নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দায়িত্ব নিয়েই ব্যাংক খাত সংস্কারে হাত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সেই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু ব্যাংকের পর্ষদও তিনি পুনর্গঠন করে দেন। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আসে নতুন পর্ষদ।
স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা এবং নিজেদের অবস্থান জানাতে গতকাল ব্যাংক দুটির নবগঠিত পর্ষদ প্রতিনিধিরা গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকের কর্মকাণ্ড বিষয়ে গভর্নর তাঁদের কাছে জানতে চাইলে পর্ষদ প্রতিনিধিরা কিছু শঙ্কার কথা বলেন। ইঙ্গিত দেন কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অসহযোগিতার। প্রত্যুত্তরে আহসান এইচ মনসুর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নতুন বোর্ডের কার্যক্রমে কেউ অসহযোগিতা করলে সেখানে যদি ব্যবস্থাপনা পরিচালকও (এমডি) থাকেন কিংবা অসহযোগিতাকারী সব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গতকাল এই অভ্যন্তরীণ বৈঠকে ইউসিবির কর্মকর্তাদের পক্ষে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর জানান, অন্তর্বর্তী সরকার কম সময়ের জন্য। এখন যদি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়, তখন বাধা এলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের সহযোগিতা থাকবে কি না? যদি সহযোগিতা চলমান থাকে, তবে সামনে কঠোর হস্তে সব অনিয়ম দূর করতে বোর্ড আপসহীন থাকবে; বিশেষ করে যাঁরা ঋণের নামে অর্থ লুট করেছেন, তাঁদের বন্ধকি অর্থ ছাড়াও অন্যান্য সম্পদ জব্দ করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ব্যাংকটির মালিক এবং উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মাত্র ৩-৪ দিনেই অন্তত ৪৪০ কোটি ডলার পাচার হয়। এসব উদ্ধারে উদ্যোগ জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর উদ্যোগ নিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা সংশোধন করে শতভাগ আইনি সহযোগিতা লাগবে। তখন গভর্নর এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পর্ষদ প্রতিনিধিরা বলেন, ব্যাংকে অনেক অনিয়ম হয়েছে। বিশাল খেলাপি গোপন করা হয়েছে। খেলাপি ৪-৫ শতাংশ দেখানো হলেও প্রকৃত খেলাপি কয়েক গুণ বেশি হতে পারে। বেশি খেলাপি দেখালে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রচুর প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এতে ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দেবে। তবে হিসাব গোপন করলে ব্যাংকের প্রকৃত স্বাস্থ্য বা চিত্র জানা যাবে না। তখন গভর্নর প্রকৃত হিসাব মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে নতুন করে অডিট করার বিষয়েও নির্দেশনা দেন তিনি। এমনকি খেলাপি, বন্ধকি সম্পদসহ সব হিসাব ঠিক করে প্রকৃত ব্যালান্স শিট তৈরির নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় খেলাপির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড়ের ইঙ্গিতও দেন গভর্নর।
ব্যাংকের পর্ষদ প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পরিচালক মো. তানভীর খান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. ইউসুফ আলী ও হিসাববিদ ওবায়দুর রহমান এবং ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
জানা গেছে, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পর্ষদ গত ২৭ আগস্ট ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় বাংক। এর আগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বোন রোকসানা জামান চৌধুরীকে। তাঁর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী রুকমিলা জামান।
অপর একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার ব্যাংকটির ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা গভর্নরের কাছে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি খেলাপি ঋণ আদায় এবং বন্ধকি সম্পদের হিসাবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। খেলাপি আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিসহায়তা চান। তখন গভর্নর সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন গ্যারান্টি, কমিশন এবং রপ্তানি আয়ের ভর্তুকির অর্থ চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অর্থ দ্রুত ফেরত পেলে ব্যাংক পরিচালনা সহজ হবে। আর ঘুরে দাঁড়াতে স্থায়ী আইন এবং নীতিসহায়তা চায় প্রতিনিধিদল।
দায়িত্ব নিয়েই ব্যাংক খাত সংস্কারে হাত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সেই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু ব্যাংকের পর্ষদও তিনি পুনর্গঠন করে দেন। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আসে নতুন পর্ষদ।
স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা এবং নিজেদের অবস্থান জানাতে গতকাল ব্যাংক দুটির নবগঠিত পর্ষদ প্রতিনিধিরা গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকের কর্মকাণ্ড বিষয়ে গভর্নর তাঁদের কাছে জানতে চাইলে পর্ষদ প্রতিনিধিরা কিছু শঙ্কার কথা বলেন। ইঙ্গিত দেন কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অসহযোগিতার। প্রত্যুত্তরে আহসান এইচ মনসুর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নতুন বোর্ডের কার্যক্রমে কেউ অসহযোগিতা করলে সেখানে যদি ব্যবস্থাপনা পরিচালকও (এমডি) থাকেন কিংবা অসহযোগিতাকারী সব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গতকাল এই অভ্যন্তরীণ বৈঠকে ইউসিবির কর্মকর্তাদের পক্ষে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর জানান, অন্তর্বর্তী সরকার কম সময়ের জন্য। এখন যদি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়, তখন বাধা এলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের সহযোগিতা থাকবে কি না? যদি সহযোগিতা চলমান থাকে, তবে সামনে কঠোর হস্তে সব অনিয়ম দূর করতে বোর্ড আপসহীন থাকবে; বিশেষ করে যাঁরা ঋণের নামে অর্থ লুট করেছেন, তাঁদের বন্ধকি অর্থ ছাড়াও অন্যান্য সম্পদ জব্দ করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ব্যাংকটির মালিক এবং উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মাত্র ৩-৪ দিনেই অন্তত ৪৪০ কোটি ডলার পাচার হয়। এসব উদ্ধারে উদ্যোগ জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর উদ্যোগ নিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা সংশোধন করে শতভাগ আইনি সহযোগিতা লাগবে। তখন গভর্নর এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পর্ষদ প্রতিনিধিরা বলেন, ব্যাংকে অনেক অনিয়ম হয়েছে। বিশাল খেলাপি গোপন করা হয়েছে। খেলাপি ৪-৫ শতাংশ দেখানো হলেও প্রকৃত খেলাপি কয়েক গুণ বেশি হতে পারে। বেশি খেলাপি দেখালে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রচুর প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এতে ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দেবে। তবে হিসাব গোপন করলে ব্যাংকের প্রকৃত স্বাস্থ্য বা চিত্র জানা যাবে না। তখন গভর্নর প্রকৃত হিসাব মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে নতুন করে অডিট করার বিষয়েও নির্দেশনা দেন তিনি। এমনকি খেলাপি, বন্ধকি সম্পদসহ সব হিসাব ঠিক করে প্রকৃত ব্যালান্স শিট তৈরির নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় খেলাপির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড়ের ইঙ্গিতও দেন গভর্নর।
ব্যাংকের পর্ষদ প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পরিচালক মো. তানভীর খান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. ইউসুফ আলী ও হিসাববিদ ওবায়দুর রহমান এবং ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
জানা গেছে, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পর্ষদ গত ২৭ আগস্ট ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় বাংক। এর আগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বোন রোকসানা জামান চৌধুরীকে। তাঁর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী রুকমিলা জামান।
অপর একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার ব্যাংকটির ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা গভর্নরের কাছে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি খেলাপি ঋণ আদায় এবং বন্ধকি সম্পদের হিসাবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। খেলাপি আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিসহায়তা চান। তখন গভর্নর সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন গ্যারান্টি, কমিশন এবং রপ্তানি আয়ের ভর্তুকির অর্থ চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অর্থ দ্রুত ফেরত পেলে ব্যাংক পরিচালনা সহজ হবে। আর ঘুরে দাঁড়াতে স্থায়ী আইন এবং নীতিসহায়তা চায় প্রতিনিধিদল।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দুই ডেপুটি গভর্নর (ডিজি) নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানকে আজ রোববারের মধ্যে পদত্যাগের দাবিতে দুপুর আড়াইটায় সর্বদলীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির সঙ্গে টোটালএনার্জির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আদানি এখন ঘুষ কেলেঙ্কারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত। এতে টোটালএনার্জির সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হাজির হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেগত ১৫ বছরে দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ৮ বিমানবন্দর ঘিরে নেওয়া হয় ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প। যাত্রীধারণ সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেবার মানোন্নয়নে নেওয়া এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা ছিল প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। তবে নকশায় ভুল, সংযোজন-বিয়োজনসহ নানা কারণে কাজ শুধু পিছিয়েই গেছে। এতে দফায় দফায় বেড়েছে ব্যয়।
৯ ঘণ্টা আগেস্কয়ার হাসপাতাল ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ (১৮-২৪ নভেম্বর) ’ উপলক্ষে একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করেছে। গত ২০ নভেম্বর এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে