৩৫-১৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪৫-১৮০ টাকা এবং খেসারি ডাল ১০৫-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া অ্যাংকর ডাল ৮৫-৯৫ টাকা, ডাবলি ডাল ৮৫-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেসন ১৪০-১৭০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৫-৬৮ টাকা, খোলা আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫-৭০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোজা শুরুর আগেই ক্রেতাদের মধ্যে চিনির দাম নিয়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক। কারওয়ান বাজারে আসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আহসান আলী চার কেজি চিনি কেনেন। তিনি বলেন, ‘রোজায় প্রচুর শরবত খেতে হয়, তাই চিনি দরকার হয়। তা ছাড়া রোজা শুরু হলে চিনির দাম আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। তাই বেশি করে কিনে রাখছি।’
প্রতি কেজি খোলা চিনি গতকাল ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর প্যাকেটজাত চিনি খুব কম দোকানেই পাওয়া গেছে। প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
কয়েক দিন আগে ১০ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু কিছু দোকানে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হলেও সব দোকানে তা হচ্ছে না। গতকাল বাজারে বোতলজাত তেল প্রতি লিটার ১৬৩-১৭৩ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, আগের দামে কেনা তেল শেষ না হওয়ায় তাঁরা নতুন তেল আনতে পারছেন না।
এখন পেঁয়াজের মৌসুম। বাজারে তাই দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি নতুন রসুন কেজি ১৪০-১৬০ টাকায়, চীন থেকে আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ এবং আদা ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহ দুয়েক কিছুটা কমলেও রমজানের আগে এসে আবার বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজি কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ৩৫-৪০ টাকা, করলা ১১০-১৪০ টাকা, বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৭৯-৯০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা এবং শসা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৪৫ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, ব্রকলি ৫০-৬৯ টাকা, লাউ ৪০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. শাহাদাত বলেন, সবজির সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়তি। তবে সরবরাহ কম থাকার কারণ তিনি জানাতে পারেননি।
মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৪০ টাকা, সোনালিকা মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা জানান, পাইকারি পর্যায়ে মুরগির দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।
গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোথাও। বেশির ভাগ দোকানে ৭৭০-৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০-১১৫০ টাকা।
মাছের বাজারও চড়া। বেশির ভাগ চাষের ও দেশি মাছের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৫০ টাকা, শিং ৫২০-৬০০ টাকা, রুই ৩৬০-৪৫০ টাকা এবং কাতল ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংযমের মাস রমজান। এ মাসে যে যেখানে আছেন, সবাই সংযমী হবেন, সেটাই প্রত্যাশা। কিন্তু রোজা এলেই এ দেশে প্রতিবছর ছুটে যায় বাজারের সংযম। না কমে বরং উল্টো বেড়ে যায় জিনিসপত্রের দাম।
‘রোজা আসবে, আর বাজারে দরদাম বাড়বে না, এমন তো দেখিনি কখনো। এবারও এরই মধ্যে মসলা, মুরগি, সবজিসহ সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে।’ বলছিলেন রাজধানীর রামপুরা বাজারে আসা নারী নওশাবা আমিন। রোজা শুরু হতে বাকি আর দুই-তিন দিন। তাই রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় সদাই কিনতে গতকাল শুক্রবার বাজারে গিয়েছিলেন তিনি।
নওশাবা জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনই তাঁরা কর্মজীবী। তার পরও নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাঁরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। নওশাবা জানান, চাকরিতে বছরে তাঁদের দুজনের বেতন বাড়ে তিন-চার হাজার টাকা। অথচ বাজারদর, বাসাভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল মিলিয়ে খরচ বাড়ে ১০-১৫ হাজারের বেশি। সঞ্চয় তো পরের কথা, টিকে থাকাই মুশকিল।
রমজানের আগে বাজারে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে চড়েছে মাছ, মাংস, সবজি, মসলার দাম। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, অতি মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা ও পলাশী বাজারে গতকাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। আর ছোলার ডাল ১০০-১২০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫-১১৫ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৩৫-১৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪৫-১৮০ টাকা এবং খেসারি ডাল ১০৫-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া অ্যাংকর ডাল ৮৫-৯৫ টাকা, ডাবলি ডাল ৮৫-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেসন ১৪০-১৭০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৫-৬৮ টাকা, খোলা আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫-৭০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোজা শুরুর আগেই ক্রেতাদের মধ্যে চিনির দাম নিয়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক। কারওয়ান বাজারে আসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আহসান আলী চার কেজি চিনি কেনেন। তিনি বলেন, ‘রোজায় প্রচুর শরবত খেতে হয়, তাই চিনি দরকার হয়। তা ছাড়া রোজা শুরু হলে চিনির দাম আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। তাই বেশি করে কিনে রাখছি।’
প্রতি কেজি খোলা চিনি গতকাল ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর প্যাকেটজাত চিনি খুব কম দোকানেই পাওয়া গেছে। প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
কয়েক দিন আগে ১০ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু কিছু দোকানে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হলেও সব দোকানে তা হচ্ছে না। গতকাল বাজারে বোতলজাত তেল প্রতি লিটার ১৬৩-১৭৩ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, আগের দামে কেনা তেল শেষ না হওয়ায় তাঁরা নতুন তেল আনতে পারছেন না।
এখন পেঁয়াজের মৌসুম। বাজারে তাই দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি নতুন রসুন কেজি ১৪০-১৬০ টাকায়, চীন থেকে আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ এবং আদা ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহ দুয়েক কিছুটা কমলেও রমজানের আগে এসে আবার বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজি কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ৩৫-৪০ টাকা, করলা ১১০-১৪০ টাকা, বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৭৯-৯০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা এবং শসা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৪৫ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, ব্রকলি ৫০-৬৯ টাকা, লাউ ৪০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. শাহাদাত বলেন, সবজির সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়তি। তবে সরবরাহ কম থাকার কারণ তিনি জানাতে পারেননি।
মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৪০ টাকা, সোনালিকা মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা জানান, পাইকারি পর্যায়ে মুরগির দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।
গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোথাও। বেশির ভাগ দোকানে ৭৭০-৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০-১১৫০ টাকা।
মাছের বাজারও চড়া। বেশির ভাগ চাষের ও দেশি মাছের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৫০ টাকা, শিং ৫২০-৬০০ টাকা, রুই ৩৬০-৪৫০ টাকা এবং কাতল ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোকে আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং সেখানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকার।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন ১০ম স্বাস্থ্যসেবা ও মেডিকেল সরঞ্জাম প্রদর্শনী ‘মেডএক্সপো ২০২৪ ’-এর হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে যুক্ত হলো রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় পাঁচ তারকা হোটেল-ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা। প্রদর্শনীটির আয়োজন করছে স্বনামধন্য কমিউনিকেশনস ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ট্রিউন গ্রুপ।
১ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ৭৪৬ তম বোর্ড সভা গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাশেম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল-প্যাভিলিয়ন-রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ অনলাইন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার জন্য মেলা আয়োজক সংস্থা-রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ২৯ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণে আগ্রহী স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ তাঁদের পছন্
২ ঘণ্টা আগে