নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্যাসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। মোট বিদ্যুতের ৪৩ শতাংশ উৎপাদন করা হয় গ্যাস থেকে। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় গ্যাসের ব্যবহারও কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। তারপরও তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে আবাসিক ও শিল্প খাত। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকে না। বাসাবাড়িতে জ্বলে না চুলা।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুটের বেশি। ১২ ডিসেম্বর থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ঘনফুটের সামান্য বেশি। দেশে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা ১৭৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস। বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে ৭৩ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যাসের সংকট আছে দেশে—এটা বাস্তবতা। সামনের দিনগুলোয় এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো গেলে এ সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে। স্পট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হলে আশা করি সংকট থাকবে না।’
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নিজস্ব উৎসে গ্যাসের উৎপাদন কমার পাশাপাশি এলএনজি আমদানিও হচ্ছে কম। গত অক্টোবর থেকে স্পট এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ আছে মাত্র ৫০ কোটি ঘনফুট।
আবাসিকে জ্বলছে না চুলা গত নভেম্বর থেকে দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকে না আবাসিকে। বিকেলের দিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও সকালে পাওয়া যায় না। এতে ভোগান্তি বেড়েছে গ্রাহকদের। পাইপলাইনে গ্যাস না থাকায় আবাসিকের গ্রাহকদের বাধ্য হয়ে এলপিজি সিলিন্ডার, ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বনশ্রী, মিরপুর, গোড়ান, মোহাম্মদপুর, শুক্রবাদ, যাত্রাবাড়ী, আদাবর, সোবহানবাগ, উত্তরা, দক্ষিণখান, বাড্ডা ও রামপুরা, কলাবাগান, বসুন্ধরা, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর সিংহভাগ এলাকায় বেলা ১টার আগে গ্যাস আসে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা।
দক্ষিণ গোড়ানের বাসিন্দা গৃহিণী রাহেলা জামান বলেন, ‘আমার বাসায় সকালে গ্যাসই থাকে না। নাশতা তৈরি করতে তিন মাস ধরে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে। এজন্য গড়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার তিতাসকেও বিল দিতে হচ্ছে।’
বনশ্রীর এইচ ব্লকের বাসিন্দা হাজি আবদুল বাতেন বলেন, এ বছর শীত পড়ার আগেই গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক চুলা দিয়ে সকালে রান্নাবান্না করতে হয়।
শিল্প খাতও ভুগছে তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে গত ৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হাদিমকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। চিঠিতে সংস্থাটি দেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত নিটশিল্প ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে বলে উল্লেখ করে।
বিকেএমইএ সূত্র বলেছে, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ১৪৭টির মতো ডায়িং প্রতিষ্ঠান ও ৪২০টির মতো বড়-মাঝারি-ছোট নিট কারখানা রয়েছে। এই অঞ্চল থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার নিট পণ্য রপ্তানি হয়। গত ১৬ অক্টোবর থেকে এই অঞ্চলে গ্যাসের প্রবাহ নেই বললেই চলে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ঠিকমতো পণ্য রপ্তানি করতে না পারায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের অনেক নিট কারখানা বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ দানা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিকেএমইএ।
এ ব্যাপারে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে থাকা পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে গত অক্টোবর থেকে। বিষয়টি তাড়াতাড়ি সমাধান না করা গেলে রপ্তানি ধাক্কা খাবে।প্রথম পাতা, ছাপা সংস্করণ
গ্যাসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। মোট বিদ্যুতের ৪৩ শতাংশ উৎপাদন করা হয় গ্যাস থেকে। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় গ্যাসের ব্যবহারও কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। তারপরও তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে আবাসিক ও শিল্প খাত। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকে না। বাসাবাড়িতে জ্বলে না চুলা।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুটের বেশি। ১২ ডিসেম্বর থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ঘনফুটের সামান্য বেশি। দেশে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা ১৭৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস। বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে ৭৩ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যাসের সংকট আছে দেশে—এটা বাস্তবতা। সামনের দিনগুলোয় এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো গেলে এ সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে। স্পট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হলে আশা করি সংকট থাকবে না।’
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নিজস্ব উৎসে গ্যাসের উৎপাদন কমার পাশাপাশি এলএনজি আমদানিও হচ্ছে কম। গত অক্টোবর থেকে স্পট এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ আছে মাত্র ৫০ কোটি ঘনফুট।
আবাসিকে জ্বলছে না চুলা গত নভেম্বর থেকে দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকে না আবাসিকে। বিকেলের দিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও সকালে পাওয়া যায় না। এতে ভোগান্তি বেড়েছে গ্রাহকদের। পাইপলাইনে গ্যাস না থাকায় আবাসিকের গ্রাহকদের বাধ্য হয়ে এলপিজি সিলিন্ডার, ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বনশ্রী, মিরপুর, গোড়ান, মোহাম্মদপুর, শুক্রবাদ, যাত্রাবাড়ী, আদাবর, সোবহানবাগ, উত্তরা, দক্ষিণখান, বাড্ডা ও রামপুরা, কলাবাগান, বসুন্ধরা, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর সিংহভাগ এলাকায় বেলা ১টার আগে গ্যাস আসে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা।
দক্ষিণ গোড়ানের বাসিন্দা গৃহিণী রাহেলা জামান বলেন, ‘আমার বাসায় সকালে গ্যাসই থাকে না। নাশতা তৈরি করতে তিন মাস ধরে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে। এজন্য গড়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার তিতাসকেও বিল দিতে হচ্ছে।’
বনশ্রীর এইচ ব্লকের বাসিন্দা হাজি আবদুল বাতেন বলেন, এ বছর শীত পড়ার আগেই গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক চুলা দিয়ে সকালে রান্নাবান্না করতে হয়।
শিল্প খাতও ভুগছে তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে গত ৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হাদিমকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। চিঠিতে সংস্থাটি দেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত নিটশিল্প ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে বলে উল্লেখ করে।
বিকেএমইএ সূত্র বলেছে, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ১৪৭টির মতো ডায়িং প্রতিষ্ঠান ও ৪২০টির মতো বড়-মাঝারি-ছোট নিট কারখানা রয়েছে। এই অঞ্চল থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার নিট পণ্য রপ্তানি হয়। গত ১৬ অক্টোবর থেকে এই অঞ্চলে গ্যাসের প্রবাহ নেই বললেই চলে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ঠিকমতো পণ্য রপ্তানি করতে না পারায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের অনেক নিট কারখানা বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ দানা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিকেএমইএ।
এ ব্যাপারে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে থাকা পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে গত অক্টোবর থেকে। বিষয়টি তাড়াতাড়ি সমাধান না করা গেলে রপ্তানি ধাক্কা খাবে।প্রথম পাতা, ছাপা সংস্করণ
দেশে চিনি, তেল ও পেঁয়াজের দাম কমেছে দাবি করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আপনাদের সকলের সহযোগিতায় চিনি, পেঁয়াজের ও তেলের কিছুটা কমে এসেছে ইতিমধ্যে। আমরা চেষ্টা করছি, সামনে রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারকে যতটুকু সম্ভব সহনশীল করতে। ইতিমধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে। চাহিদা...
৩৬ মিনিট আগেমাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।’
১ ঘণ্টা আগেডিজিটাল মার্কেটিং খাতে দক্ষতা উন্নয়ন এবং কার্যক্রম গতিশীল করতে বেসিস ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভা গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কে. এ. এম. রাশেদুল মাজিদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ড. মোহাম্মদ রিসালাত...
৪ ঘণ্টা আগেআমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে-আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি এবং তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে...
৯ ঘণ্টা আগে