জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিদেশি ঋণে আগ্রহ কমছে। এতে বিদেশি ঋণের প্রবাহ কমে আসার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। ঋণদাতা দেশগুলোর উচ্চ সুদহার এবং দেশে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিদেশি ঋণ নেওয়া থেকে সরে আসছেন অনেক ব্যবসায়ী। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের দেওয়া ঋণ নবায়ন করতেও কঠোরতা দেখাচ্ছে বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো, যার ফলে ক্রমেই কমছে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে এই ঋণ ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের অক্টোবর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে এই ঋণ কমেছে ৭০৬ মিলিয়ন ডলার বা ৭০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। জুন পর্যন্ত মোট বিদেশি ঋণের ১১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন স্বল্পমেয়াদি ও ৯ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।
ব্যাংকাররা বলছেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার সর্বনিম্নে নেমে এসেছিল। এ কারণে ব্যবসায়ীরা দেশের ব্যাংকের তুলনায় বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এখন বিশ্ববাজারে সুদের হার চড়া। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কয়েক দফায় বাড়িয়েছে। এ কারণে বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপ-আমেরিকায় বিনিয়োগে উৎসাহ দেখাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দুই বছর ধরে ডলারের তীব্র সংকট চলছে দেশে। অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে বিদেশি ঋণ ও এলসি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে চেয়েছে। অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতের স্বল্পমেয়াদি ঋণ নবায়ন করেনি। এ কারণে বেসরকারি খাতের ঋণ কমে গেছে। চলতি বছর আরও কিছু স্বল্পমেয়াদি অনেক ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ঋণ নবায়ন না করলে দেশে ডলারের সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠবে। পাশাপাশি বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়া ব্যবসায়ীদের বিপদ আরও বাড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুন পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮২ মিলিয়ন ডলার কমে বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারে। এপ্রিল-জুন সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কমলেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রায় ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ২০২২ সাল শেষে এর বকেয়া ছিল ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার, যা চলতি বছরের জুন মাস শেষে ১১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। মার্চ প্রান্তিকে এর বকেয়া ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ৮ মে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ায়, যা দেশের ইতিহাসে এক দিনে টাকার সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন। সর্বশেষ আগস্টে ডলারের দাম আরও ৩ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত দুই বছরে টাকার মান প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ, ডলারে ঋণ পরিশোধের জন্য একজন গ্রাহককে অনেক বেশি পেমেন্ট করতে হয়েছে। হয়তো তিনি যখন লোন নিয়েছিলেন, তখন ৮৫ টাকার বিনিময়ে ডলার পাওয়া যেত, অথচ পরিশোধ করতে গিয়ে দেখছেন ডলারের দাম ১১০ টাকায় উঠে গেছে বা তার চেয়েও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় বেশি দরে ঋণ শোধ করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। তা ছাড়া নতুন বিনিয়োগের পরিবেশে কিছুটা ঘাটতি ছিল। এতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিদেশি ঋণ নিতে আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন। ভবিষ্যতে ডলারের দর বাড়ার শঙ্কায় নতুন বিদেশি ঋণ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিদেশি ঋণে আগ্রহ কমছে। এতে বিদেশি ঋণের প্রবাহ কমে আসার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। ঋণদাতা দেশগুলোর উচ্চ সুদহার এবং দেশে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিদেশি ঋণ নেওয়া থেকে সরে আসছেন অনেক ব্যবসায়ী। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের দেওয়া ঋণ নবায়ন করতেও কঠোরতা দেখাচ্ছে বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো, যার ফলে ক্রমেই কমছে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে এই ঋণ ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের অক্টোবর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে এই ঋণ কমেছে ৭০৬ মিলিয়ন ডলার বা ৭০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। জুন পর্যন্ত মোট বিদেশি ঋণের ১১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন স্বল্পমেয়াদি ও ৯ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।
ব্যাংকাররা বলছেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার সর্বনিম্নে নেমে এসেছিল। এ কারণে ব্যবসায়ীরা দেশের ব্যাংকের তুলনায় বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এখন বিশ্ববাজারে সুদের হার চড়া। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কয়েক দফায় বাড়িয়েছে। এ কারণে বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপ-আমেরিকায় বিনিয়োগে উৎসাহ দেখাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দুই বছর ধরে ডলারের তীব্র সংকট চলছে দেশে। অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে বিদেশি ঋণ ও এলসি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে চেয়েছে। অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতের স্বল্পমেয়াদি ঋণ নবায়ন করেনি। এ কারণে বেসরকারি খাতের ঋণ কমে গেছে। চলতি বছর আরও কিছু স্বল্পমেয়াদি অনেক ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ঋণ নবায়ন না করলে দেশে ডলারের সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠবে। পাশাপাশি বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়া ব্যবসায়ীদের বিপদ আরও বাড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুন পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮২ মিলিয়ন ডলার কমে বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারে। এপ্রিল-জুন সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কমলেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রায় ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ২০২২ সাল শেষে এর বকেয়া ছিল ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার, যা চলতি বছরের জুন মাস শেষে ১১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। মার্চ প্রান্তিকে এর বকেয়া ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ৮ মে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ায়, যা দেশের ইতিহাসে এক দিনে টাকার সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন। সর্বশেষ আগস্টে ডলারের দাম আরও ৩ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত দুই বছরে টাকার মান প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ, ডলারে ঋণ পরিশোধের জন্য একজন গ্রাহককে অনেক বেশি পেমেন্ট করতে হয়েছে। হয়তো তিনি যখন লোন নিয়েছিলেন, তখন ৮৫ টাকার বিনিময়ে ডলার পাওয়া যেত, অথচ পরিশোধ করতে গিয়ে দেখছেন ডলারের দাম ১১০ টাকায় উঠে গেছে বা তার চেয়েও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় বেশি দরে ঋণ শোধ করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। তা ছাড়া নতুন বিনিয়োগের পরিবেশে কিছুটা ঘাটতি ছিল। এতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিদেশি ঋণ নিতে আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন। ভবিষ্যতে ডলারের দর বাড়ার শঙ্কায় নতুন বিদেশি ঋণ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
ট্যালি এমএসএমই সম্মাননা পেয়েছেন ২৫ উদ্যোক্তা। বাংলাদেশে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) ইকোসিস্টেমে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
৭ মিনিট আগেদরপতনের কারণে দেশের পুঁজিবাজার আরও বেশি বিনিয়োগযোগ্য বা উপযোগী হয়েছে উঠেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এ কারণে বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিইরেশিও) কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
১৪ মিনিট আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
১৩ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
১৩ ঘণ্টা আগে