রেজাউর রহিম
রপ্তানি শুরুর পর চার দশক কেটে গেলেও এখনো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প কাঠামোগত দিক থেকে দৃঢ় ভিত তৈরি করতে পারেনি। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হলেও কাঁচামালের জন্য এ শিল্পকে বহুলাংশেই অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর এই নির্ভরতা মুখ্যত চীনকেন্দ্রিক। পোশাক রপ্তানির বাজারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশই কাঁচামাল আমদানির প্রধান উৎস হওয়ায় এ খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এ ক্ষেত্রে কাঁচামালের নিজস্ব উৎস তৈরি করা না গেলে সামনে বিপদে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত শতকের আশির দশকে তৈরি পোশাক রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে এই তৈরি পোশাক শিল্পই দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস। মোট বার্ষিক রপ্তানির প্রায় ৮৪ শতাংশই আসছে পোশাক রপ্তানি থেকে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে আয় করেছে ৩ হাজার ৮৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগে বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বা সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সারা বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে চীন। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান।
রপ্তানি বাজারের এই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনই আবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সবচেয়ে বড় উৎস। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশের পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য থেকে শুরু করে যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ, এমনকি নিত্যব্যবহার্য নানা পণ্যের বড় আমদানি উৎস চীন। দেশের পোশাক শিল্পের ওভেন খাতের প্রায় ৮০ শতাংশ বস্ত্র চীন থেকে আমদানি করা হয়। আর নিট পোশাকের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাঁচামাল এবং প্রায় ৮০ শতাংশ রাসায়নিক ও এক্সেসরিজ চীন থেকে আমদানি হয়।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৫০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে এককভাবে চীন থেকেই এসেছে ১১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যার বেশির ভাগই পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি।
এই নির্ভরতা এত বেশি যে, এটিই এখন বাংলাদেশের সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার কাঁচামাল আমদানির জন্য বাংলাদেশ যে চীনের বিকল্প খুঁজবে, স্বল্প মেয়াদে সে সুযোগও কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বল্প সময়ে এবং অপেক্ষাকৃত কম দামে চীনের মতো বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল পণ্য সরবরাহের সক্ষমতা বেশির ভাগ দেশের নেই। কিন্তু এই অতিনির্ভরতার কারণে যেকোনো কারণে তুলা, সুতাসহ বিভিন্ন মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি ব্যাহত হলে দেশের তৈরি পোশাক খাতের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে উভয়সংকটে রয়েছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে হলে কাঁচামালে অন্তত একটা মাত্রা পর্যন্ত স্বয়ংসম্পূর্ণতা জরুরি। কিন্তু চার দশকেও সেই অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম ইত্যাদি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ থেকে এখনো পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে। এই নির্ভরশীলতা ভবিষ্যতে এ খাতকে সংকটের মুখে ফেলতে পারে।
পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকতে এবং উৎপাদন খরচ কমাতে চীনের ওপর নির্ভরশীলতার বড় কারণ সাশ্রয়ী মূল্য। চীন ছাড়া অন্য যেকোনো দেশ থেকে এসব কাঁচামাল আমদানি করতে গেলে খরচ অনেক বেশি হয়। আর রপ্তানি বাজার ধরতে হলে উৎপাদন ব্যয় কমানোর কোনো বিকল্প নেই। ফলে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকেরা চীন থেকে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আনতে অনেকটা বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে জমি স্বল্পতার কারণে শিল্প খাতের জন্য তুলা উৎপাদন সম্ভব নয়। এটিই সুতা ও বস্ত্রের জন্য আমদানি নির্ভরতার কারণ। পোশাক রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও ভারতের ওপর নির্ভরশীলতার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের রপ্তানিকারকেরা তাদের পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে দেশ থেকে কম দামে কাঁচামাল আনতে পারবে, সে দেশের দিকেই ঝুঁকবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে শিল্পের কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকার কাজ করছে।’
এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ
রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি। স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বেরিয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। যদিও এই তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হতে বাংলাদেশের ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই উত্তরণ বেশ কিছু সুবিধাও হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষত এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, তা আর পাওয়া যাবে না। যদিও ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়ার কথা বলছে। তবে তা তারা দেবে বিদ্যমান জিএসপি সুবিধার আওতায়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় ঢুকতে না পারলে আর মাত্র ৭ বছর এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হবে। শর্তের শুরুতেই রয়েছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক পূরণের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে, তা হলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর বাজারে ২০২৯ সালের পর রপ্তানি ধরে রাখতে স্থানীয় উৎস থেকে সংগৃহীত সুতা ও কাঁচামাল থেকে বস্ত্র তৈরি এবং তা দিয়ে পোশাক তৈরি করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে এবং সামনের দিনগুলোতে বিশ্ব বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পণ্য উৎপাদনে আমাদের অতি দ্রুত স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। এ জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের জন্য চীনসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। না হলে বিশ্ববাজারে আমাদের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণই হতে না পারি, তাহলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে কীভাবে আমরা উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হব? আর শিল্পের কাঁচামালের জন্য নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নও করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারি নীতি সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকও একই মত দিলেন। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি বাণিজ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের বিকল্প নেই। ইইউ ও যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০২৯ সালের পর রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি প্লাসের অন্য শর্তের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামাল দিয়ে পণ্য তৈরির মতো শর্ত থাকছে। এ জন্য রপ্তানি পণ্যের কাঁচামালের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। আর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা দেশের অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক নয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ হলেও বর্তমান সক্ষমতা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে চীনেও বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব।
দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর জোর
অর্থনৈতিক গতিশীলতা, কর্মসংস্থান এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, নতুন রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে এ উদ্যোগ গ্রহণ এই মুহূর্তে জরুরি। এ জন্য ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির মতো লাতিন আমেরিকার দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি ইউরোপের আরেক বড় দেশ রাশিয়ার বাজারে পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে চীনের বাজারের দিকেও তাকানো যেতে পারে। চীন থেকে প্রতি বছর যে পরিমাণ আমদানি হয়, সে পরিমাণে রপ্তানি হয় না। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তালিকায় চীন রয়েছে ১৫ তম অবস্থানে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া গেলে চীনের বাজারেও ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। চীন ২০২০ সালের জুলাই থেকে ট্যারিফ লাইনের আওতায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, চীনে বিনা শুল্কে রপ্তানির এই সুযোগ দেশটির সঙ্গে থাকা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিরও সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, চীন ক্রমেই কম দামের পোশাক তৈরির চেয়ে বেশি দামের পোশাক তৈরি ও রপ্তানির দিকে ঝুঁকছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিতে পারে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, রপ্তানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তির প্রচেষ্টার পাশাপাশি এসব দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপরও আমাদের জোর দিতে হবে।
এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশও। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তীকালে বৈদেশিক বাণিজ্যে অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার বিষয়টিও বিবেচনা করছে সরকার। এ ছাড়া চীন এরই মধ্যে এফটিএ করার বিষয়ে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এ বিষয়ে পর্যালোচনা করছে।
এরই মধ্যে এফটিএর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিছু দেশ ও বাণিজ্য জোটের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এসব দেশের মধ্যে চীন ছাড়াও রয়েছে নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুরসহ আসিয়ান জোটভুক্ত দেশ, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ও দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য জোট মার্কাসুর। এফটিএর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিষয়টি নিয়েও কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী বিশ্ব বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং পিটিএ করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রপ্তানি শুরুর পর চার দশক কেটে গেলেও এখনো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প কাঠামোগত দিক থেকে দৃঢ় ভিত তৈরি করতে পারেনি। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হলেও কাঁচামালের জন্য এ শিল্পকে বহুলাংশেই অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর এই নির্ভরতা মুখ্যত চীনকেন্দ্রিক। পোশাক রপ্তানির বাজারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশই কাঁচামাল আমদানির প্রধান উৎস হওয়ায় এ খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এ ক্ষেত্রে কাঁচামালের নিজস্ব উৎস তৈরি করা না গেলে সামনে বিপদে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত শতকের আশির দশকে তৈরি পোশাক রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে এই তৈরি পোশাক শিল্পই দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস। মোট বার্ষিক রপ্তানির প্রায় ৮৪ শতাংশই আসছে পোশাক রপ্তানি থেকে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে আয় করেছে ৩ হাজার ৮৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগে বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বা সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সারা বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে চীন। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান।
