নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবী মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। ঢাকার রমনা এলাকায় নতুন তৈরি ফ্ল্যাটে ভাড়ায় উঠেছেন। নতুন ফ্ল্যাট, তাই তিতাসের গ্যাসলাইন নেই। দেড় বছর ধরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসই (এলপিজি) ভরসা। গতকাল তিনি বলেন, ‘ গত সেপ্টেম্বরে এলপিজি কিনেছি ১ হাজার ২০০ টাকা করে। আর অক্টোবরে কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। এখন পর্যন্ত সুযোগ হয়নি সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কেনার।’
শুধু আসাদুজ্জামান আসাদই নন, এলপিজির দাম নিয়ে যাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁরাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ নিয়ে। গোড়ানের বাসিন্দা আলামিন হোসেন বলেন, ‘ছোট ব্যবসা করে জীবন চালাই।
সরকার এলপিজির দাম ঠিক করে দেয়। সরকার যখন প্রথম এলপিজির দাম ঠিক করে দেয়, তখন মনে হয়েছিল, এবার বাজেটের মধ্যে কিনতে পারব। সেটা শুধু মনেই ছিল, আসলে আর কিছুই হয়নি।
শুরুতে মনে হয়েছিল, প্রথম যেহেতু দাম বাঁধা শুরু হয়েছে, তাই কয়েক মাসের মধ্যে সরকার কিছু একটা করবে—বেঁধে দেওয়া দামে যাতে আমরা কিনতে পারি। সেটা আর হয়নি। এখন দাম নিয়ে সরকারের কাছে আর কিছুই আশা করি না। আমার থেকে নেওয়া বাড়তি দাম সরকারি লোকজনের পেটেই তো যায়।’
আলামিনের মতো অনেকেই ভাবছেন, বলে কোনো লাভ নেই। এভাবে চলবে। চলমান এ ব্যবস্থার মধ্যেই বেঁচে থাকার কৌশল নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।
টানা সাত মাস দেশের বাজারে মাসপ্রতি এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আর গত চার মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম বেড়েই চলেছে। তবে গত সাত মাসে বিইআরসির বেঁধে দেওয়া দাম যেন ছিল আকাশের চাঁদ। এমন গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যায়নি, যিনি বিইআরসির বেঁধে দেওয়া দামে এলপিজি কিনতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি আরমকো কোম্পানির ঘোষণা করা প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ম. তামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম বাড়ছে। জ্বালানি গ্যাস উৎপাদনে এই তিনটি উপাদান জড়িত। এই তিনটি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ায় দেশে এলপিজির দাম বাড়ছে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত জুলাই থেকে বাড়ছে পণ্যটির দাম। বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দাসহ নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে। এরপর এলপিজির দাম বাড়ানোয় মানুষের ব্যয় আরও বাড়বে। এতে ভোগান্তি শুধু গ্রাহকের। ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক লাভ হিসাব করে প্রতি মাসে দাম বেঁধে দেয় বিইআরসি। তবে সেই দামে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেওয়া হলেও তার থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হয় এলপিজি। আর এটি তদারকির যেন কেউ নেই। বিইআরসি বরাবরই দাবি করে আসছে, বাজার তদারকির প্রয়োজনীয় লোকবল নেই প্রতিষ্ঠানটির। ফলে জিম্মি ও ভোগান্তি সব ভোক্তারই।
গতকাল রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৮৬ টাকা ০৭ পয়সা। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডারের গ্রাহককে দিতে হবে ১ হাজার ২৫৯ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১ হাজার ৩৩ টাকা। তবে উৎপাদন খরচ না বাড়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ৫৯১ টাকাই থাকছে। আর গাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজির দাম লিটারপ্রতি ৫০ দশমিক ৫৬ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ দশমিক ৬৮ টাকা করা হয়েছে। গতকাল থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এলপিজির দাম নির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, সে দামে ব্যবসায়ীরা এলপিজি বিক্রি করছেন না। বর্তমানে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করা না-করায় কিছু আসে-যায় না। এসব দাম ব্যবসায়ীরা মানছেন না। ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেই দেশে বাড়ানো হবে—এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবী মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। ঢাকার রমনা এলাকায় নতুন তৈরি ফ্ল্যাটে ভাড়ায় উঠেছেন। নতুন ফ্ল্যাট, তাই তিতাসের গ্যাসলাইন নেই। দেড় বছর ধরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসই (এলপিজি) ভরসা। গতকাল তিনি বলেন, ‘ গত সেপ্টেম্বরে এলপিজি কিনেছি ১ হাজার ২০০ টাকা করে। আর অক্টোবরে কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। এখন পর্যন্ত সুযোগ হয়নি সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কেনার।’
শুধু আসাদুজ্জামান আসাদই নন, এলপিজির দাম নিয়ে যাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁরাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ নিয়ে। গোড়ানের বাসিন্দা আলামিন হোসেন বলেন, ‘ছোট ব্যবসা করে জীবন চালাই।
সরকার এলপিজির দাম ঠিক করে দেয়। সরকার যখন প্রথম এলপিজির দাম ঠিক করে দেয়, তখন মনে হয়েছিল, এবার বাজেটের মধ্যে কিনতে পারব। সেটা শুধু মনেই ছিল, আসলে আর কিছুই হয়নি।
শুরুতে মনে হয়েছিল, প্রথম যেহেতু দাম বাঁধা শুরু হয়েছে, তাই কয়েক মাসের মধ্যে সরকার কিছু একটা করবে—বেঁধে দেওয়া দামে যাতে আমরা কিনতে পারি। সেটা আর হয়নি। এখন দাম নিয়ে সরকারের কাছে আর কিছুই আশা করি না। আমার থেকে নেওয়া বাড়তি দাম সরকারি লোকজনের পেটেই তো যায়।’
আলামিনের মতো অনেকেই ভাবছেন, বলে কোনো লাভ নেই। এভাবে চলবে। চলমান এ ব্যবস্থার মধ্যেই বেঁচে থাকার কৌশল নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।
টানা সাত মাস দেশের বাজারে মাসপ্রতি এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আর গত চার মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম বেড়েই চলেছে। তবে গত সাত মাসে বিইআরসির বেঁধে দেওয়া দাম যেন ছিল আকাশের চাঁদ। এমন গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যায়নি, যিনি বিইআরসির বেঁধে দেওয়া দামে এলপিজি কিনতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি আরমকো কোম্পানির ঘোষণা করা প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ম. তামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম বাড়ছে। জ্বালানি গ্যাস উৎপাদনে এই তিনটি উপাদান জড়িত। এই তিনটি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ায় দেশে এলপিজির দাম বাড়ছে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত জুলাই থেকে বাড়ছে পণ্যটির দাম। বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দাসহ নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে। এরপর এলপিজির দাম বাড়ানোয় মানুষের ব্যয় আরও বাড়বে। এতে ভোগান্তি শুধু গ্রাহকের। ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক লাভ হিসাব করে প্রতি মাসে দাম বেঁধে দেয় বিইআরসি। তবে সেই দামে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেওয়া হলেও তার থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হয় এলপিজি। আর এটি তদারকির যেন কেউ নেই। বিইআরসি বরাবরই দাবি করে আসছে, বাজার তদারকির প্রয়োজনীয় লোকবল নেই প্রতিষ্ঠানটির। ফলে জিম্মি ও ভোগান্তি সব ভোক্তারই।
গতকাল রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৮৬ টাকা ০৭ পয়সা। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডারের গ্রাহককে দিতে হবে ১ হাজার ২৫৯ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১ হাজার ৩৩ টাকা। তবে উৎপাদন খরচ না বাড়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ৫৯১ টাকাই থাকছে। আর গাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজির দাম লিটারপ্রতি ৫০ দশমিক ৫৬ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ দশমিক ৬৮ টাকা করা হয়েছে। গতকাল থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এলপিজির দাম নির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, সে দামে ব্যবসায়ীরা এলপিজি বিক্রি করছেন না। বর্তমানে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করা না-করায় কিছু আসে-যায় না। এসব দাম ব্যবসায়ীরা মানছেন না। ব্যবসায়ীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেই দেশে বাড়ানো হবে—এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি (বিল্ড ইওর ড্রিম) ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেছে। এর পাশাপাশি চীনের শেনঝেন-শানওয়েই স্পেশাল কো-অপারেশন জোনের শিয়াওমো প্রোডাকশন
২৫ মিনিট আগেহাড়ের ক্যানসারের বিষয়ে যথাযথ চিকিৎসা ও সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেডের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল
৩৫ মিনিট আগেন্যাশনাল ব্যাংকের চলতি ও আগামী বছরের কর্মপন্থা নিয়ে কৌশলগত পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার ঢাকার নিউ ইস্কাটনে ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এই সভার আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি, যা ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, পুনরায় পর্যালোচনা করতে সহায়তার জন্য একটি খ্যাতিমান আইনি এবং তদন্ত সং
৫ ঘণ্টা আগে