অনলাইন ডেস্ক
মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনের মতোই বৈশ্বিক অর্থনীতিকে সচল রেখেছে সমুদ্রপথ। বিশ্বজুড়ে যত পরিমাণ পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা হয় তার ৯০ ভাগই সম্পন্ন হয় এই পথে। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে নাবিক সংখ্যা বাড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী পাঁচ বছরে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক শূন্যতার সৃষ্টি হবে।
বাণিজ্য সংস্থা ‘বিমকো’ ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং (আইসিএস)–এর একটি গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির জন্য বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই নাবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সংকট পরবর্তী কয়েক বছরে আরও বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনার ডেলটা ধরন। এই ধরটি এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এখন তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেলটা ধরনের আতঙ্কেই এখন বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ জাহাজের নাবিকদের স্থলে নামার অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে জাহাজের ক্যাপ্টেনরা ক্লান্ত নাবিকদের বিশ্রাম দেওয়া কিংবা বদলানোরও কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না। সমুদ্রের বুকে এই মুহূর্তে প্রায় ১ লাখ নাবিক কার্যত আটকা পড়ে আছেন। আর গত বছর করোনার কারণে দেশে দেশে তীব্র লকডাউনের জন্য দুই লাখেরও বেশি নাবিক জাহাজগুলোতে বন্দী সময় পার করেছিলেন।
বিমকো ও আইসিএস–এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়–মহামারির আগেও বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রায় ১৮ লাখ ৯০ হাজার নাবিক ৭৪ হাজার জাহাজ পরিচালনা করছিলেন।
সামুদ্রিক কর্মশক্তি বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। ওই প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল–বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২০২৬ সাল নাগাদ সমুদ্রপথে আরও অন্তত ৮৯ হাজার ৫১০ জন নৌ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। সেই সময়ও ২৬ হাজার ২৪০ জন নাবিকের সংকট ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল প্রতিবেদনটিতে। তবে ২০২১ সালে এসে এক গভীর সংকটের মুখে পড়েছে সমুদ্রপথ।
আইসিএস মহাসচিব গাই প্ল্যাটেন বলেন–‘খাদ্য, তেল ও ওষুধের বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে যারা সুরক্ষিত রেখেছে আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না।’ তাই এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ দ্রুত কাজ শুরু না করলে সমুদ্রপথ সচল রাখার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও দাবি করেন প্ল্যাটেন। তিনি জানান, বর্তমানে সমুদ্রপথ সচল রাখা নাবিকদের মধ্যে করোনার টিকা পেয়েছেন প্রতি এক শ জনে ২০ জনেরও কম। এ অবস্থায় তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাবিক জাহাজগুলোতে কাজ করতে আসেন তার মধ্যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত অন্যতম। তবে ডেলটা ধরনে বিপর্যস্ত এই দেশগুলোতে করোনার টিকা সরবরাহের হার এখনো খুবই কম। এটি বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থায়ও প্রভাব ফলছে।
মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনের মতোই বৈশ্বিক অর্থনীতিকে সচল রেখেছে সমুদ্রপথ। বিশ্বজুড়ে যত পরিমাণ পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা হয় তার ৯০ ভাগই সম্পন্ন হয় এই পথে। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে নাবিক সংখ্যা বাড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী পাঁচ বছরে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক শূন্যতার সৃষ্টি হবে।
বাণিজ্য সংস্থা ‘বিমকো’ ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং (আইসিএস)–এর একটি গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির জন্য বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই নাবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সংকট পরবর্তী কয়েক বছরে আরও বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনার ডেলটা ধরন। এই ধরটি এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এখন তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেলটা ধরনের আতঙ্কেই এখন বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ জাহাজের নাবিকদের স্থলে নামার অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে জাহাজের ক্যাপ্টেনরা ক্লান্ত নাবিকদের বিশ্রাম দেওয়া কিংবা বদলানোরও কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না। সমুদ্রের বুকে এই মুহূর্তে প্রায় ১ লাখ নাবিক কার্যত আটকা পড়ে আছেন। আর গত বছর করোনার কারণে দেশে দেশে তীব্র লকডাউনের জন্য দুই লাখেরও বেশি নাবিক জাহাজগুলোতে বন্দী সময় পার করেছিলেন।
বিমকো ও আইসিএস–এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়–মহামারির আগেও বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রায় ১৮ লাখ ৯০ হাজার নাবিক ৭৪ হাজার জাহাজ পরিচালনা করছিলেন।
সামুদ্রিক কর্মশক্তি বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। ওই প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল–বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২০২৬ সাল নাগাদ সমুদ্রপথে আরও অন্তত ৮৯ হাজার ৫১০ জন নৌ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। সেই সময়ও ২৬ হাজার ২৪০ জন নাবিকের সংকট ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল প্রতিবেদনটিতে। তবে ২০২১ সালে এসে এক গভীর সংকটের মুখে পড়েছে সমুদ্রপথ।
আইসিএস মহাসচিব গাই প্ল্যাটেন বলেন–‘খাদ্য, তেল ও ওষুধের বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে যারা সুরক্ষিত রেখেছে আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না।’ তাই এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ দ্রুত কাজ শুরু না করলে সমুদ্রপথ সচল রাখার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও দাবি করেন প্ল্যাটেন। তিনি জানান, বর্তমানে সমুদ্রপথ সচল রাখা নাবিকদের মধ্যে করোনার টিকা পেয়েছেন প্রতি এক শ জনে ২০ জনেরও কম। এ অবস্থায় তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাবিক জাহাজগুলোতে কাজ করতে আসেন তার মধ্যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত অন্যতম। তবে ডেলটা ধরনে বিপর্যস্ত এই দেশগুলোতে করোনার টিকা সরবরাহের হার এখনো খুবই কম। এটি বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থায়ও প্রভাব ফলছে।
ঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৩২ মিনিট আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
২ ঘণ্টা আগে