রপ্তানি বাজারের এই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনই আবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সবচেয়ে বড় উৎস। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশের পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য থেকে শুরু করে যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ, এমনকি নিত্যব্যবহার্য নানা পণ্যের বড় আমদানি উৎস চীন। দেশের পোশাক শিল্পের ওভেন খাতের প্রায় ৮০ শতাংশ বস্ত্র চীন থেকে আমদানি করা হয়। আর নিট পোশাকের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাঁচামাল এবং প্রায় ৮০ শতাংশ রাসায়নিক ও এক্সেসরিজ চীন থেকে আমদানি হয়।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৫০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে এককভাবে চীন থেকেই এসেছে ১১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যার বেশির ভাগই পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি।
এই নির্ভরতা এত বেশি যে, এটিই এখন বাংলাদেশের সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার কাঁচামাল আমদানির জন্য বাংলাদেশ যে চীনের বিকল্প খুঁজবে, স্বল্প মেয়াদে সে সুযোগও কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বল্প সময়ে এবং অপেক্ষাকৃত কম দামে চীনের মতো বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল পণ্য সরবরাহের সক্ষমতা বেশির ভাগ দেশের নেই। কিন্তু এই অতিনির্ভরতার কারণে যেকোনো কারণে তুলা, সুতাসহ বিভিন্ন মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি ব্যাহত হলে দেশের তৈরি পোশাক খাতের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে উভয়সংকটে রয়েছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে হলে কাঁচামালে অন্তত একটা মাত্রা পর্যন্ত স্বয়ংসম্পূর্ণতা জরুরি। কিন্তু চার দশকেও সেই অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম ইত্যাদি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ থেকে এখনো পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে। এই নির্ভরশীলতা ভবিষ্যতে এ খাতকে সংকটের মুখে ফেলতে পারে।
পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকতে এবং উৎপাদন খরচ কমাতে চীনের ওপর নির্ভরশীলতার বড় কারণ সাশ্রয়ী মূল্য। চীন ছাড়া অন্য যেকোনো দেশ থেকে এসব কাঁচামাল আমদানি করতে গেলে খরচ অনেক বেশি হয়। আর রপ্তানি বাজার ধরতে হলে উৎপাদন ব্যয় কমানোর কোনো বিকল্প নেই। ফলে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকেরা চীন থেকে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আনতে অনেকটা বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে জমি স্বল্পতার কারণে শিল্প খাতের জন্য তুলা উৎপাদন সম্ভব নয়। এটিই সুতা ও বস্ত্রের জন্য আমদানি নির্ভরতার কারণ। পোশাক রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও ভারতের ওপর নির্ভরশীলতার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের রপ্তানিকারকেরা তাদের পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে দেশ থেকে কম দামে কাঁচামাল আনতে পারবে, সে দেশের দিকেই ঝুঁকবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে শিল্পের কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকার কাজ করছে।’
এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ
রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি। স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বেরিয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। যদিও এই তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হতে বাংলাদেশের ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই উত্তরণ বেশ কিছু সুবিধাও হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষত এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, তা আর পাওয়া যাবে না। যদিও ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়ার কথা বলছে। তবে তা তারা দেবে বিদ্যমান জিএসপি সুবিধার আওতায়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় ঢুকতে না পারলে আর মাত্র ৭ বছর এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হবে। শর্তের শুরুতেই রয়েছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক পূরণের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে, তা হলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর বাজারে ২০২৯ সালের পর রপ্তানি ধরে রাখতে স্থানীয় উৎস থেকে সংগৃহীত সুতা ও কাঁচামাল থেকে বস্ত্র তৈরি এবং তা দিয়ে পোশাক তৈরি করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে এবং সামনের দিনগুলোতে বিশ্ব বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পণ্য উৎপাদনে আমাদের অতি দ্রুত স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। এ জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের জন্য চীনসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। না হলে বিশ্ববাজারে আমাদের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণই হতে না পারি, তাহলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে কীভাবে আমরা উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হব? আর শিল্পের কাঁচামালের জন্য নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নও করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারি নীতি সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকও একই মত দিলেন। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি বাণিজ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের বিকল্প নেই। ইইউ ও যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০২৯ সালের পর রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি প্লাসের অন্য শর্তের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামাল দিয়ে পণ্য তৈরির মতো শর্ত থাকছে। এ জন্য রপ্তানি পণ্যের কাঁচামালের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। আর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা দেশের অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক নয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ হলেও বর্তমান সক্ষমতা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে চীনেও বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব।
দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর জোর
অর্থনৈতিক গতিশীলতা, কর্মসংস্থান এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, নতুন রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে এ উদ্যোগ গ্রহণ এই মুহূর্তে জরুরি। এ জন্য ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির মতো লাতিন আমেরিকার দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি ইউরোপের আরেক বড় দেশ রাশিয়ার বাজারে পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে চীনের বাজারের দিকেও তাকানো যেতে পারে। চীন থেকে প্রতি বছর যে পরিমাণ আমদানি হয়, সে পরিমাণে রপ্তানি হয় না। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তালিকায় চীন রয়েছে ১৫ তম অবস্থানে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া গেলে চীনের বাজারেও ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। চীন ২০২০ সালের জুলাই থেকে ট্যারিফ লাইনের আওতায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, চীনে বিনা শুল্কে রপ্তানির এই সুযোগ দেশটির সঙ্গে থাকা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিরও সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, চীন ক্রমেই কম দামের পোশাক তৈরির চেয়ে বেশি দামের পোশাক তৈরি ও রপ্তানির দিকে ঝুঁকছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিতে পারে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, রপ্তানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তির প্রচেষ্টার পাশাপাশি এসব দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপরও আমাদের জোর দিতে হবে।
এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশও। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তীকালে বৈদেশিক বাণিজ্যে অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার বিষয়টিও বিবেচনা করছে সরকার। এ ছাড়া চীন এরই মধ্যে এফটিএ করার বিষয়ে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এ বিষয়ে পর্যালোচনা করছে।
এরই মধ্যে এফটিএর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিছু দেশ ও বাণিজ্য জোটের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এসব দেশের মধ্যে চীন ছাড়াও রয়েছে নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুরসহ আসিয়ান জোটভুক্ত দেশ, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ও দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য জোট মার্কাসুর। এফটিএর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিষয়টি নিয়েও কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী বিশ্ব বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং পিটিএ করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘প্রতিদিনই অভিযান হচ্ছে, ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা তা সিরিয়াসলি ভাবছি। আলুর মূল্য ভোক্তাদের নাগালে আনতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা দুঃখিত। বাজার ব্যবস্থাটি অসুস্থ ও অস্বাভাবিক।’
৩ ঘণ্টা আগেশিল্পকারখানায় বিনিয়োগ করার পর গ্যাস পেতে নিজের টাকায় ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করার কথা তুলে ধরে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, এই পাইপলাইন নির্মাণে শুধু রোড কাটিংয়ের অনুমোদন নিতেই আমাকে ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিস
৩ ঘণ্টা আগেদুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বেড়েছে। এ দফায় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকায় উঠেছে। দেশের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম। আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশে নতুন দাম কার্যকর হবে।
৪ ঘণ্টা আগেবিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সার্বিক দিক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
৫ ঘণ্টা আগে