সাধারণ কসমেটিকস বিএসটিআইয়ের অধীনে রাখার দাবি উদ্যোক্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ০০: ২৬
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১০: ৩৭

ওষুধ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণেই চলে যেতে পারে কসমেটিকস। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে ওষুধ ও কসমেটিকস আইনটি সংসদে উঠছে বলে জানা গেছে। তবে সাধারণ কসমেটিকস বিএসটিআইয়ের অধীনে রাখার দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই আইন পাস হলে কসমেটিকসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারের দুই সংস্থার মধ্যে বিরোধ দেখা দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ওষুধ ও কসমেটিকস আইন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত ১৩ জুন সভা করে। সভায় ডা. এ এফ এম রুহুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। উপকমিটি বিএসটিআই ও কসমেটিকস উৎপাদনকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ডাকে। সভায় সাধারণ কসমেটিকসকে বিএসটিআই এবং মেডিকেটেড কসমেটিকসকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণের রাখার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু উপকমিটির প্রতিবেদনের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।

বিএসটিআইয় জানায়, গত সোমবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে শিল্পসচিব, আইনসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবকে ডাকা হয়। শিল্পসচিব প্রকৌশলী ফয়জুল আমীন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক সভায় উপস্থিত হন। তাঁরাও সাধারণ কসমেটিকসকে বিএসটিআই এবং মেডিকেটেড কসমেটিকসকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের বক্তব্যে কোনো কর্ণপাত না করে আইনটি পাশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে কসমেটিকস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, থেরাপিউটিক কসমেটিকস ওষুধ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে। তবে সাধারণ কসমেটিক বিএসটিআইয়ের কাছে থাকলে সুবিধা হবে। ১৯৮৮ সাল থেকে বিএসটিআই কসমেটিকসের মান নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

জানতে চাইলে মৌসুমী কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক কাজী মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, সব কসমেটিকস ওষুধ প্রশাসনের কাছে চলে গেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাবে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ ওষুধ প্রশাসনের কাছে গেলেও কসমেটিকসের গুণগত কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে তিনি মনে করছেন।

এদিকে আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪-এ বলা আছে, আমদানি করা ১৭টি কসমেটিকস ছাড় করাতে হলে বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র ছাড়া আমদানি করা কসমেটিকস ছাড় করানো যাবে না।

জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, ওষুধ আইনের সঙ্গে কসমেটিকস শব্দটি চতুরতার সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসটিআই কিংবা উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনাই করা হয়নি। সম্পূর্ণ একতরফাভাবে আইনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ওষুধ ও প্রসাধনী আইনের ৩১-৩৫ ধারায় কসমেটিকস উৎপাদন, বিতরণ, আমদানি বা রপ্তানির জন্য এবং এই কাজে নিয়োজিত কারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা দোকানমালিককে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছ থেকে নিবন্ধন ও লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অথচ এ বিষয়গুলো অনুসরণ করে বিএসটিআই আইন, ২০১৮-এর অধীনে প্রসাধনীসংক্রান্ত সব লাইসেন্স দিয়ে আসছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)। একই বিষয় অন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে নিলে তা আরেকটি স্তর তৈরি করবে এবং ব্যবসায়ের খরচ ও জটিলতা বাড়াবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত