চড়া মূল্যের বাজারে বেনাপোলে নষ্ট হচ্ছে ১২৫০ টন চিনি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮: ৫৮
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৩৭

দেশে চিনির বাজারে চলমান সরবরাহ সংকটের কথা কারও অজানা নয়। গত বছরের এই সময়ে চিনির প্রতি কেজি ৭৫ টাকায়ও পাওয়া যেত। বছরের মাঝামাঝিতে চিনির বাজার অস্থির হতে থাকে। দাম বেড়ে এখন ১২০ টাকা হলেও কোথাও কোথাও কখনো কখনো চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। 

এমন পরিস্থিতিতেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগহীনতার কারণে ১ হাজার ২৫০ টন চিনি দেড় মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকে আছে। চিনি খালাস না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় ট্রাকচালকেরা। 

বেনাপোল শুল্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সেতু এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ৬টি চালানে ৮৪ ট্রাকে ২ হাজার ৫০০ টন চিনি আমদানি করে। প্রতি টন ৪৩০ ডলার মূল্যে নির্ধারিত ট্যারিফ পরিশোধ করে বন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ টন চিনি খালাস করা হয়। 

এরপর আমদানিকারক কম মূল্য দেখিয়ে চিনি আমদানি করে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে বলে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করে। তখন শুল্ক কর্তৃপক্ষ ৪২ ট্রাকে থাকা পরের ৩টি চালানের ১ হাজার ২৫০ টন চিনি খালাসে বাধা দিয়ে ট্যারিফ বাড়িয়ে প্রতি টন ৫৭০ ডলার ধরে। কিন্তু লোকসান হওয়ার হওয়ার কথা তুলে ধরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্য ছাড় করাচ্ছে না। 

আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভারত থেকে প্রতি টন চিনি ৪৩০ ডলার মূল্যে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানিতে খরচ পড়েছে ১০১ টাকা। কিন্তু ৫৭০ ডলার শুল্ক পরিশোধ করলে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত এ চিনির আমদানি খরচ পড়বে ১২০ টাকা। তখন বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে তাঁকে চিনি বিক্রি করতে হবে। 

‘এ জন্য চিনি খালাস নিতে পারছি না। কিন্তু প্রতিদিন ট্রাক ভাড়া বাবদ প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ গুনতে হচ্ছে। এতে গরমে ট্রাকে থাকা চিনি নষ্ট হওয়ার পথে।’ 

প্রতিবছর দেশে চিনির যে চাহিদা রয়েছে তার মাত্র ১০ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বাকি ৯০ শতাংশের চাহিদা আমদানি করে মেটাতে হয়। রোজা সামনে রেখে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে চিনি 

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিনির তিনটি চালান বৈধ পন্থায় বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। তবে যেহেতু আমদানি মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে একটি চিঠি এসেছে। বিষয়টি কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। 

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, কাস্টমস শুল্কায়ন শেষ করলে চিনি ছাড় হবে বন্দর থেকে। এখনো ১ হাজার ২৫০ টন চিনি বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত