নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও নির্দিষ্ট কর দিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদও তাঁর সম্পদ বৈধ করতে এ সুযোগ নিতে পারবেন কিনা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট–উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নই করেছিলেন সাংবাদিকেরা।
জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়টি এখন ফৌজদারি তথা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিলে তাঁর সম্পদ বৈধ হবে কিনা—সেটা এখন আইনি প্রশ্নে পরিণত হয়েছে।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেছেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার পাওয়ার কথা, বেনজীরকে সেটা দেওয়া হবে।
২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে আরও উপস্থিতি ছিলেন ১০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টা।
বাজেট প্রস্তাবে আগামী জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে এক বছরের জন্য কালোটাকা সাদা বা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অর্থের উৎস সম্পর্কে কাউকে জিজ্ঞেস করা হবে না।
এ প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক জানতে চান, বেনজীর আহমেদের মতো ব্যক্তিরা ১৫ শতাংশ কর দিলে তাঁদের আয় বা সম্পদ বৈধ হয়ে যাবে কিনা?
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘(বেনজীরের সম্পদের) বিষয়টি তো ফৌজদারি তথা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে কর দিলে সম্পদ কীভাবে বৈধ হবে—সেটা তো আইনি প্রশ্ন। তবে এত ঢালাওভাবে আমরা এটাকে দেখতে চাই না। বিভিন্ন কারণে মানুষের অপ্রদর্শিত কিছু সম্পদ থাকতে পারে। এ ধরনের অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধভাবে দেখানোর সুযোগ দিতে আমরা এমন প্রস্তাব দিয়েছি।’
আরেক সাংবাদিক জানতে চান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সরকার ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে অনেক ব্যক্তির সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাঁরা সরকারের গোয়েন্দা চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এমন পর্যায়ে গেলেন? এখন বেনজীরের মতো ব্যক্তিরা সম্পদে ১৫ শতাংশ কর দিলে তাঁদের সম্পদ বৈধ হবে কিনা।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তাঁর (বেনজীর) পাওয়ার কথা, তাঁকে সেটা দেওয়া হবে।’
বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে জানিয়ে মসিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা কাগজে নিশ্চয়ই দেখেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধান শেষে প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হতে বেনজীর আহমেদ সময় চেয়েছেন। তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে।’
মসিউর রহমান বলেন, ‘এটা বলা হয়নি যে তাঁর (বেনজীর) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না; আবার এটাও আগাম বলা হয়নি যে, তাঁকে আমরা জেলে নেব, ফাঁসি দেব। নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তাঁর পাওয়ার কথা, তাঁকে সেটা দেওয়া হবে।’
বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও শেয়ারবাজারের ৩টি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অবশ্য আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছেড়েছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে আরও স্থাবর সম্পত্তির খবর এসেছে।
বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও নির্দিষ্ট কর দিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদও তাঁর সম্পদ বৈধ করতে এ সুযোগ নিতে পারবেন কিনা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট–উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নই করেছিলেন সাংবাদিকেরা।
জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়টি এখন ফৌজদারি তথা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিলে তাঁর সম্পদ বৈধ হবে কিনা—সেটা এখন আইনি প্রশ্নে পরিণত হয়েছে।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেছেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার পাওয়ার কথা, বেনজীরকে সেটা দেওয়া হবে।
২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে আরও উপস্থিতি ছিলেন ১০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টা।
বাজেট প্রস্তাবে আগামী জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে এক বছরের জন্য কালোটাকা সাদা বা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অর্থের উৎস সম্পর্কে কাউকে জিজ্ঞেস করা হবে না।
এ প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক জানতে চান, বেনজীর আহমেদের মতো ব্যক্তিরা ১৫ শতাংশ কর দিলে তাঁদের আয় বা সম্পদ বৈধ হয়ে যাবে কিনা?
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘(বেনজীরের সম্পদের) বিষয়টি তো ফৌজদারি তথা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে কর দিলে সম্পদ কীভাবে বৈধ হবে—সেটা তো আইনি প্রশ্ন। তবে এত ঢালাওভাবে আমরা এটাকে দেখতে চাই না। বিভিন্ন কারণে মানুষের অপ্রদর্শিত কিছু সম্পদ থাকতে পারে। এ ধরনের অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধভাবে দেখানোর সুযোগ দিতে আমরা এমন প্রস্তাব দিয়েছি।’
আরেক সাংবাদিক জানতে চান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সরকার ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে অনেক ব্যক্তির সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাঁরা সরকারের গোয়েন্দা চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এমন পর্যায়ে গেলেন? এখন বেনজীরের মতো ব্যক্তিরা সম্পদে ১৫ শতাংশ কর দিলে তাঁদের সম্পদ বৈধ হবে কিনা।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তাঁর (বেনজীর) পাওয়ার কথা, তাঁকে সেটা দেওয়া হবে।’
বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে জানিয়ে মসিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা কাগজে নিশ্চয়ই দেখেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধান শেষে প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হতে বেনজীর আহমেদ সময় চেয়েছেন। তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে।’
মসিউর রহমান বলেন, ‘এটা বলা হয়নি যে তাঁর (বেনজীর) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না; আবার এটাও আগাম বলা হয়নি যে, তাঁকে আমরা জেলে নেব, ফাঁসি দেব। নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তাঁর পাওয়ার কথা, তাঁকে সেটা দেওয়া হবে।’
বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও শেয়ারবাজারের ৩টি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অবশ্য আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছেড়েছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে আরও স্থাবর সম্পত্তির খবর এসেছে।
আট দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড গড়ল। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ায় মূল্যমান ধাতুটির দাম বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিগত সময়ে বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বুধবার সাংবাদিক
২ ঘণ্টা আগেযশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ ডিম। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিমের এ চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করান আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন।
২ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ বুধবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে