জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ঋণখেলাপিদের ধরতে এবার কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত দিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে খেলাপির বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন পরামর্শ দিলেও এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন অতিরিক্ত পরিচালককে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঋণখেলাপিদের ধরতে ওই কমিটি বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে। সরাসরি তারা যেকোনো ব্যাংকের খেলাপিদের নজরদারি এবং পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পারবে। কমিটি কীভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণখেলাপিদের ধরবে, কখন ধরা হবে–তা নিয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো বিস্তারিত কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
খেলাপিদের ধরতে কঠোর অবস্থানের কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে খেলাপিও একটি। খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিও করা হয়েছে। তবে এবার একটু কড়াকড়ি করা হবে। গভর্নর মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে এ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন; পাশাপাশি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) একটি বিশেষ কমিটি কাজ করছে। এখনো খোলাসা করে বলার মতো কিছু নেই। তবে খেলাপিদের ধরতে কঠোর অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঋণখেলাপি নিয়ে বেশ অস্বস্তি রয়েছে সরকারের ভেতরে। কারণ, উচ্চ খেলাপি নিয়ে দেশীয় সংস্থাগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। নতুন সরকার এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করছে। সরকারের বিশেষ বার্তা পেয়ে গভর্নরও খেলাপিদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খেলাপিদের ধরতে প্রথমবারের মতো বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বিআরপিডি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গড় খেলাপির হার প্রায় ১০ শতাংশ। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এসব ব্যাংকের খেলাপি হার প্রায় ২২ শতাংশ। আবার খেলাপি ঋণের মধ্যে শীর্ষ খেলাপিদের কাছে মোট অনাদায়ি অর্থের পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। যদিও আন্তর্জাতিক মানে সহনীয় খেলাপির হার ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, উচ্চ খেলাপি ঋণে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ শতাংশই রয়েছে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের কাছে। খেলাপি ঋণে শীর্ষস্থানীয় ৫ ব্যাংকের কাছে রয়েছে মোট খেলাপির ৪৮ শতাংশ।
জাতীয় সংসদে দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ হচ্ছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। ২০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলেও মোট ঋণখেলাপির সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শাস্তি হয় না বলেই শীর্ষ খেলাপিদের মধ্যে অর্থ ফেরত না দেওয়ার প্রবণতা বেশি। তাদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা হলেও দীর্ঘসূত্রতায় অর্থ আটকা থাকে বছরের পর বছর।
আবার সরকারের পক্ষ থেকেও ঋণখেলাপিদের বারবার সুবিধা দেওয়া হয়। এসব কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে না গেলে খেলাপি ঋণ কমবে না।
ঋণখেলাপিদের ধরতে এবার কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত দিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে খেলাপির বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন পরামর্শ দিলেও এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন অতিরিক্ত পরিচালককে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঋণখেলাপিদের ধরতে ওই কমিটি বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে। সরাসরি তারা যেকোনো ব্যাংকের খেলাপিদের নজরদারি এবং পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পারবে। কমিটি কীভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণখেলাপিদের ধরবে, কখন ধরা হবে–তা নিয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো বিস্তারিত কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
খেলাপিদের ধরতে কঠোর অবস্থানের কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে খেলাপিও একটি। খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিও করা হয়েছে। তবে এবার একটু কড়াকড়ি করা হবে। গভর্নর মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে এ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন; পাশাপাশি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) একটি বিশেষ কমিটি কাজ করছে। এখনো খোলাসা করে বলার মতো কিছু নেই। তবে খেলাপিদের ধরতে কঠোর অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঋণখেলাপি নিয়ে বেশ অস্বস্তি রয়েছে সরকারের ভেতরে। কারণ, উচ্চ খেলাপি নিয়ে দেশীয় সংস্থাগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। নতুন সরকার এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করছে। সরকারের বিশেষ বার্তা পেয়ে গভর্নরও খেলাপিদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খেলাপিদের ধরতে প্রথমবারের মতো বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বিআরপিডি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গড় খেলাপির হার প্রায় ১০ শতাংশ। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এসব ব্যাংকের খেলাপি হার প্রায় ২২ শতাংশ। আবার খেলাপি ঋণের মধ্যে শীর্ষ খেলাপিদের কাছে মোট অনাদায়ি অর্থের পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। যদিও আন্তর্জাতিক মানে সহনীয় খেলাপির হার ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, উচ্চ খেলাপি ঋণে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ শতাংশই রয়েছে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের কাছে। খেলাপি ঋণে শীর্ষস্থানীয় ৫ ব্যাংকের কাছে রয়েছে মোট খেলাপির ৪৮ শতাংশ।
জাতীয় সংসদে দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ হচ্ছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। ২০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলেও মোট ঋণখেলাপির সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শাস্তি হয় না বলেই শীর্ষ খেলাপিদের মধ্যে অর্থ ফেরত না দেওয়ার প্রবণতা বেশি। তাদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা হলেও দীর্ঘসূত্রতায় অর্থ আটকা থাকে বছরের পর বছর।
আবার সরকারের পক্ষ থেকেও ঋণখেলাপিদের বারবার সুবিধা দেওয়া হয়। এসব কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে না গেলে খেলাপি ঋণ কমবে না।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৬ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৭ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে