রেজাউর রহিম

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। অনেক দর-কষাকষির পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যসুবিধা (জিএসপি) ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এরপর ইইউভুক্ত দেশগুলো ও যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের ‘জিএসপি প্লাস’ নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এখনো দৃশ্যমান নয়। ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে সমন্বিত কোনো পরিকল্পনার কথাও জানা যাচ্ছে না।
স্বল্প ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ২০১৫ সালে ‘স্পেশাল ইনসেনটিভ অ্যারেঞ্জমেন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য-সুবিধা চালু করে ইইউ। এটিই জিএসপি প্লাস হিসেবে পরিচিত। এটির আওতায় ইউরোপের বাজারে ট্যারিফ লাইনের ৬৬ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে মাত্র আটটি দেশ এই সুবিধা পায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই সুবিধা পাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্য। এসব বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে ২৭টি মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালা মানতে হবে। এসব নীতিমালার মধ্যে ১৫টি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শ্রমমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ছাড়া শ্রম আইন ও মানবাধিকার, সুশাসনের মতো কিছু জটিল বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। যার সঙ্গে আবার আছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইইউভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। ইইউতে বাংলাদেশ ‘এভরিথিং বাট নট আর্মস’ (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। কিন্তু ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও আশঙ্কা রয়েছে।
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে একটি হলো অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। অর্থাৎ দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৯৫ শতাংশ। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এই একটি সূচকেই ইতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সুতা ও স্থানীয় উৎস থেকে প্রস্তুত বস্ত্র, বোতাম, জিপারের মতো এক্সেসরিজ এর সঙ্গে জড়িত। আমদানিকারক দেশের শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দিয়ে তৈরি হতে হবে। জিএসপি প্লাসের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিনের’ ডাবল ট্রান্সফরমেশন শর্ত এটি। নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্য এ শর্ত পূরণ করছে। তবে ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে এই হার এখনো ৫০ শতাংশ।
অন্যান্য শর্তের মধ্যে অন্যতম, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার মধ্যে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি বাজার ইউরোপ। ফলে সেখানে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। তবে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতেরা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।
দেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিন’-এর ডাবল ট্রান্সফরমেশনের মতো কঠিন শর্তের মুখোমুখি হতে হবে এবং তা মোকাবিলায় ইইউয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দিকেও যেতে হবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রস্তাবিত নতুন নীতিমালায় ‘ইমপোর্ট-শেয়ার ক্রাইটেরিয়া’ বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরাসরি উপকৃত হতে পারে। তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কাজ চলছে। রপ্তানি বাজার ধরে রাখার জন্য এবং জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি ২০২৯ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী।
শর্ত অনুযায়ী ওভেন পোশাকে ফ্যাব্রিক, এক্সেসরিজ আমদানিতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কিংবা আরও বেশি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের সক্ষমতার বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্য ক্ষেত্রে তুলা থেকে উৎপাদিত সুতার পরিবর্তে সিনথেটিক ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের অন্যান্য শর্ত পূরণে উদ্যোগের বিষয়ে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংগঠনের ‘অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসির’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক হয়েছে। তাঁরা এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে জিএসপি সুবিধার ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি রপ্তানি হিস্যা হলে জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না-এ শর্ত শিথিল করতে সম্মত হয়েছেন। শিগগির ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল পাস হবে বলে রাষ্ট্রদূতেরা জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে শ্রম অধিকার এবং কারখানাগুলোর কর্ম পরিবেশ নিয়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, মানবাধিকার ও সুশাসনের মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই।
চার দশকের পোশাক খাত কেন এখনো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা, কাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি? এ ক্ষেত্রে কেন বিদেশ নির্ভর, বিশেষ করে রপ্তানি বাজারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর নির্ভরশীল-এ প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সহসভাপতি বলেন, অনেক সময় বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে এসব আমদানি করতে হয়। তবে এসব ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থেকে এলডিসি দেশে উত্তরণ অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের শর্ত পূরণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ওপরেই জোর দিয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হকও।
‘জিএসপি প্লাস’-এর শর্তাবলি পূরণ করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান (আমদানি)। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ছয়টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে বিষয়টিকে বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। যেখানে দেশের প্রায় ৮৯ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
অবশ্য তৈরি পোশাক কারখানাসহ দেশের শিল্প কারখানায় শ্রম পরিবেশের উন্নতি ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাপে নয়, এটা নিজেদের দেশের মানুষের স্বার্থেই করা প্রয়োজন। আর এ জন্য সরকারের নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঝুঁকি এড়াতে রপ্তানিপণ্যে বৈচিত্র্য আনাটা জরুরি। পোশাক শিল্পে নির্ভরশীলতা কমিয়ে পাট, চামড়া, মাছ এবং অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিতে হবে। বাজার সম্প্রসারণ, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে। ইউরোপের আরক বড় বাজার রাশিয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। শ্রম পরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে সক্রিয় করাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। অনেক দর-কষাকষির পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যসুবিধা (জিএসপি) ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এরপর ইইউভুক্ত দেশগুলো ও যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের ‘জিএসপি প্লাস’ নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এখনো দৃশ্যমান নয়। ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে সমন্বিত কোনো পরিকল্পনার কথাও জানা যাচ্ছে না।
স্বল্প ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ২০১৫ সালে ‘স্পেশাল ইনসেনটিভ অ্যারেঞ্জমেন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য-সুবিধা চালু করে ইইউ। এটিই জিএসপি প্লাস হিসেবে পরিচিত। এটির আওতায় ইউরোপের বাজারে ট্যারিফ লাইনের ৬৬ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে মাত্র আটটি দেশ এই সুবিধা পায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই সুবিধা পাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্য। এসব বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে ২৭টি মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালা মানতে হবে। এসব নীতিমালার মধ্যে ১৫টি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শ্রমমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ছাড়া শ্রম আইন ও মানবাধিকার, সুশাসনের মতো কিছু জটিল বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। যার সঙ্গে আবার আছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইইউভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। ইইউতে বাংলাদেশ ‘এভরিথিং বাট নট আর্মস’ (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। কিন্তু ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও আশঙ্কা রয়েছে।
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে একটি হলো অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। অর্থাৎ দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৯৫ শতাংশ। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এই একটি সূচকেই ইতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সুতা ও স্থানীয় উৎস থেকে প্রস্তুত বস্ত্র, বোতাম, জিপারের মতো এক্সেসরিজ এর সঙ্গে জড়িত। আমদানিকারক দেশের শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দিয়ে তৈরি হতে হবে। জিএসপি প্লাসের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিনের’ ডাবল ট্রান্সফরমেশন শর্ত এটি। নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্য এ শর্ত পূরণ করছে। তবে ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে এই হার এখনো ৫০ শতাংশ।
অন্যান্য শর্তের মধ্যে অন্যতম, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার মধ্যে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি বাজার ইউরোপ। ফলে সেখানে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। তবে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতেরা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।
দেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিন’-এর ডাবল ট্রান্সফরমেশনের মতো কঠিন শর্তের মুখোমুখি হতে হবে এবং তা মোকাবিলায় ইইউয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দিকেও যেতে হবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রস্তাবিত নতুন নীতিমালায় ‘ইমপোর্ট-শেয়ার ক্রাইটেরিয়া’ বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরাসরি উপকৃত হতে পারে। তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কাজ চলছে। রপ্তানি বাজার ধরে রাখার জন্য এবং জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি ২০২৯ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী।
শর্ত অনুযায়ী ওভেন পোশাকে ফ্যাব্রিক, এক্সেসরিজ আমদানিতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কিংবা আরও বেশি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের সক্ষমতার বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্য ক্ষেত্রে তুলা থেকে উৎপাদিত সুতার পরিবর্তে সিনথেটিক ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের অন্যান্য শর্ত পূরণে উদ্যোগের বিষয়ে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংগঠনের ‘অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসির’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক হয়েছে। তাঁরা এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে জিএসপি সুবিধার ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি রপ্তানি হিস্যা হলে জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না-এ শর্ত শিথিল করতে সম্মত হয়েছেন। শিগগির ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল পাস হবে বলে রাষ্ট্রদূতেরা জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে শ্রম অধিকার এবং কারখানাগুলোর কর্ম পরিবেশ নিয়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, মানবাধিকার ও সুশাসনের মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই।
চার দশকের পোশাক খাত কেন এখনো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা, কাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি? এ ক্ষেত্রে কেন বিদেশ নির্ভর, বিশেষ করে রপ্তানি বাজারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর নির্ভরশীল-এ প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সহসভাপতি বলেন, অনেক সময় বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে এসব আমদানি করতে হয়। তবে এসব ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থেকে এলডিসি দেশে উত্তরণ অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের শর্ত পূরণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ওপরেই জোর দিয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হকও।
‘জিএসপি প্লাস’-এর শর্তাবলি পূরণ করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান (আমদানি)। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ছয়টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে বিষয়টিকে বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। যেখানে দেশের প্রায় ৮৯ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
অবশ্য তৈরি পোশাক কারখানাসহ দেশের শিল্প কারখানায় শ্রম পরিবেশের উন্নতি ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাপে নয়, এটা নিজেদের দেশের মানুষের স্বার্থেই করা প্রয়োজন। আর এ জন্য সরকারের নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঝুঁকি এড়াতে রপ্তানিপণ্যে বৈচিত্র্য আনাটা জরুরি। পোশাক শিল্পে নির্ভরশীলতা কমিয়ে পাট, চামড়া, মাছ এবং অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিতে হবে। বাজার সম্প্রসারণ, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে। ইউরোপের আরক বড় বাজার রাশিয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। শ্রম পরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে সক্রিয় করাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।
রেজাউর রহিম

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। অনেক দর-কষাকষির পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যসুবিধা (জিএসপি) ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এরপর ইইউভুক্ত দেশগুলো ও যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের ‘জিএসপি প্লাস’ নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এখনো দৃশ্যমান নয়। ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে সমন্বিত কোনো পরিকল্পনার কথাও জানা যাচ্ছে না।
স্বল্প ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ২০১৫ সালে ‘স্পেশাল ইনসেনটিভ অ্যারেঞ্জমেন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য-সুবিধা চালু করে ইইউ। এটিই জিএসপি প্লাস হিসেবে পরিচিত। এটির আওতায় ইউরোপের বাজারে ট্যারিফ লাইনের ৬৬ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে মাত্র আটটি দেশ এই সুবিধা পায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই সুবিধা পাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্য। এসব বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে ২৭টি মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালা মানতে হবে। এসব নীতিমালার মধ্যে ১৫টি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শ্রমমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ছাড়া শ্রম আইন ও মানবাধিকার, সুশাসনের মতো কিছু জটিল বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। যার সঙ্গে আবার আছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইইউভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। ইইউতে বাংলাদেশ ‘এভরিথিং বাট নট আর্মস’ (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। কিন্তু ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও আশঙ্কা রয়েছে।
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে একটি হলো অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। অর্থাৎ দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৯৫ শতাংশ। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এই একটি সূচকেই ইতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সুতা ও স্থানীয় উৎস থেকে প্রস্তুত বস্ত্র, বোতাম, জিপারের মতো এক্সেসরিজ এর সঙ্গে জড়িত। আমদানিকারক দেশের শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দিয়ে তৈরি হতে হবে। জিএসপি প্লাসের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিনের’ ডাবল ট্রান্সফরমেশন শর্ত এটি। নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্য এ শর্ত পূরণ করছে। তবে ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে এই হার এখনো ৫০ শতাংশ।
অন্যান্য শর্তের মধ্যে অন্যতম, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার মধ্যে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি বাজার ইউরোপ। ফলে সেখানে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। তবে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতেরা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।
দেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিন’-এর ডাবল ট্রান্সফরমেশনের মতো কঠিন শর্তের মুখোমুখি হতে হবে এবং তা মোকাবিলায় ইইউয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দিকেও যেতে হবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রস্তাবিত নতুন নীতিমালায় ‘ইমপোর্ট-শেয়ার ক্রাইটেরিয়া’ বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরাসরি উপকৃত হতে পারে। তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কাজ চলছে। রপ্তানি বাজার ধরে রাখার জন্য এবং জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি ২০২৯ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী।
শর্ত অনুযায়ী ওভেন পোশাকে ফ্যাব্রিক, এক্সেসরিজ আমদানিতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কিংবা আরও বেশি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের সক্ষমতার বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্য ক্ষেত্রে তুলা থেকে উৎপাদিত সুতার পরিবর্তে সিনথেটিক ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের অন্যান্য শর্ত পূরণে উদ্যোগের বিষয়ে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংগঠনের ‘অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসির’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক হয়েছে। তাঁরা এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে জিএসপি সুবিধার ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি রপ্তানি হিস্যা হলে জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না-এ শর্ত শিথিল করতে সম্মত হয়েছেন। শিগগির ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল পাস হবে বলে রাষ্ট্রদূতেরা জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে শ্রম অধিকার এবং কারখানাগুলোর কর্ম পরিবেশ নিয়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, মানবাধিকার ও সুশাসনের মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই।
চার দশকের পোশাক খাত কেন এখনো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা, কাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি? এ ক্ষেত্রে কেন বিদেশ নির্ভর, বিশেষ করে রপ্তানি বাজারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর নির্ভরশীল-এ প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সহসভাপতি বলেন, অনেক সময় বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে এসব আমদানি করতে হয়। তবে এসব ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থেকে এলডিসি দেশে উত্তরণ অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের শর্ত পূরণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ওপরেই জোর দিয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হকও।
‘জিএসপি প্লাস’-এর শর্তাবলি পূরণ করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান (আমদানি)। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ছয়টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে বিষয়টিকে বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। যেখানে দেশের প্রায় ৮৯ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
অবশ্য তৈরি পোশাক কারখানাসহ দেশের শিল্প কারখানায় শ্রম পরিবেশের উন্নতি ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাপে নয়, এটা নিজেদের দেশের মানুষের স্বার্থেই করা প্রয়োজন। আর এ জন্য সরকারের নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঝুঁকি এড়াতে রপ্তানিপণ্যে বৈচিত্র্য আনাটা জরুরি। পোশাক শিল্পে নির্ভরশীলতা কমিয়ে পাট, চামড়া, মাছ এবং অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিতে হবে। বাজার সম্প্রসারণ, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে। ইউরোপের আরক বড় বাজার রাশিয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। শ্রম পরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে সক্রিয় করাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। অনেক দর-কষাকষির পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যসুবিধা (জিএসপি) ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এরপর ইইউভুক্ত দেশগুলো ও যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের ‘জিএসপি প্লাস’ নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এখনো দৃশ্যমান নয়। ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে সমন্বিত কোনো পরিকল্পনার কথাও জানা যাচ্ছে না।
স্বল্প ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ২০১৫ সালে ‘স্পেশাল ইনসেনটিভ অ্যারেঞ্জমেন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য-সুবিধা চালু করে ইইউ। এটিই জিএসপি প্লাস হিসেবে পরিচিত। এটির আওতায় ইউরোপের বাজারে ট্যারিফ লাইনের ৬৬ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে মাত্র আটটি দেশ এই সুবিধা পায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই সুবিধা পাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্য। এসব বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে ২৭টি মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালা মানতে হবে। এসব নীতিমালার মধ্যে ১৫টি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শ্রমমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ছাড়া শ্রম আইন ও মানবাধিকার, সুশাসনের মতো কিছু জটিল বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। যার সঙ্গে আবার আছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইইউভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। ইইউতে বাংলাদেশ ‘এভরিথিং বাট নট আর্মস’ (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। কিন্তু ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও আশঙ্কা রয়েছে।
