গোলাম ওয়াদুদ
করোনা মহামারির আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা একদম ওলটপালট করে দিয়েছে। দুই বছর আগের চিন্তাপদ্ধতি এখন আর কার্যকর নয়। এত কিছু বদলে গেছে যে, আগের চিন্তাকে অনেক সময় অস্বাভাবিক মনে হয়। মহামারির এই সময়ে মানুষ নিজেকে অনেক গুটিয়ে নিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানই এই অর্থনৈতিক মন্দার শিকার। বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বড় বিপাকে। এই সময়ে তারা কীভাবে কী করবে, তা বুঝে উঠতে পারছে না।
করোনা মহামারিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোই করণীয় নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। বৈশ্বিক এই সংকটে এত দিনের পরীক্ষিত পন্থাগুলোও যেন সব খেলো হয়ে গেছে। ফলে মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো চোখে সরষে ফুল দেখাটাই স্বাভাবিক। হচ্ছেও তাই। এই বিপদের সময় অনেক সময়ই দেখা যায় প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিনির্ধারকেরা একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কোনটাতে ভালো হবে, কোন সিদ্ধান্ত সুফল বয়ে আনবে, সে বিষয়ে তারা হয়তো ভালো করে ভাবারও সুযোগ পাচ্ছেন না।
অনেক সময়ই দেখা যায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের টিকিয়ে রাখতে গিয়ে রক্ষণাত্মক কৌশল নিচ্ছে। কিন্তু এই কৌশল কি কার্যকর? হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের গবেষণা বলছে—‘না’। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মন্দার সময় রক্ষণশীলের চেয়ে আক্রমণাত্মক কৌশলই বেশি কাজে দেয়।
অনেকটা ফুটবল মাঠের মতো ব্যাপার আরকি। সেই আপ্তবাক্য—‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’। হ্যাঁ, অর্থনৈতিক মন্দার সময় মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই পুরোনো ও পরীক্ষিত কৌশলই বেশি কাজে দেয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে ১৯৮০-৮২,১৯৯১-৯২ ও ২০০০-এর দশকের অর্থনৈতিক মন্দার কথা উল্লেখ করা হয়। এই সময়গুলোতে প্রতিরক্ষার চেয়ে আক্রমণাত্মক কৌশলই সেরা ছিল।
মন্দার সময় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করে। কিন্তু ভবিষ্যৎ বাজারের কথা ভেবে খুব কম প্রতিষ্ঠানই বিনিয়োগের পথে হাঁটে। বিগত মন্দার সময়গুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, যেসব প্রতিষ্ঠান এই ব্যয় সংকোচন ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনার মধ্যে সমন্বয় করতে পেরেছে, তারাই ভালো করেছে। মন্দার পর এসব প্রতিষ্ঠানকেই এগিয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এই কৌশল অনুসরণ করা খুব একটা সহজ নয়, বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।
এই করোনাকালে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তার সঙ্গে ২০০৭-০৯ সময়ের মন্দার একটি সাদৃশ্য রয়েছে। কারণ, এই দুই সময়েই একই ধরনের খাতই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। উভয় সময়েই উড়োজাহাজ ও জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল ও ট্রাক, খাবার ও রেস্তোরাঁ, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, খনি, ধাতু নির্মাণ, পরিবহন ও ইস্পাত শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭-০৯ সময়ের সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মন্দা চলাকালে যারা বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, কর্মক্ষমতার পরিবর্তন এনেছে, তারাই ভালো করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মন্দার সময় যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, তারাই ভালো করেছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়—
১) মূলধন ব্যয়—যেমন, জমি, ভবন, যন্ত্র, গুদাম, সরঞ্জাম ও অবকাঠামো
২) অর্থনৈতিক দক্ষতা—যেমন, উদ্ভাবন, পেটেন্ট, ব্র্যান্ড, কৌশল, সহকর্মী ও সরবরাহকারী নেটওয়ার্ক, গ্রাহক অধিগ্রহণ, সম্পর্ক ও প্রশিক্ষণ
৩) প্রতিভা—কোম্পানির কর্মীদের প্রতিভা পরিমাপ
তবে মন্দার সময় কর্মীদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী খাতে যারা বিনিয়োগ করে, তারাই সাফল্য পায়। কারণ, মন্দার সময় যখন কোনো প্রতিষ্ঠান নতুন করে বিনিয়োগ করে, তখন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির ওপর আস্থা বাড়ে। একই সঙ্গে ইকুইটি, রাজস্ব আয় ও কোম্পানির শেয়ারদরে উন্নতি হয়। আর যারা বিনিয়োগ কমিয়েছিল, তাদের সবার ক্ষেত্রেই এই তিন মানদণ্ডে অবনমন হয়েছে।
স্পষ্টত, আক্রমণাত্মক নীতি প্রতিরক্ষা নীতির চেয়ে অনেক ভালো। এর কারণ কি হতে পারে? কারণ, রক্ষণশীল হয়ে কত দিন প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা যাবে? মন্দা তো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান টেকাতে রক্ষণশীল নীতি বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কাই প্রবল। বরং আক্রমণাত্মক হয়ে প্রতিষ্ঠান টেকানোর চেষ্টা করাটা ভালো। এটা সবাই জানে যে, দুঃসময়ই সৃজনশীলতা প্রদর্শনের সবচেয়ে ভালো সময়। এই সময়টিকে যারা কাজে লাগায়, তারাই এগিয়ে যায়। অর্থনৈতিক মন্দা অনেক সমীকরণ ওলটপালট করে দেয়। ফলে এই মন্দা শেষে বাজারে নতুন বিজয়ী হাজির হওয়াটা প্রায় নিয়মের মতো। সবাই যখন অস্তিত্ব টেকাতে তৎপর থাকে, তখন যারা বিজয়ী হতে এগিয়ে যায়, সেই সাফল্য পায়।
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিকূলতা স্বত্বেও এই সময়ে একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) মন্দাকে সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিন্তু এমন চৌকস সিইও বেশ ভালোসংখ্যকই রয়েছেন। করোনার এই সময়ে সার্বিক অর্থনীতি চরম সংকটে থাকলেও কিছু প্রতিষ্ঠান কিন্তু ভালো করছে। এমনকি নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্মও হচ্ছে। বহু রেস্তোরাঁ বা খাবার দোকানকে এই সময়ে দেখা গেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিতে। নতুন নতুন কৌশল বেছে নিয়ে নিজেদের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করছে তারা। এই প্রতিষ্ঠানগুলোই কিন্তু হতে পারে শুধু মাঝারি নয়, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য পথপ্রদর্শক।
করোনা মহামারির আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা একদম ওলটপালট করে দিয়েছে। দুই বছর আগের চিন্তাপদ্ধতি এখন আর কার্যকর নয়। এত কিছু বদলে গেছে যে, আগের চিন্তাকে অনেক সময় অস্বাভাবিক মনে হয়। মহামারির এই সময়ে মানুষ নিজেকে অনেক গুটিয়ে নিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানই এই অর্থনৈতিক মন্দার শিকার। বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বড় বিপাকে। এই সময়ে তারা কীভাবে কী করবে, তা বুঝে উঠতে পারছে না।
করোনা মহামারিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোই করণীয় নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। বৈশ্বিক এই সংকটে এত দিনের পরীক্ষিত পন্থাগুলোও যেন সব খেলো হয়ে গেছে। ফলে মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো চোখে সরষে ফুল দেখাটাই স্বাভাবিক। হচ্ছেও তাই। এই বিপদের সময় অনেক সময়ই দেখা যায় প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিনির্ধারকেরা একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কোনটাতে ভালো হবে, কোন সিদ্ধান্ত সুফল বয়ে আনবে, সে বিষয়ে তারা হয়তো ভালো করে ভাবারও সুযোগ পাচ্ছেন না।
অনেক সময়ই দেখা যায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের টিকিয়ে রাখতে গিয়ে রক্ষণাত্মক কৌশল নিচ্ছে। কিন্তু এই কৌশল কি কার্যকর? হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের গবেষণা বলছে—‘না’। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মন্দার সময় রক্ষণশীলের চেয়ে আক্রমণাত্মক কৌশলই বেশি কাজে দেয়।
অনেকটা ফুটবল মাঠের মতো ব্যাপার আরকি। সেই আপ্তবাক্য—‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’। হ্যাঁ, অর্থনৈতিক মন্দার সময় মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই পুরোনো ও পরীক্ষিত কৌশলই বেশি কাজে দেয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে ১৯৮০-৮২,১৯৯১-৯২ ও ২০০০-এর দশকের অর্থনৈতিক মন্দার কথা উল্লেখ করা হয়। এই সময়গুলোতে প্রতিরক্ষার চেয়ে আক্রমণাত্মক কৌশলই সেরা ছিল।
মন্দার সময় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করে। কিন্তু ভবিষ্যৎ বাজারের কথা ভেবে খুব কম প্রতিষ্ঠানই বিনিয়োগের পথে হাঁটে। বিগত মন্দার সময়গুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, যেসব প্রতিষ্ঠান এই ব্যয় সংকোচন ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনার মধ্যে সমন্বয় করতে পেরেছে, তারাই ভালো করেছে। মন্দার পর এসব প্রতিষ্ঠানকেই এগিয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এই কৌশল অনুসরণ করা খুব একটা সহজ নয়, বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।
এই করোনাকালে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তার সঙ্গে ২০০৭-০৯ সময়ের মন্দার একটি সাদৃশ্য রয়েছে। কারণ, এই দুই সময়েই একই ধরনের খাতই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। উভয় সময়েই উড়োজাহাজ ও জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল ও ট্রাক, খাবার ও রেস্তোরাঁ, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, খনি, ধাতু নির্মাণ, পরিবহন ও ইস্পাত শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭-০৯ সময়ের সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মন্দা চলাকালে যারা বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, কর্মক্ষমতার পরিবর্তন এনেছে, তারাই ভালো করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মন্দার সময় যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, তারাই ভালো করেছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়—
১) মূলধন ব্যয়—যেমন, জমি, ভবন, যন্ত্র, গুদাম, সরঞ্জাম ও অবকাঠামো
২) অর্থনৈতিক দক্ষতা—যেমন, উদ্ভাবন, পেটেন্ট, ব্র্যান্ড, কৌশল, সহকর্মী ও সরবরাহকারী নেটওয়ার্ক, গ্রাহক অধিগ্রহণ, সম্পর্ক ও প্রশিক্ষণ
৩) প্রতিভা—কোম্পানির কর্মীদের প্রতিভা পরিমাপ
তবে মন্দার সময় কর্মীদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী খাতে যারা বিনিয়োগ করে, তারাই সাফল্য পায়। কারণ, মন্দার সময় যখন কোনো প্রতিষ্ঠান নতুন করে বিনিয়োগ করে, তখন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির ওপর আস্থা বাড়ে। একই সঙ্গে ইকুইটি, রাজস্ব আয় ও কোম্পানির শেয়ারদরে উন্নতি হয়। আর যারা বিনিয়োগ কমিয়েছিল, তাদের সবার ক্ষেত্রেই এই তিন মানদণ্ডে অবনমন হয়েছে।
স্পষ্টত, আক্রমণাত্মক নীতি প্রতিরক্ষা নীতির চেয়ে অনেক ভালো। এর কারণ কি হতে পারে? কারণ, রক্ষণশীল হয়ে কত দিন প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা যাবে? মন্দা তো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান টেকাতে রক্ষণশীল নীতি বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কাই প্রবল। বরং আক্রমণাত্মক হয়ে প্রতিষ্ঠান টেকানোর চেষ্টা করাটা ভালো। এটা সবাই জানে যে, দুঃসময়ই সৃজনশীলতা প্রদর্শনের সবচেয়ে ভালো সময়। এই সময়টিকে যারা কাজে লাগায়, তারাই এগিয়ে যায়। অর্থনৈতিক মন্দা অনেক সমীকরণ ওলটপালট করে দেয়। ফলে এই মন্দা শেষে বাজারে নতুন বিজয়ী হাজির হওয়াটা প্রায় নিয়মের মতো। সবাই যখন অস্তিত্ব টেকাতে তৎপর থাকে, তখন যারা বিজয়ী হতে এগিয়ে যায়, সেই সাফল্য পায়।
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিকূলতা স্বত্বেও এই সময়ে একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) মন্দাকে সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিন্তু এমন চৌকস সিইও বেশ ভালোসংখ্যকই রয়েছেন। করোনার এই সময়ে সার্বিক অর্থনীতি চরম সংকটে থাকলেও কিছু প্রতিষ্ঠান কিন্তু ভালো করছে। এমনকি নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্মও হচ্ছে। বহু রেস্তোরাঁ বা খাবার দোকানকে এই সময়ে দেখা গেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিতে। নতুন নতুন কৌশল বেছে নিয়ে নিজেদের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করছে তারা। এই প্রতিষ্ঠানগুলোই কিন্তু হতে পারে শুধু মাঝারি নয়, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য পথপ্রদর্শক।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১০ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১১ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে