অনলাইন ডেস্ক
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতিসহ নানা আন্দোলন কর্মসূচিতে রয়েছেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ পরিস্থিতিতে প্রত্যয় স্কিম নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম কার্যকর হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যাখ্যা দিয়েছে।
‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়-এর শুভযাত্রা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের স্পষ্টীকরণ’ শিরোনামে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশনব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠান কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন।
সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনো পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুলসংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতাবহির্ভূত থাকায় সরকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ১৪ (২) ধারা অনুযায়ী দেশের সকল মানুষের জন্য পেনশন স্কিম প্রবর্তনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই ২০২৪ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সকল কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।
অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ১ জুলাই ২০২৫ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সরকারি কর্মচারীরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন।
প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে যেসব বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে সেগুলো হলো-
* ৩০ জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তাঁরা আগের মতো সকল পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
* বর্তমানে সরকারি পেনশনে আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে ফান্ডের ডিফাইন্ড কন্ট্রিবিউটরি সিস্টেমের পেনশনব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা যা কম হবে তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। এরপর উভয় অর্থ ওই কর্মকর্তা, কর্মচারীর কর্পাস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
* আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশনব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনোক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অপরদিকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশনব্যবস্থা। পাশের দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে।
* নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন এবং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
* কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সে ক্ষেত্রে তাঁর বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যাঁরা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবল তাঁরা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
* সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন। ৬৫ বছর থেকে তাঁরা আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এ ক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।
* লাম্পগ্রান্ট ও পিআরএল অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।
* কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এ ক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েক গুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কর্তন করা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১,২৪,৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তাঁর নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তাঁর মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা যা তাঁর জমার প্রায় ১২.৫ গুণ। পেনশনার পেনশনে যাওয়ার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তাঁর জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন।
* বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তাঁর অবর্তমানে পেনশনারের স্ত্রী/স্বামী এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী/স্বামী বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাওয়ার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী/স্বামী বা নমিনি আরও ১০ বছর পেনশন পাবেন।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতিসহ নানা আন্দোলন কর্মসূচিতে রয়েছেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ পরিস্থিতিতে প্রত্যয় স্কিম নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম কার্যকর হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যাখ্যা দিয়েছে।
‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়-এর শুভযাত্রা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের স্পষ্টীকরণ’ শিরোনামে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশনব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠান কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন।
সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনো পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুলসংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতাবহির্ভূত থাকায় সরকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ১৪ (২) ধারা অনুযায়ী দেশের সকল মানুষের জন্য পেনশন স্কিম প্রবর্তনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই ২০২৪ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সকল কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।
অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ১ জুলাই ২০২৫ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সরকারি কর্মচারীরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন।
প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে যেসব বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে সেগুলো হলো-
* ৩০ জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তাঁরা আগের মতো সকল পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
* বর্তমানে সরকারি পেনশনে আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে ফান্ডের ডিফাইন্ড কন্ট্রিবিউটরি সিস্টেমের পেনশনব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা যা কম হবে তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। এরপর উভয় অর্থ ওই কর্মকর্তা, কর্মচারীর কর্পাস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
* আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশনব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনোক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অপরদিকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশনব্যবস্থা। পাশের দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে।
* নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন এবং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
* কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সে ক্ষেত্রে তাঁর বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যাঁরা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবল তাঁরা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
* সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন। ৬৫ বছর থেকে তাঁরা আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এ ক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।
* লাম্পগ্রান্ট ও পিআরএল অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।
* কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এ ক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েক গুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কর্তন করা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১,২৪,৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তাঁর নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তাঁর মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা যা তাঁর জমার প্রায় ১২.৫ গুণ। পেনশনার পেনশনে যাওয়ার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তাঁর জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন।
* বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তাঁর অবর্তমানে পেনশনারের স্ত্রী/স্বামী এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী/স্বামী বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাওয়ার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী/স্বামী বা নমিনি আরও ১০ বছর পেনশন পাবেন।
আট দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড গড়ল। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ায় মূল্যমান ধাতুটির দাম বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিগত সময়ে বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বুধবার সাংবাদিক
৪ ঘণ্টা আগেযশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ ডিম। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিমের এ চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করান আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন।
৪ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ বুধবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
৭ ঘণ্টা আগে