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে একটি হলো অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। অর্থাৎ দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিএসপির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের ৯৫ শতাংশ। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এই একটি সূচকেই ইতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সুতা ও স্থানীয় উৎস থেকে প্রস্তুত বস্ত্র, বোতাম, জিপারের মতো এক্সেসরিজ এর সঙ্গে জড়িত। আমদানিকারক দেশের শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দিয়ে তৈরি হতে হবে। জিএসপি প্লাসের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিনের’ ডাবল ট্রান্সফরমেশন শর্ত এটি। নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্য এ শর্ত পূরণ করছে। তবে ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে এই হার এখনো ৫০ শতাংশ।
অন্যান্য শর্তের মধ্যে অন্যতম, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার মধ্যে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি বাজার ইউরোপ। ফলে সেখানে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। তবে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতেরা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।
দেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘রুলস অব অরিজিন’-এর ডাবল ট্রান্সফরমেশনের মতো কঠিন শর্তের মুখোমুখি হতে হবে এবং তা মোকাবিলায় ইইউয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দিকেও যেতে হবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রস্তাবিত নতুন নীতিমালায় ‘ইমপোর্ট-শেয়ার ক্রাইটেরিয়া’ বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরাসরি উপকৃত হতে পারে। তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কাজ চলছে। রপ্তানি বাজার ধরে রাখার জন্য এবং জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি ২০২৯ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী।
শর্ত অনুযায়ী ওভেন পোশাকে ফ্যাব্রিক, এক্সেসরিজ আমদানিতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কিংবা আরও বেশি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের সক্ষমতার বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্য ক্ষেত্রে তুলা থেকে উৎপাদিত সুতার পরিবর্তে সিনথেটিক ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের অন্যান্য শর্ত পূরণে উদ্যোগের বিষয়ে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংগঠনের ‘অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসির’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক হয়েছে। তাঁরা এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে জিএসপি সুবিধার ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি রপ্তানি হিস্যা হলে জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না-এ শর্ত শিথিল করতে সম্মত হয়েছেন। শিগগির ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল পাস হবে বলে রাষ্ট্রদূতেরা জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে শ্রম অধিকার এবং কারখানাগুলোর কর্ম পরিবেশ নিয়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, মানবাধিকার ও সুশাসনের মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই।
চার দশকের পোশাক খাত কেন এখনো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা, কাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি? এ ক্ষেত্রে কেন বিদেশ নির্ভর, বিশেষ করে রপ্তানি বাজারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর নির্ভরশীল-এ প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সহসভাপতি বলেন, অনেক সময় বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে এসব আমদানি করতে হয়। তবে এসব ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল থেকে এলডিসি দেশে উত্তরণ অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জিএসপি প্লাসের শর্ত পূরণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ওপরেই জোর দিয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হকও।
‘জিএসপি প্লাস’-এর শর্তাবলি পূরণ করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান (আমদানি)। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ছয়টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে বিষয়টিকে বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। যেখানে দেশের প্রায় ৮৯ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
অবশ্য তৈরি পোশাক কারখানাসহ দেশের শিল্প কারখানায় শ্রম পরিবেশের উন্নতি ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাপে নয়, এটা নিজেদের দেশের মানুষের স্বার্থেই করা প্রয়োজন। আর এ জন্য সরকারের নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঝুঁকি এড়াতে রপ্তানিপণ্যে বৈচিত্র্য আনাটা জরুরি। পোশাক শিল্পে নির্ভরশীলতা কমিয়ে পাট, চামড়া, মাছ এবং অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিতে হবে। বাজার সম্প্রসারণ, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে। ইউরোপের আরক বড় বাজার রাশিয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। শ্রম পরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে সক্রিয় করাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
০৫ নভেম্বর ২০২১
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
০৫ নভেম্বর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
০৫ নভেম্বর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের প্রায় ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির প্রায় ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশ ও যুক্তরাজ্য। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হলে তা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে।
০৫ নভেম্বর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে