আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
ভরা মৌসুমেও বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও খুচরায় প্রতি কেজির দাম উঠেছে ৫০ টাকা; যা সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ২১ টাকা বেশি। গত ১৫ মার্চ ২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করা হয় ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা। কিন্তু বেঁধে দেওয়া দামের অনেক ওপরে গিয়ে খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।
ভরা মৌসুমে আলুর এই দামকে বেশি এবং এর জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতারা। আলুর ফলন কম এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে আলু বেশি দামে কেনা ও বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের। যদিও সরকারি হিসাবে আলুর চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশিই হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক বছর আগে একই দিন ঢাকা মহানগরীতে আলুর কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমে আলু কিনতে পেরেছেন ক্রেতারা।
মণিপুরীপাড়া থেকে আগত ক্রেতা লডি মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ঈদের আগে দেখলাম, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনায় এলে দাম কমে, তাঁরা চলে গেলে দাম বেড়ে যায়।
আলু বিক্রেতা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘লাল আলু (কার্ডিনাল) আমাদের কেনা পড়ছে ৪৬ টাকা কেজি, আর সাদা (ডায়মন্ড) আলু ৪৫ টাকা। এক বস্তা আলু থেকে পচা ও ছোট আলু বাদ দিতে হয়। ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় কিনে আমরা বিক্রি করছি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। কোল্ডস্টোরেজের আলু এখনো বের হয়নি। বেশি দামে কেনার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে পাইকারি পর্যায়ে আলু ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মক্কা ট্রেডার্সের বিক্রেতা মো. সোহেল।
এদিকে কৃষকের কাছ থেকে আলু বেশি দামে কেনার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতা আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ৩৬ টাকায় কৃষকের কাছ থেকেই কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি তো হবেই।
তবে ভিন্ন কথা বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চাহিদার তুলনায় দেশে আলুর উৎপাদন বেশি জানিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে প্রায় ১ কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়। বিপরীতে আলুর চাহিদা ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার আলুর ফলন কম হয়েছে। কেউ কেউ বেশি দাম পেতে আগেই আলু উঠিয়ে বিক্রি করেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও আলুর উৎপাদন কমেছে। আর এখন কৃষক পর্যায়েই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বাজারে এসে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আসিফ জসিমও দাবি করেন, ‘মাঠপর্যায়ে আলু কিনতে হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। আমার স্টোরেজের ধারণক্ষমতার চেয়ে কম আলু আসায় কিছু কিনতে গিয়েছিলাম। এ রকম চড়া দামের কারণে কিনতে পারিনি।’
ভরা মৌসুমেও বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও খুচরায় প্রতি কেজির দাম উঠেছে ৫০ টাকা; যা সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ২১ টাকা বেশি। গত ১৫ মার্চ ২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করা হয় ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা। কিন্তু বেঁধে দেওয়া দামের অনেক ওপরে গিয়ে খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।
ভরা মৌসুমে আলুর এই দামকে বেশি এবং এর জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতারা। আলুর ফলন কম এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে আলু বেশি দামে কেনা ও বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের। যদিও সরকারি হিসাবে আলুর চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশিই হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক বছর আগে একই দিন ঢাকা মহানগরীতে আলুর কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমে আলু কিনতে পেরেছেন ক্রেতারা।
মণিপুরীপাড়া থেকে আগত ক্রেতা লডি মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ঈদের আগে দেখলাম, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনায় এলে দাম কমে, তাঁরা চলে গেলে দাম বেড়ে যায়।
আলু বিক্রেতা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘লাল আলু (কার্ডিনাল) আমাদের কেনা পড়ছে ৪৬ টাকা কেজি, আর সাদা (ডায়মন্ড) আলু ৪৫ টাকা। এক বস্তা আলু থেকে পচা ও ছোট আলু বাদ দিতে হয়। ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় কিনে আমরা বিক্রি করছি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। কোল্ডস্টোরেজের আলু এখনো বের হয়নি। বেশি দামে কেনার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে পাইকারি পর্যায়ে আলু ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মক্কা ট্রেডার্সের বিক্রেতা মো. সোহেল।
এদিকে কৃষকের কাছ থেকে আলু বেশি দামে কেনার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতা আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ৩৬ টাকায় কৃষকের কাছ থেকেই কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি তো হবেই।
তবে ভিন্ন কথা বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চাহিদার তুলনায় দেশে আলুর উৎপাদন বেশি জানিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে প্রায় ১ কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়। বিপরীতে আলুর চাহিদা ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার আলুর ফলন কম হয়েছে। কেউ কেউ বেশি দাম পেতে আগেই আলু উঠিয়ে বিক্রি করেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও আলুর উৎপাদন কমেছে। আর এখন কৃষক পর্যায়েই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বাজারে এসে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আসিফ জসিমও দাবি করেন, ‘মাঠপর্যায়ে আলু কিনতে হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। আমার স্টোরেজের ধারণক্ষমতার চেয়ে কম আলু আসায় কিছু কিনতে গিয়েছিলাম। এ রকম চড়া দামের কারণে কিনতে পারিনি।’
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৯ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৯ ঘণ্টা আগে